০৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

জবির ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যা: মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে সুসংবাদ দিতে চাইল পুলিশ

  • আপডেট: ০৭:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালবাগ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি। তিনি জানিয়েছেন,তদন্তে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে সবকিছু এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

সোমবার(২০ অক্টোবর) জোবায়েদের জানাজা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিসি সামি বলেন, সঠিক তথ্য আমাদের কাছে আছে। আশা করছি মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে আপনাদের সুসংবাদ দিতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করেছে। গণমাধ্যমের কথা বিশ্বাস না করে আমাদের তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষা করুন। আসামি ধরতে সময় লাগতে পারে, তবে প্রকৃত ঘাতকদেরই গ্রেফতার করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, জোবায়েদের বড় ভাই সৈকত ৪৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েছেন, কিন্তু জোবায়েদ সে খুশির খবর জেনে যেতে পারলো না। প্রকৃত হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। আমরা কোনো ফাঁকফোকর দেখতে চাই না।

জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন বলেন, আমরা আগামী দুই দিন শোকসভা ও র‍্যালি করবো। ১০ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলাম—এর মধ্যে যদি অগ্রগতি না দেখি, পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই, কোনো ছাড় দেবো না।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পর শিক্ষার্থীর বাবা ও চাচাকে পাঁচ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছিল—এ বিষয়ে পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা কাজ চালিয়ে যাবো।

উল্লেখ্য, রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডে টিউশনির জন্য গেলে বাসার নিচেই ছুরিকাঘাতে নিহত হন জোবায়েদ। আহত অবস্থায় তিনি সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনতলায় পড়ে মারা যান।

জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতের স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই দিনের শোক ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে আগামী ২২ অক্টোবর নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

জবির ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যা: মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে সুসংবাদ দিতে চাইল পুলিশ

আপডেট: ০৭:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালবাগ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি। তিনি জানিয়েছেন,তদন্তে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে সবকিছু এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

সোমবার(২০ অক্টোবর) জোবায়েদের জানাজা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিসি সামি বলেন, সঠিক তথ্য আমাদের কাছে আছে। আশা করছি মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে আপনাদের সুসংবাদ দিতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করেছে। গণমাধ্যমের কথা বিশ্বাস না করে আমাদের তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষা করুন। আসামি ধরতে সময় লাগতে পারে, তবে প্রকৃত ঘাতকদেরই গ্রেফতার করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, জোবায়েদের বড় ভাই সৈকত ৪৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েছেন, কিন্তু জোবায়েদ সে খুশির খবর জেনে যেতে পারলো না। প্রকৃত হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। আমরা কোনো ফাঁকফোকর দেখতে চাই না।

জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন বলেন, আমরা আগামী দুই দিন শোকসভা ও র‍্যালি করবো। ১০ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলাম—এর মধ্যে যদি অগ্রগতি না দেখি, পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই, কোনো ছাড় দেবো না।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পর শিক্ষার্থীর বাবা ও চাচাকে পাঁচ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছিল—এ বিষয়ে পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা কাজ চালিয়ে যাবো।

উল্লেখ্য, রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডে টিউশনির জন্য গেলে বাসার নিচেই ছুরিকাঘাতে নিহত হন জোবায়েদ। আহত অবস্থায় তিনি সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনতলায় পড়ে মারা যান।

জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতের স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই দিনের শোক ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে আগামী ২২ অক্টোবর নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে।