০৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

গভীর ষড়যন্ত্রের আলামত সঠিক সময় নির্বাচন হবে কি!

সোনালী খবর
সোনালী খবর
  • আপডেট: ০৭:২০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / ২৫

লেখক : ফরিদ আহম্মেদ রিপন

সমকালীন প্রসঙ্গঃ নানান নাটকীয় ঘটনার পর গত মাসে এক শুভ বার্তায় খানিকটা স্বস্তি দেখা দিলো জাতির মাঝে ।

সকলেই মনে করেছে এবার যখন দুই শীর্ষ নেতার পক্ষ থেকে ঘোষণা এলো আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন তা-ও আবার পবিত্র রমজানের পূর্বে ।

নেড়ে চেড়ে বসতে শুরু করলো নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর সমূহ ।।

এদিকে সংস্কার নীতিমালা এবং রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচন পদ্ধতি ব্যাবস্হার আরপি , উচ্চ কক্ষ নিম্ন কক্ষের সংসদীয় আসন , সীমানা নির্ধারণ , রাষ্ট্রপতি – প্রদানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ইত্যাদি নিয়ে চলমান বৈঠক ।

এরেই মাঝে একটি বিশাল জন সমাবেশ ঘঠিয়েছে ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক কয়েকটি দল সাথে এনসিপি ।
এ সমাবেশের মূল আয়োজক ইসলামি শাসনতন্র আন্দোলন !!

অবাক কান্ড কারবার যে পীর সাহেব কি-না হাসিনার শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করার জন্য নানান সময় বিতর্কিত ভূমিকায় দেখা গেছে ।

একবার বিরোধী আন্দোলন সমর্থন আবার অল্প কিছুদিনে বিদেশি প্রভুদের সাথে গোপনীয় কায়কারবার করে আন্দোলন থেকে দূরে ।

অবশেষে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পীর সাহেব হাতপাখা প্রতীকের বরিশাল সিটি করপোরেশন মেয়র পদে দাঁড়ালেন ।।

তখন অনেকে আশাবাদী ছিলো এবার তার সংখ্যা গরিষ্ঠ ভক্ত আশেকের এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী কে নাকানিচুবানি খাওয়াবে ।

প্রচার মাঠের চিত্রে দেখাও গেল সেয়ানে সেয়ান ।। বেশ জমেছেও ,, কিন্তু বিধির বিধানে নির্বাচনের তিন দিন আগে পীর সাহেব খাইয়া দাইয়া দন্ত ফাটিয়ে জীবনন্ত সাহাদাৎ বরণ করিলেন ।

সারা দেশের আশেকের দল গোঁট্টাগাট্টা নিয়ে হতাশ মনে স্ব স্ব অঞ্চলে চলে গেলেন।

সে পীর সাহেব হাসিনা বিদায়ের পর বিপ্লবের বিজয় বেশি হয়ে আবার মাঠে সরগরম ।

আরপি সহ কিছু নির্বাচনী পদ্ধতির ব্যবস্হায় একত্রে শামিল জামাত , এনসিপি সাথে ।

তবে মাঠের রাজনৈতিক কৌশলী জামাত তাদের কি করে ব্যাবহার করতে হয় ভলো যানা ।

এদিকে এ মাসের শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দেশে আসার কথা থাকলেও কেন জানি অনিশ্চিত মনে হয় !!

অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ডঃ ইউনুস সাহেব রাষ্ট্র পরিচালনায় মননিবেশ দেখা যায় ।

আগামী দিনে জামাত শিবিরের বড় একটি গন জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় সেদিন হয়তো ধর্মভিত্তিক দু-একটি দল ও এনসিপির নেতাদের গরম বক্তব্যে উঠে আসবে “” নতুন পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্হা বাস্তবায়ন না হলে নতুন কৌশলে আগামীতে আন্দোলনের কর্মসূচি ।

এদের মদদপুষ্টে তো রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রভাবশালী উপদেষ্টার বেশ কয়েকজন ।

এদের উদ্দেশ্য নির্বাচন যত দেরি তে অনুষ্ঠিত হয় ,, কারন এতে দিন বছর বছর গড়ালে বিএনপির সারাদেশে অসাধু নেতাকর্মীর চাঁদাবাজি দখলবাজি সহ নানান অপরাধে দেশের মানুষ যেন বিএনপির সমর্থন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ।।

ইতিমধ্যে তার কিছু আলামত পরিলক্ষিত !

দেশের এসব অপরাধ দমনে সেনাবাহিনী কঠোর হস্তে দমন তৎপরতা সত্ত্বেও নির্মূল হাওয়া তো দূরের কথা বরঞ্চ দিনে দিনে নানান অপরাধে জনজীবনে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে ।

সেদিন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বললেন সারাদেশে তাদের অপরাধ জগতের নেতাকর্মী প্রায় ২৫ হাজার চিন্হিত করে ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে ।

কবে কখন সেই ব্যবস্হা তা তিনি দিনক্ষণ ,, সঠিক ভাবে বলতে পারলেন না !

