১১:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তামাকমুক্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ: ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন

  • আপডেট: ১০:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় “গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই ২০২৫ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চিঠির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের সব হাসপাতাল, মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতাল, নার্সিং কলেজসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

এ নির্দেশনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও সেবাপ্রদানকারীগণ এবং আগত রোগী ও দর্শনার্থীদের জন্য শতভাগ ধূমপান ও তামাকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে সম্প্রতি এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক রিজভী বলেন, “হাসপাতাল হলো রোগ নিরাময়ের স্থান। ধূমপান বা তামাকের উপস্থিতি এখানে রোগী ও এটেন্ডেদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পরোক্ষ ধূমপান হৃদরোগ, ক্যানসার ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে শতভাগ ধূমপান ও তামাকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”

উল্লেখ্য, শতভাগ তামাকমুক্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের প্রবেশপথ ও অভ্যন্তরে সহজে দৃশ্যমান স্থানসমূহে ধূমপান ও তামাকমুক্ত সাইনেজ স্থাপন করা; ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) স্থাপন না করা; স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং নিয়ন্ত্রাধীন তৎসংলগ্ন এলাকায় তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করা। এছাড়াও হাসপাতালের পক্ষ থেকে তামাক সেবী কর্মকর্তা ও কর্মচারী, রোগী ও দর্শনার্থীদের তামাক পরিত্যাগের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO-SEARO, ২০১৮) অনুসারে, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত কারণে মারা যান, যার মধ্যে ২১ শতাংশ মানুষের মৃত্যু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ঘটে। গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস্, ২০১৭) অনুযায়ী, দেশের ১৫ বছর বা তদূর্ধ বয়সী জনগোষ্ঠীর ৩৫.৩% মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। পাশাপাশি, ধূমপান না করেও কর্মক্ষেত্রে ৪২.৭%, হসপিটালিটি সেক্টরে ৪৯.৭%, যানবাহনে ৪৪% এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রেও ১২.৭% মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন আশা করছে, এ উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো শতভাগ তামাকমুক্ত পরিবেশে রূপান্তরিত হবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

তামাকমুক্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ: ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন

আপডেট: ১০:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় “গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই ২০২৫ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চিঠির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের সব হাসপাতাল, মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতাল, নার্সিং কলেজসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

এ নির্দেশনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও সেবাপ্রদানকারীগণ এবং আগত রোগী ও দর্শনার্থীদের জন্য শতভাগ ধূমপান ও তামাকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে সম্প্রতি এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক রিজভী বলেন, “হাসপাতাল হলো রোগ নিরাময়ের স্থান। ধূমপান বা তামাকের উপস্থিতি এখানে রোগী ও এটেন্ডেদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পরোক্ষ ধূমপান হৃদরোগ, ক্যানসার ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে শতভাগ ধূমপান ও তামাকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”

উল্লেখ্য, শতভাগ তামাকমুক্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের প্রবেশপথ ও অভ্যন্তরে সহজে দৃশ্যমান স্থানসমূহে ধূমপান ও তামাকমুক্ত সাইনেজ স্থাপন করা; ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (ডিএসএ) স্থাপন না করা; স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং নিয়ন্ত্রাধীন তৎসংলগ্ন এলাকায় তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করা। এছাড়াও হাসপাতালের পক্ষ থেকে তামাক সেবী কর্মকর্তা ও কর্মচারী, রোগী ও দর্শনার্থীদের তামাক পরিত্যাগের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO-SEARO, ২০১৮) অনুসারে, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত কারণে মারা যান, যার মধ্যে ২১ শতাংশ মানুষের মৃত্যু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ঘটে। গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস্, ২০১৭) অনুযায়ী, দেশের ১৫ বছর বা তদূর্ধ বয়সী জনগোষ্ঠীর ৩৫.৩% মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। পাশাপাশি, ধূমপান না করেও কর্মক্ষেত্রে ৪২.৭%, হসপিটালিটি সেক্টরে ৪৯.৭%, যানবাহনে ৪৪% এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রেও ১২.৭% মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন আশা করছে, এ উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়িত হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো শতভাগ তামাকমুক্ত পরিবেশে রূপান্তরিত হবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।