নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন,আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজার প্রস্তুতি পর্বে অনেক জায়গায় শোনা যাচ্ছে কেউ গিয়ে হাত নষ্ট করে দিচ্ছে,মাথাটা নষ্ট করে দিচ্ছে। আমরা এগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি। আমরা সংবাদ পাওয়া মাত্রই সেটা এড্রেস করতে যাচ্ছি। কোনভাবেই কোন কিছু আমরা অবজ্ঞা অবহেলা করছি না। একদম বিচ্যুতি যদি কোথাও দেখি তাহলে আমরা অবশ্যই প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা মামলাও নিয়ে নিচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (২৫সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাংলা বাজার সার্বজনীন পূজামন্ডপ পরিদর্শন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি।

তিনি বলেন,এখানে এসে আপনাদের মধ্যে যে সুসম্পর্ক দেখলাম এটা আমাকে চমৎকৃত করেছে। যেভাবে আপনারা কমিউনিটি যৌথবদ্ধ হয়েছেন আমার বিশ্বাস অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশ এর মাধ্যমে এবারের পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারব।

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোন ধরনের থ্রেটফিল করছেন কিনা জানতে চাইলে বাহারুল আলম বলেন,আমরা কোন ধরনের থ্রেটফিল করছি না। কিন্তু আপনারা জানেন ছোটখাটো ঘটনা সারাদেশেই ঘটে থাকে। এবার আমাদের কাছে মনে হচ্ছে অনেকগুলো ঘটনাই ঘটছে তুচ্ছ কারনে। আমরা প্রতিটা ঘটনাতেই বিশেষ করে এই প্রস্তুতি পর্বে অনেক জায়গায় শোনা যাচ্ছে কেউ গিয়ে হাত নষ্ট করে দিচ্ছে, মাথাটা নষ্ট করে দিচ্ছে। আমরা এগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি। কিন্তু আমরা যেটা করছি,সংবাদ পাওয়া মাত্রই সাথে সাথে আমরা সেটা এড্রেস করতে যাচ্ছি। কোনভাবেই কোন কিছু আমরা অবজ্ঞা অবহেলা করছি না। একদম বিচ্যুতি যদি কোথাও দেখি তাহলে আমরা অবশ্যই প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা মামলাও নিয়ে নিচ্ছি।

তিনি বলেন,অনেক সময় হয় কি,কাউকে যখন আমরা গ্রেফতার করি তখন তার পক্ষের লোক বলে লোকটা পাগল এই সেই..। এবার প্রত্যেকটা জিনিস আমরা যাচাই করে দেখছি। আমরা এখানে এসে যা দেখলাম,সম্পূর্ণ কমিউনিটি যেভাবে একত্রিত হয়েছেন আমি মনে করি আমাদের কোন থ্রেট এখন আর নাই।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ এর পক্ষ থেকে কোন ধরনের নাশকতা বা বাধা সৃষ্টি করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই বিষয়টা আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আপনারা জানেন যে পূজা উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূজা কমিটির সব নেতৃবৃন্দ গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ সদর দপ্তরেও পূজা কমিটির অনেকেই গিয়েছিলেন। আমরা এই আশঙ্কাটা মাথায় রেখেছি এবং সেই জন্য আমরা আগের থেকে চেষ্টা করছি ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্কের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করার জন্য। এই আশঙ্কাটা আমরা উড়িয়ে দেই না। কিন্তু এর জন্য আমরা ভীত নয়,মোটেও ভীত নয়।

তিনি বলেন,গতকালও শহরের ভেতরে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি যারা তারা বেশ বড়সড় একটা শক্তি প্রদর্শন করতে চেয়েছিল। আমরা চেষ্টা করেছি আইনকভাবে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে দমন করতে। আমরা সেটাই করেছি।

পুলিশ কাজ করতে গিয়ে কোথাও বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,পুলিশ কাজ করতে গিয়ে কোথাও বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে না। একটা বিপ্লবত্তর পরিস্থিতিতে আমাদেরকে অনেক কিছু বিচার বিবেচনা করে চলতে হয়। আমরা একটা আইডিয়াল পরিস্থিতিতে যেভাবে আইন প্রয়োগ করি সেটা সব সময় সম্ভব হয় না। আমাদেরকে সমাজের সমস্ত মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করে তারপর আইন প্রয়োগ করতে হয়। আমাদের মূল উদ্দেশ্যটাই থাকে আমরা যেন আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি।