এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুলের অনিয়ম দুর্নীতি ও কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

- আপডেট: ০৮:০২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৮০০৩
বিশেষ প্রতিনিধি :
এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলামের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি। কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স, একাধিক বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট। বাদ পড়েনি কোটিকোটি টাকার জমি ক্রয়। অভিযোগের ফিরিস্তি জমা হচ্ছে এলজিআরডি উপদেষ্টা ও সচিবের দপ্তরে। সরকারী বিধি মতে এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলীর যে বেতন স্কেল, তাতে মাঝারি মানের জীবন যাপন করা সম্ভব। কোটি কোটি টাকার অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হওয়া অসম্ভব। এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলামের কোটি কোটি টাকার সহায় সম্পদের নেপথ্যে আয়ের উৎস সম্পর্কে দিতে পারেননি কোন জবাব। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান রাকিবুল ইসলাম ডিপ্লোমা পাশ করে চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই বেপরোয়া জীবনযাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। চাকরির শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে ঠিকারদার চক্রের সাথে মিলে অবৈধ ভাবে ইনকাম করতে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে কাজ না করেই কাজের বিল উত্তোলন করে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও এভাবে অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্য, টেন্ডার বানিজ্য, বদলি বাণিজ্য, ঘুষ বানিজ্য, কর ফাঁকিসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী, পরিবার পরিজনের নামে বেনামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে গার্লফ্রেন্ডের নামেও রাকিবুল ইসলাম রাজধানীর অভিযাত এলাকায় কিনেছেন আধুনিক ফ্ল্যাট। রাকিবুল ইসলাম, এলজিইডি কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী, কমিরগঞ্জ উপজেলা সাবেক ইঞ্জিনিয়ার বর্তমানে ঢাকার এলজিইডির আগারগাও প্রধান কার্যালয় কর্মরত আছেন। রাকিবুল সিরাজগঞ্জ জেলা শাহাজাদপুর উপজেলার খাষ সাতবাড়িয়া গ্রামের শাহাদত হোসেন ও রোকেয়া খাতুনের ছেলে। ১৯৮৮ সালে জন্ম নেয়া রাকিবুল ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৯১৪৮৮০৯৯০৯ ও টিআইএন নং- ৬৯২৯৭৩৪২১৯৭১, কর সার্কেল-৮০, কর অঞ্চল-০৪, ঢাকা। এলজিইডি অফিসে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে অল্পদিনেরই আঙ্গুর ফুলে কলাগাছ হয়েছেন রাকিবুল।
এই কর্মকতার অবৈধ সম্পদের হিসাব শুনলে অনেকের চোখ মাথায় উঠে যাবে। শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৭৭ টাকা। এফডিআর এ বিনিয়োগ করেছেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। স্বর্ণের পরিমাণ ৭০ ভরী। তার আসবাবপত্র ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। লেপটপ ফ্রিজ ক্রয় করেছেন ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। নগদ রয়েছে ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৯০ টাকা। তার ব্যাংকে জমা রয়েছে ১৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩০৪ টাকা। সম্পত্তি প্রদর্শন করেছেন ২ কোটি ৮১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৭১ টাকা। ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার স্ত্রীর নামে একটি ৬ষ্ঠ তলা আলিশান বাড়ি রয়েছে। উত্তরায় তার স্ত্রীর নামে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। নিজ থানায় ৬০ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন এই কর্মকর্তা। সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুলের স্ত্রীর নামে ৫০ লক্ষ টাকা দামের গাড়ি রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রাকিবুলের নামে বেনামে তার স্ত্রীর নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা জমা। রাকিবুল ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্য বলে বিশেষ সূত্রে জানিয়েছেন। চাকরী জীবনের ১৬ বছরে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগ সরকারের অর্থ যোগানদাতা। বলে জানা গিয়েছে। অন্তর্বর্তী কালীন সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগের বিষয় তদন্ত করলে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে। দুর্নীতিবাজ রাকিবুল ইসলামের মতো অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন দেশবাসী।