সেনা অভিযান: মোহাম্মদপুরে গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত তিন জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রেফতার
- আপডেট: ০৯:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে সেনাবাহিনীর বসিলা আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক পরিচালিত পৃথক দুটি অভিযানের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি সেলিম ৫৫ (লাল টি শার্ট), সোহান ২৩ (সবুজ টি শার্ট) এবং সৈয়দপুরিয়া নওশাদ ৩০ (সাদা কালো চেক টি শার্ট) কে আটক করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকস দুটি দল অভিযানগুলো পরিচালনা করে।
মো. সেলিম (৫৫) ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসে হারুনুর রশিদ নামে এক ব্যবসায়ীর বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। এই ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে সেলিম ও সোহান পলাতক ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনী তাদের গতিবিধির উপর নজর রেখে আজ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনার শিকার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার ঢাকা উদ্যানের ট্রাক মালিক হারুনুর রশিদ। ঘটনার প্রায় আট মাস পরও গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে ছিল ভুক্তভোগী হারুনুর রশিদ ও তার পরিবার। সেলিম ও তার দলবল মূলত ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এই হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে বাসার নিচে নিজ অফিসে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাকে গুরুতর আহত করা হয়। গত ৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে সেনাবাহিনীর একটি দল সেলিমকে ধরতে তার বাসায় অভিযান চালায়, কিন্তু সেলিম কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই অভিযানে কিছু ধারালো অস্ত্র এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরক পাওয়া যায়। মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে ৬-৭ টি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে মোহাম্মদপুরের তালিকাভুক্ত আসামি সৈয়দপুরিয়া নওশাদ (৩০) কে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছে। নওশাদের বিরুদ্ধে প্রায় ২০টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৫-৬টি গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। নওশাদ জেনেভা ক্যাম্পে পেট্রোলবোমা ও ককটেল বানানোর জন্য পরিচিত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৬ সতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, “ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সেলিম ও সোহানকে দীর্ঘদিন ট্র্যাক করে আজ সকালে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট হওয়াতে সেলিম ও সোহানকে চিহ্নিত করতে আমাদের সুবিধা হয়েছে। এছাড়াও জেনেভা ক্যাম্পে পেট্রোলবোমা ও ককটেল বানানোর জন্য পরিচিত নাম সৈয়দপুরিয়া নওশাদ। তাকেও আজ গ্রেফতার করা হয়েছে। জেনেভা ক্যাম্পে বোমা বিস্ফোরণ, মাদক ব্যবসা, ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে নওশাদ জড়িত। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা এবং গ্রেফতারের পরোয়ানা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের মোহাম্মদপুর থানায় আজ বিকালে হস্তান্তর করা হয়েছে। এলাকার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে এই অভিযান পরিচালিত হয়। রাজধানীর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।”





















