১২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিমান বাহিনীকে নিয়ে সংবাদ ভিত্তিহীন : আইএসপিআর

  • আপডেট: ১০:০৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০১২

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

একটি দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর বলছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিমান বাহিনীর কাছে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে এসব তথ্য জানায় আইএসপিআর।

এতে বলা হয়, ৪ আগস্ট ‘দৈনিক আমার দেশ’ সংবাদ মাধ্যমের পত্রিকা, ইউটিউব চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালে ‘বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা- এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আউয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমোডর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম, উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদ-কে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শনাক্ত করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে ওই ছয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনীত বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিমান বাহিনীর কাছে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আইএসপিআর জানায়, প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত চাকরির বয়সসীমা শেষে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। এমন তথ্য আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে নিশ্চিত করা সত্ত্বেও ওই গণমাধ্যম থেকে এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য প্রচার করা হয় যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

একইভাবে প্রতিবেদনটিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিফাত আশরাফী ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহসিফ সুরি নামক দুই কর্মকর্তাকেও একই বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

বাস্তবে এই দুই কর্মকর্তাকেও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিমান বাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধিমালার আওতায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় অবসর দেওয়া হয়েছে যার সঙ্গে ওই অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রতিবেদনে প্রকাশিত এ ধরনের অপপ্রচার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজ ও পরিবারের সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করা ছাড়াও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা জাতীয় স্থিতিশীলতা ও সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারত্ব ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।

আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ প্রেক্ষিতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি রোধে বিমান বাহিনী সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য নিশ্চিতকরণ ও প্রচারের লক্ষ্যে সর্বদা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সব গণমাধ্যমকে আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

বিমান বাহিনীকে নিয়ে সংবাদ ভিত্তিহীন : আইএসপিআর

আপডেট: ১০:০৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

একটি দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর বলছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিমান বাহিনীর কাছে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে এসব তথ্য জানায় আইএসপিআর।

এতে বলা হয়, ৪ আগস্ট ‘দৈনিক আমার দেশ’ সংবাদ মাধ্যমের পত্রিকা, ইউটিউব চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালে ‘বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা- এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আউয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমোডর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম, উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদ-কে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শনাক্ত করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে ওই ছয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনীত বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিমান বাহিনীর কাছে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আইএসপিআর জানায়, প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত চাকরির বয়সসীমা শেষে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। এমন তথ্য আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে নিশ্চিত করা সত্ত্বেও ওই গণমাধ্যম থেকে এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য প্রচার করা হয় যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

একইভাবে প্রতিবেদনটিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিফাত আশরাফী ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহসিফ সুরি নামক দুই কর্মকর্তাকেও একই বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

বাস্তবে এই দুই কর্মকর্তাকেও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিমান বাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধিমালার আওতায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় অবসর দেওয়া হয়েছে যার সঙ্গে ওই অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই।

প্রতিবেদনে প্রকাশিত এ ধরনের অপপ্রচার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজ ও পরিবারের সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করা ছাড়াও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা জাতীয় স্থিতিশীলতা ও সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারত্ব ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।

আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ প্রেক্ষিতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি রোধে বিমান বাহিনী সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য নিশ্চিতকরণ ও প্রচারের লক্ষ্যে সর্বদা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সব গণমাধ্যমকে আহ্বান জানানো যাচ্ছে।