আল আকাবা সমবায় সমিতির ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

- আপডেট: ০৩:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
- / ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামালপুরের মাদারগঞ্জে আল-আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বড় ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতারণার মাধ্যমে গঠিত এই বিপুল সম্পদ ও প্রতিষ্ঠানগুলো আদালতের আদেশে ক্রোক করেছে সংস্থাটি।
রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকা কার্যালয়ের সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনে গড়ে ওঠা আল-আকাবা সমিতি সাধারণ জনগণকে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে। প্রতি লাখে মাসিক ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা মুনাফা দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা হয়। শুরুতে কিছু মুনাফা দিলেও পরে সমিতির পরিচালকরা অফিস তালাবদ্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান।
তিনি বলেন,প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থে সমিতির মালিকরা নিজেদের নামে জমি, গার্মেন্টস, ইটভাটা ও প্লটসহ বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তি কেনেন। এসব সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩১১৩ শতাংশ। এর মধ্যে রয়েছে জামালপুর সদর উপজেলার গহেরপাড়ায় ১৫ একর জমির ওপর গড়া ‘আলফা অস্ট্রোবিকস’ ইটভাটা এবং গাজীপুরের দক্ষিণ সালনায় ৩৫০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত ‘আলফা ড্রেসওয়ার’ গার্মেন্টস কারখানা। এছাড়া বসুন্ধরা আবাসিকে ৯টি প্লটসহ আরও বহু জমি ও অবকাঠামো রয়েছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও জামালপুর জেলায়।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের ঢাকার বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. ছায়েদুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ৯ জুলাই এসব সম্পত্তির ওপর ক্রোকাদেশ দেন। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের বিদেশ গমন রোধে আদালত নির্দেশনা দেন।
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। দ্রুতই দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।