তবে সারাদেশে মানুষ কি দেখছে ,, কত-শত দল থেকে বহিষ্কার করার পরও কোথাও অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা কমেছে কিনা ,, মোটেই না

কেমনে কমবে অনুপ্রবেশকারীদের মূল উদ্দেশ্য বিএনপির অসৎ চরিত্রের নেতাকর্মীদের আর্থিক সুবিধা সহ দৈহিক শক্তিসমর্থে সঙ্গী থেকে দেশের বারোটা বাজায়ে তোলা ।

সচিবালয় থেকে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনে তো ১৫ বছরের পর থেকে পদ পদবি থাকা আওয়ামী লীগ পুষ্ট সচিব থেকে জেলা প্রশাসক টিএনও এবং পুলিশ সুপার থেকে ওসি পুলিশদের বিশাল কর্ম বাহিনী বহায় তবিয়তে ।

এদের মূল কাজ অনৈতিক ধারার নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রের সকল সুযোগ দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করা ।

অন্যদিকে জামাত এনসিপির নেতাকর্মীদের গোপনে সৎ পরামর্শ দিয়ে যায় যেন জনসম্মুখে তাদের রাজনীতির প্রতি সমর্থন বৃদ্ধিতে টনিক হিসেবে কাজ করে !

ভিনদেশী ষড়যন্ত্র তো আছেই কোন সুযোগে তাদের তাবেদার দালালের হাতে দেশের রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় ।

এতসব দেখে বিএনপির শীর্ষ নেতা জনাব তারেক রহমান কি করবেন ভাবিয়া হয়তো উৎকন্ঠিত ।

কি করবেন দলের মধ্যে তো জাতীয় বেঈমান বিশ্বাসঘাতক ভরা !

দেশের সাধারণ মানুষ এখনো মনে করেন তারেক রহমান দেশে সততার ঝান্ডা উড়াতে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ।। অন্য দিকে বিএনপি জড়িয়ে কোটি কোটি সমর্থক আশায় বুক বেঁধে আছে তার অপেক্ষায় ।

শেষতক প্রশ্ন গভীর ষড়যন্ত্রের আলামত চলছে !!
সংশয় জনমনে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে কি ।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

গভীর ষড়যন্ত্রের আলামত সঠিক সময় নির্বাচন হবে কি!

আপডেট: ০৭:২০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

লেখক : ফরিদ আহম্মেদ রিপন

সমকালীন প্রসঙ্গঃ নানান নাটকীয় ঘটনার পর গত মাসে এক শুভ বার্তায় খানিকটা স্বস্তি দেখা দিলো জাতির মাঝে ।

সকলেই মনে করেছে এবার যখন দুই শীর্ষ নেতার পক্ষ থেকে ঘোষণা এলো আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন তা-ও আবার পবিত্র রমজানের পূর্বে ।

নেড়ে চেড়ে বসতে শুরু করলো নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর সমূহ ।।

এদিকে সংস্কার নীতিমালা এবং রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচন পদ্ধতি ব্যাবস্হার আরপি , উচ্চ কক্ষ নিম্ন কক্ষের সংসদীয় আসন , সীমানা নির্ধারণ , রাষ্ট্রপতি – প্রদানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ইত্যাদি নিয়ে চলমান বৈঠক ।

এরেই মাঝে একটি বিশাল জন সমাবেশ ঘঠিয়েছে ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক কয়েকটি দল সাথে এনসিপি ।
এ সমাবেশের মূল আয়োজক ইসলামি শাসনতন্র আন্দোলন !!

অবাক কান্ড কারবার যে পীর সাহেব কি-না হাসিনার শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করার জন্য নানান সময় বিতর্কিত ভূমিকায় দেখা গেছে ।

একবার বিরোধী আন্দোলন সমর্থন আবার অল্প কিছুদিনে বিদেশি প্রভুদের সাথে গোপনীয় কায়কারবার করে আন্দোলন থেকে দূরে ।

অবশেষে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পীর সাহেব হাতপাখা প্রতীকের বরিশাল সিটি করপোরেশন মেয়র পদে দাঁড়ালেন ।।

তখন অনেকে আশাবাদী ছিলো এবার তার সংখ্যা গরিষ্ঠ ভক্ত আশেকের এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী কে নাকানিচুবানি খাওয়াবে ।

প্রচার মাঠের চিত্রে দেখাও গেল সেয়ানে সেয়ান ।। বেশ জমেছেও ,, কিন্তু বিধির বিধানে নির্বাচনের তিন দিন আগে পীর সাহেব খাইয়া দাইয়া দন্ত ফাটিয়ে জীবনন্ত সাহাদাৎ বরণ করিলেন ।

