০৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

তিন বছর আগে সুন্দরবন মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়: ফায়ার সার্ভিস

সোনালী খবর
সোনালী খবর
  • আপডেট: ০৪:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর গুলিস্থানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের আগুন বিপজ্জনক ছিল। এছাড়া দুই-তিন বছর আগে মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস। মার্কেটের ভেতরে ছিল না কোনো ধরনের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা।

শনিবার (২ আগস্ট) আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) কাজী নজমুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভবনের নিচতলা ও চার তলাসহ ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে অনেক লোকজন ছিল। এসব লোকজনকে বার বার বলার পরেও বের হতে চাচ্ছিলেন না তারা। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ সেনাবাহিনী এসব লোকজনকে ভবন থেকে বের করার চেষ্টা করে। ভবনে থাকা মানুষদের কারণে কাজ ব্যহত হচ্ছিল। আমরা যদি সঠিক সময়ে আমাদের কাজ না করতে পারি তাহলে আগুন নেভানো সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় বিপজ্জনক এই অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করতে পেরেছি। অগ্নিকাণ্ডটা বিপজ্জনক ছিল।

আগুনে কী পরিমাণ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা কি জানা গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী নজমুজ্জামান বলেন, আমরা দুইটা দোকানের শাটার খুলে আগুন পেয়েছি। তবে কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে এটা জানা যাবে।

আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ভবনের ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এছাড়া ভবনে কোনো ধরনের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এই ভবনটাকে তিন বছর আগেই ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। ভবনের বৈদ্যুতিক সংযোগের তারগুলো এলোমেলো অবস্থায় ছিল। এলোমেলো তারের কারণে আগুনটা একদিক থেকে অন্য দিকে চলে যায়। প্রচন্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়, এতে করে আগুন নেভাতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে।

হতাহতের কোনো ঘটনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো হতাহতের ঘটনা নেই।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

তিন বছর আগে সুন্দরবন মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়: ফায়ার সার্ভিস

আপডেট: ০৪:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর গুলিস্থানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের আগুন বিপজ্জনক ছিল। এছাড়া দুই-তিন বছর আগে মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল ফায়ার সার্ভিস। মার্কেটের ভেতরে ছিল না কোনো ধরনের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা।

শনিবার (২ আগস্ট) আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) কাজী নজমুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভবনের নিচতলা ও চার তলাসহ ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে অনেক লোকজন ছিল। এসব লোকজনকে বার বার বলার পরেও বের হতে চাচ্ছিলেন না তারা। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ সেনাবাহিনী এসব লোকজনকে ভবন থেকে বের করার চেষ্টা করে। ভবনে থাকা মানুষদের কারণে কাজ ব্যহত হচ্ছিল। আমরা যদি সঠিক সময়ে আমাদের কাজ না করতে পারি তাহলে আগুন নেভানো সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় বিপজ্জনক এই অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করতে পেরেছি। অগ্নিকাণ্ডটা বিপজ্জনক ছিল।

আগুনে কী পরিমাণ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা কি জানা গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী নজমুজ্জামান বলেন, আমরা দুইটা দোকানের শাটার খুলে আগুন পেয়েছি। তবে কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে এটা জানা যাবে।

আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ভবনের ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এছাড়া ভবনে কোনো ধরনের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এই ভবনটাকে তিন বছর আগেই ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। ভবনের বৈদ্যুতিক সংযোগের তারগুলো এলোমেলো অবস্থায় ছিল। এলোমেলো তারের কারণে আগুনটা একদিক থেকে অন্য দিকে চলে যায়। প্রচন্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়, এতে করে আগুন নেভাতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে।

হতাহতের কোনো ঘটনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো হতাহতের ঘটনা নেই।