শ্যামবাজারে ব্যবসায়ী হত্যা:নেপালে পালাতে বিমানের টিকিট কিনেছিল আসামিরা,অবশেষে অস্ত্রসহ গ্রেফতার
- আপডেট: ০১:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৮০১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
রাজধানীর শ্যামবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি এমামুল এহসান নয়ন এবং তার সহযোগী অয়ন গাঙ্গুলী পলাশকে হত্যাকাণ্ডের মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-১০ ও র্যাব-৪ আভিযানিক দল তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বিদেশি রিভলভার,তাজা কার্তুজ ও ফায়ার করা কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এসময় র্যাব-৪,সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার কে এন রায় নিয়তি উপস্তিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়,বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে মাওলাবক্স চক্ষু হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে মসলা ব্যবসায়ী ও শ্যামবাজার কাঁচাবাজার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে। পরে রাত ১০টা ৫ মিনিটে র্যাব-১০ এর একটি চৌকস দল র্যাব-৪ এর সহযোগিতায় কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়ন ও পলাশকে গ্রেফতার করে।
এসময় নয়নের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কদমতলীর শ্যামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি রিভলভার,২০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও হত্যায় ব্যবহৃত ২টি খালি খোসা।
এক বছর ধরে হত্যার পরিকল্পনা:
র্যাবের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়,নয়ন একজন ব্যবসায়ী এবং ‘রহমত উল্লাহ গ্রুপ’-এর চেয়ারম্যান। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনি ভিকটিমের মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকায় শ্যামবাজার কাঁচাবাজারের একটি দোকান কেনেন। কিন্তু দোকান হস্তান্তরের সময় ভিকটিম অতিরিক্ত ২৪ লাখ টাকা দাবি করায় তাদের মধ্যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর পরেই নয়ন আব্দুর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় একটি বিদেশি রিভলভার কেনেন এবং হত্যার পর পালিয়ে নেপালে যাওয়ার জন্য অন-অ্যারাইভ্যাল ভিসার আবেদন করেন। এমনকি তিনি ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা–কাঠমুন্ডু ফ্লাইটের টিকেটও বুকিং করেছিলেন।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন,ঘটনার দিন সকালে নয়ন তার শ্যালক পলাশের সঙ্গে পোস্তগলায় দেখা করে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আব্দুর রহমান মাওলাবক্সের গলি দিয়ে দোকানে যাওয়ার সময় নয়ন পথরোধ করে প্রথমে বুকে গুলি করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মাথায় আরও একটি গুলি করে নিশ্চিত করে হত্যার পর তারা পালিয়ে যায়। প্রথমে তারা নারায়ণগঞ্জে আত্মগোপনের চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়ে তারা মিরপুর-১০ হয়ে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে পালানোর চেষ্টা করছিল,তখন র্যাব তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।





