সারা দেশের আশেকের দল গোঁট্টাগাট্টা নিয়ে হতাশ মনে স্ব স্ব অঞ্চলে চলে গেলেন।

সে পীর সাহেব হাসিনা বিদায়ের পর বিপ্লবের বিজয় বেশি হয়ে আবার মাঠে সরগরম ।

আরপি সহ কিছু নির্বাচনী পদ্ধতির ব্যবস্হায় একত্রে শামিল জামাত , এনসিপি সাথে ।

তবে মাঠের রাজনৈতিক কৌশলী জামাত তাদের কি করে ব্যাবহার করতে হয় ভলো যানা ।

এদিকে এ মাসের শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দেশে আসার কথা থাকলেও কেন জানি অনিশ্চিত মনে হয় !!

অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ডঃ ইউনুস সাহেব রাষ্ট্র পরিচালনায় মননিবেশ দেখা যায় ।

আগামী দিনে জামাত শিবিরের বড় একটি গন জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় সেদিন হয়তো ধর্মভিত্তিক দু-একটি দল ও এনসিপির নেতাদের গরম বক্তব্যে উঠে আসবে “” নতুন পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্হা বাস্তবায়ন না হলে নতুন কৌশলে আগামীতে আন্দোলনের কর্মসূচি ।

এদের মদদপুষ্টে তো রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রভাবশালী উপদেষ্টার বেশ কয়েকজন ।

এদের উদ্দেশ্য নির্বাচন যত দেরি তে অনুষ্ঠিত হয় ,, কারন এতে দিন বছর বছর গড়ালে বিএনপির সারাদেশে অসাধু নেতাকর্মীর চাঁদাবাজি দখলবাজি সহ নানান অপরাধে দেশের মানুষ যেন বিএনপির সমর্থন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ।।

ইতিমধ্যে তার কিছু আলামত পরিলক্ষিত !

দেশের এসব অপরাধ দমনে সেনাবাহিনী কঠোর হস্তে দমন তৎপরতা সত্ত্বেও নির্মূল হাওয়া তো দূরের কথা বরঞ্চ দিনে দিনে নানান অপরাধে জনজীবনে অস্বস্তি বেড়েই চলেছে ।

সেদিন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বললেন সারাদেশে তাদের অপরাধ জগতের নেতাকর্মী প্রায় ২৫ হাজার চিন্হিত করে ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে ।

কবে কখন সেই ব্যবস্হা তা তিনি দিনক্ষণ ,, সঠিক ভাবে বলতে পারলেন না !

তবে সারাদেশে মানুষ কি দেখছে ,, কত-শত দল থেকে বহিষ্কার করার পরও কোথাও অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা কমেছে কিনা ,, মোটেই না

কেমনে কমবে অনুপ্রবেশকারীদের মূল উদ্দেশ্য বিএনপির অসৎ চরিত্রের নেতাকর্মীদের আর্থিক সুবিধা সহ দৈহিক শক্তিসমর্থে সঙ্গী থেকে দেশের বারোটা বাজায়ে তোলা ।

সচিবালয় থেকে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনে তো ১৫ বছরের পর থেকে পদ পদবি থাকা আওয়ামী লীগ পুষ্ট সচিব থেকে জেলা প্রশাসক টিএনও এবং পুলিশ সুপার থেকে ওসি পুলিশদের বিশাল কর্ম বাহিনী বহায় তবিয়তে ।

এদের মূল কাজ অনৈতিক ধারার নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রের সকল সুযোগ দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করা ।

অন্যদিকে জামাত এনসিপির নেতাকর্মীদের গোপনে সৎ পরামর্শ দিয়ে যায় যেন জনসম্মুখে তাদের রাজনীতির প্রতি সমর্থন বৃদ্ধিতে টনিক হিসেবে কাজ করে !

ভিনদেশী ষড়যন্ত্র তো আছেই কোন সুযোগে তাদের তাবেদার দালালের হাতে দেশের রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় ।

এতসব দেখে বিএনপির শীর্ষ নেতা জনাব তারেক রহমান কি করবেন ভাবিয়া হয়তো উৎকন্ঠিত ।

কি করবেন দলের মধ্যে তো জাতীয় বেঈমান বিশ্বাসঘাতক ভরা !

দেশের সাধারণ মানুষ এখনো মনে করেন তারেক রহমান দেশে সততার ঝান্ডা উড়াতে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ।। অন্য দিকে বিএনপি জড়িয়ে কোটি কোটি সমর্থক আশায় বুক বেঁধে আছে তার অপেক্ষায় ।

শেষতক প্রশ্ন গভীর ষড়যন্ত্রের আলামত চলছে !!
সংশয় জনমনে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে কি ।