১০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

  • আপডেট: ০২:৩৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফরিদা ইয়াছমিন (৩১) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের শফিক হুজুরের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ফরিদা ইয়াছমিন সোনাইমুড়ী উপজেলার ভানুয়াই গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নুর নবীর স্ত্রী এবং নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার মেয়ে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,স্বামী নুর নবী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। গত সাত মাস ধরে ফরিদা শফিক হুজুরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দুই রুমের বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরবন্দি করে রাখতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাসা থেকে বের হতে চাইলেও স্বামী বের হতে দেননি। তারপর ভিডিও কলে স্বামীকে রেখে বোরখা পরা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফরিদা আত্মহত্যা করেন।

বাড়ির মালিক শফিক উল্যাহ বলেন,ফরিদার সঙ্গে প্রায়ই তার স্বামীর ঝগড়া হতো। এমনকি বেডরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিল তার স্বামী। সকালে ফরিদার দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা বলেন,আমার বোনকে নুর নবী নজরবন্দি করে রেখেছিল। সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। সিসি ক্যামেরায় এবং ভিডিও কলে আমার বোনকে দেখেও সে কাউকে বলে নাই। সে চেয়েছে আমার বোন মারা যাক। আমরা এই ঘাতকের ফাঁসি চাই।

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, আমরা সিসি ক্যামেরাগুলো ও মুঠোফোন জব্দ করেছি। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

নোয়াখালীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট: ০২:৩৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফরিদা ইয়াছমিন (৩১) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের শফিক হুজুরের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ফরিদা ইয়াছমিন সোনাইমুড়ী উপজেলার ভানুয়াই গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নুর নবীর স্ত্রী এবং নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার মেয়ে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,স্বামী নুর নবী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। গত সাত মাস ধরে ফরিদা শফিক হুজুরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দুই রুমের বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরবন্দি করে রাখতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাসা থেকে বের হতে চাইলেও স্বামী বের হতে দেননি। তারপর ভিডিও কলে স্বামীকে রেখে বোরখা পরা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফরিদা আত্মহত্যা করেন।

বাড়ির মালিক শফিক উল্যাহ বলেন,ফরিদার সঙ্গে প্রায়ই তার স্বামীর ঝগড়া হতো। এমনকি বেডরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিল তার স্বামী। সকালে ফরিদার দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা বলেন,আমার বোনকে নুর নবী নজরবন্দি করে রেখেছিল। সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। সিসি ক্যামেরায় এবং ভিডিও কলে আমার বোনকে দেখেও সে কাউকে বলে নাই। সে চেয়েছে আমার বোন মারা যাক। আমরা এই ঘাতকের ফাঁসি চাই।

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, আমরা সিসি ক্যামেরাগুলো ও মুঠোফোন জব্দ করেছি। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।