০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কাকরাইলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে আইএসপিআরের ব্যাখ্যা

  • আপডেট: ০৯:৪৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর কাকরাইলে দুটি রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঘটনায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা অগ্রাহ্য করা হলে জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয় বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা উল্লেখ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, কাকরাইলে দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বারবার সতর্কতা ও অনুরোধ উপেক্ষা করে কিছু নেতাকর্মী মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে। তারা সংগঠিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এক পর্যায়ে জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয়। উদ্ভূত ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ জন সদস্য আহত হয়।

এত আরও বলা হয়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮ টায় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেড়ে গেলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয় এবং এতে কয়েকজন সদস্য আহত হন।

আইএসপিআর জানায়, ঘটনার শুরুতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করার জন্য ও দেশের বিদ্যমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার অনুরোধ জানায়। তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কতিপয় নেতাকর্মী তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে। তারা সংগঠিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি করে। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়।

এছাড়াও বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা অগ্রাহ্য করা হলে জননিরাপত্তা রক্ষার্থে বল প্রয়োগে বাধ্য হয়।

আইএসপিআর জানায়, রাত ৮টার দিকে শুরু হওয়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টায় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে পুলিশ চেষ্টা চালালেও সংঘর্ষ বাড়তে থাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বারবার অনুরোধ উপেক্ষা করে কিছু নেতাকর্মী সংগঠিতভাবে সহিংসতা চালায় এবং রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিল বের করে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হন এবং সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য আহত হন।

এতে আরও বলা হয়, মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি সেনাবাহিনী পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জননিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে তারা সর্বদা প্রস্তুত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

কাকরাইলে রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে আইএসপিআরের ব্যাখ্যা

আপডেট: ০৯:৪৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর কাকরাইলে দুটি রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঘটনায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা অগ্রাহ্য করা হলে জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয় বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা উল্লেখ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, কাকরাইলে দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বারবার সতর্কতা ও অনুরোধ উপেক্ষা করে কিছু নেতাকর্মী মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে। তারা সংগঠিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এক পর্যায়ে জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয়। উদ্ভূত ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ জন সদস্য আহত হয়।

এত আরও বলা হয়, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮ টায় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেড়ে গেলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয় এবং এতে কয়েকজন সদস্য আহত হন।

আইএসপিআর জানায়, ঘটনার শুরুতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করার জন্য ও দেশের বিদ্যমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার অনুরোধ জানায়। তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কতিপয় নেতাকর্মী তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে। তারা সংগঠিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি করে। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়।

এছাড়াও বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা অগ্রাহ্য করা হলে জননিরাপত্তা রক্ষার্থে বল প্রয়োগে বাধ্য হয়।

আইএসপিআর জানায়, রাত ৮টার দিকে শুরু হওয়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টায় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে পুলিশ চেষ্টা চালালেও সংঘর্ষ বাড়তে থাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বারবার অনুরোধ উপেক্ষা করে কিছু নেতাকর্মী সংগঠিতভাবে সহিংসতা চালায় এবং রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিল বের করে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হন এবং সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য আহত হন।

এতে আরও বলা হয়, মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি সেনাবাহিনী পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জননিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে তারা সর্বদা প্রস্তুত।