০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কেরাণীগঞ্জে সৎ ছেলে হত্যা মামলার পিতা ও ভাঙ্গায় বস্তাবন্দী লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

  • আপডেট: ০৪:০৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কেরাণীগঞ্জ ও ফরিদপুরের আলোচিত দুটি হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১০। কেরাণীগঞ্জে সৎ পুত্র হত্যার ঘটনায় ঘাতক পিতা আজহারুল সরদার এবং ভাঙ্গায় বস্তাবন্দী লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি জহুরুল মুন্সী ওরফে সুলতান জহির র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক এ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ তথ্য জানান।

কেরাণীগঞ্জ সৎ ছেলে হত্যা মামলা:

কেরাণীগঞ্জের চুনকুটিয়া নাজিরেরবাগ এলাকায় তফুরা খাতুন ও তার ছেলে রাকিবুল সরদার বসবাস করতেন। তফুরার প্রথম স্বামী খায়রুল সরদার মৃত্যুর পর তিনি আজহারুল সরদারকে বিয়ে করেন। বিবাহের পর নির্যাতনের শিকার হয়ে তফুরা আদালতের মাধ্যমে আজহারুলকে অনুমান ৩–৪ মাস আগে তালাক দেন। এরপর থেকে আজহারুল নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিল।

গত ১৪ আগস্ট সকাল ৯টায় রাকিবুল কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরদিন মা তফুরা খাতুন ছেলে খুঁজতে গিয়ে জানতে পারেন যে রাকিবুল তার সঙ্গে নেই। কিছুদিন খোঁজাখুঁজির পর ১৬ আগস্ট সকালে রাকিবুলের মৃতদেহ আজহারুলের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলাটি দায়ের করা হয় ১৭ আগস্ট।

র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন,গোপন তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে খুলনার হরিণটানা থানাধীন জিরো পয়েন্ট মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে আজহারুল সরদারকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১০ এর টিম।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজহারুল স্বীকার করে যে,১৪ আগস্ট রাতে সে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে রাকিবুলকে হত্যা করেছে এবং মরদেহ গুমের চেষ্টা করেছে।

ভাঙ্গা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার:

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানাধীন চারালদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রেদুয়ান ১৩ আগস্ট বিকালে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ১৬ আগস্ট বিকালে তার মৃতদেহ একটি বিলে ভেসে থাকতে দেখা যায়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জহুরুল মুন্সী ওরফে সুলতান জহিরকে (২৫) র‍্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রেফতার করে। অভিযানে আসামির বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু,রক্তমাখা জামাকাপড়, মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জহুরুল স্বীকার করে যে,১৩ আগস্ট বিকালে সে রেদুয়ানের সঙ্গে পূর্বে থাকা সমকামিতার সম্পর্কের বিরোধের জেরে তাকে চাকু দিয়ে হত্যা করে এবং মৃতদেহটি বিলে ফেলে দেয়।

র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক এ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান,গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

কেরাণীগঞ্জে সৎ ছেলে হত্যা মামলার পিতা ও ভাঙ্গায় বস্তাবন্দী লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

আপডেট: ০৪:০৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কেরাণীগঞ্জ ও ফরিদপুরের আলোচিত দুটি হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১০। কেরাণীগঞ্জে সৎ পুত্র হত্যার ঘটনায় ঘাতক পিতা আজহারুল সরদার এবং ভাঙ্গায় বস্তাবন্দী লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি জহুরুল মুন্সী ওরফে সুলতান জহির র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক এ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ তথ্য জানান।

কেরাণীগঞ্জ সৎ ছেলে হত্যা মামলা:

কেরাণীগঞ্জের চুনকুটিয়া নাজিরেরবাগ এলাকায় তফুরা খাতুন ও তার ছেলে রাকিবুল সরদার বসবাস করতেন। তফুরার প্রথম স্বামী খায়রুল সরদার মৃত্যুর পর তিনি আজহারুল সরদারকে বিয়ে করেন। বিবাহের পর নির্যাতনের শিকার হয়ে তফুরা আদালতের মাধ্যমে আজহারুলকে অনুমান ৩–৪ মাস আগে তালাক দেন। এরপর থেকে আজহারুল নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিল।

গত ১৪ আগস্ট সকাল ৯টায় রাকিবুল কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরদিন মা তফুরা খাতুন ছেলে খুঁজতে গিয়ে জানতে পারেন যে রাকিবুল তার সঙ্গে নেই। কিছুদিন খোঁজাখুঁজির পর ১৬ আগস্ট সকালে রাকিবুলের মৃতদেহ আজহারুলের ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলাটি দায়ের করা হয় ১৭ আগস্ট।

র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন,গোপন তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে খুলনার হরিণটানা থানাধীন জিরো পয়েন্ট মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে আজহারুল সরদারকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১০ এর টিম।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজহারুল স্বীকার করে যে,১৪ আগস্ট রাতে সে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে রাকিবুলকে হত্যা করেছে এবং মরদেহ গুমের চেষ্টা করেছে।

ভাঙ্গা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার:

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানাধীন চারালদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রেদুয়ান ১৩ আগস্ট বিকালে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ১৬ আগস্ট বিকালে তার মৃতদেহ একটি বিলে ভেসে থাকতে দেখা যায়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জহুরুল মুন্সী ওরফে সুলতান জহিরকে (২৫) র‍্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রেফতার করে। অভিযানে আসামির বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু,রক্তমাখা জামাকাপড়, মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জহুরুল স্বীকার করে যে,১৩ আগস্ট বিকালে সে রেদুয়ানের সঙ্গে পূর্বে থাকা সমকামিতার সম্পর্কের বিরোধের জেরে তাকে চাকু দিয়ে হত্যা করে এবং মৃতদেহটি বিলে ফেলে দেয়।

র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক এ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান,গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন।