১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসন্ন দূর্গা পূজায় অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • আপডেট: ০১:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন দূর্গা পূজায় অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সামানে দুর্গাপূজায় আবারো সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা হচ্ছে। গত বছরের ন্যায়ও এ বছর সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকতে হবে।

সকল পুলিশ সদস্যদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, গতবার কিন্তু আপনাদের সহযোগিতায় দুর্গাপূজা খুব ভালোভাবে হয়েছে। এজন্য আপনারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

গত বছরের মতন এ বছরও দূর্গা পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনটা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে না। এটার কতগুলো স্টেক হোল্ডার রয়েছে। এরমধ্যে জনগণ, তারা কতটুকু অংশগ্রহণ করবে, সবচেয়ে বড় স্টেক হোল্ডার রাজনৈতিক দল, তারা নির্বাচনটা কীভাবে করছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন,প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ এবং প্রধান উপদেষ্টার যেই আশা একটা উৎসবমুখর নির্বাচন সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে কাজ এটা আমরা পুরোদমে করে যাব। এরই মধ্যে আমরা মাস্টার ট্রেনারদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছি। আমরা আশা করব, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে, এটা যেন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয়। এরজন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার, এই ব্যাপারে আপনাদের কোনো কার্পন্য থাকবে না।

‎পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন মাথা থেকে মুছে ফেলবেন। আরেকটি অনুরোধ, আপনারা সমাজ থেকে দুর্নীতি এবং মাদক এটা কমাতে পারেন কিনা। আপনারা যদি সহযোগিতা করেন এটা আমরা সমাজ থেকে কমাতে পারবো। যদিও আমাদের সময় খুব একটা নাই, আমরা সেকেন্ড স্টেইজে, আমরা এখন ইলেকশন মডিউলে চলে গেছি। তারপরও নির্বাচনের সাথে সাথে এই জিনিসটা আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।

‎পুলিশ ইচ্ছা করলে পারেন না তা নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার আপনারা জাতিকে দেখিয়ে দিছেন, পুলিশ একটা ফেয়ার নিয়োগ করতে পারে। সাংবাদিকরা অনেক সময় ছোটখাট বিষয়ে অনেক কিছু বলে, এবার নিয়োগ সমন্ধে তারা কিন্তু কিছু বলতে পারে নাই। এখন বলার পরে তারা ছোটখাটো ভুল ধরবে কিনা আমি জানি না। নিয়োগটা নিরপেক্ষ হয়েছে। আমি আইজিপি বা কারোর কাছে নিয়োগের জন্য একটা নামও দেইনি। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেও কেউ দেয় নাই। এজন্য নিয়োগ প্রক্রিয়াটা খুব ভালোভাবে করতে পেরেছেন, যার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে আমি সব পারি নাই। যেহেতু পারি নাই, এজন্য বলছি নির্বাচনের আগে এটা আমি লটারির মাধ্যমে করে দিবো। যেটা আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, অন্তত একটা যেন আমি করতে পারি। এটাতে অনেক প্রতিবন্ধকতা, বাধা আসবে। আমি কারো কোনো কথা শুনবো না। এটা আমি লটারির মাধ্যমেই হবে যদি আমি থাকি।

‎পরে লিখিত বক্তব্যে পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিছক কোনো প্রশিক্ষণ নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিছক কোনো প্রশিক্ষণ নয় বরং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিনের অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক, একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ বিলোপের গণতন্ত্রের ভিত্তি ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তা রক্ষার জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী, সুশৃঙ্খল, পেশাদার, প্রশিক্ষিত, সুসজ্জিত দেশ প্রমিক পুলিশ বাহিনী সংযুক্ত হওয়ায় দৃঢ় প্রত্যয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আসন্ন দূর্গা পূজায় অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট: ০১:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন দূর্গা পূজায় অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সামানে দুর্গাপূজায় আবারো সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা হচ্ছে। গত বছরের ন্যায়ও এ বছর সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকতে হবে।

সকল পুলিশ সদস্যদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, গতবার কিন্তু আপনাদের সহযোগিতায় দুর্গাপূজা খুব ভালোভাবে হয়েছে। এজন্য আপনারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

গত বছরের মতন এ বছরও দূর্গা পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনটা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে না। এটার কতগুলো স্টেক হোল্ডার রয়েছে। এরমধ্যে জনগণ, তারা কতটুকু অংশগ্রহণ করবে, সবচেয়ে বড় স্টেক হোল্ডার রাজনৈতিক দল, তারা নির্বাচনটা কীভাবে করছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন,প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ এবং প্রধান উপদেষ্টার যেই আশা একটা উৎসবমুখর নির্বাচন সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে কাজ এটা আমরা পুরোদমে করে যাব। এরই মধ্যে আমরা মাস্টার ট্রেনারদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছি। আমরা আশা করব, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে, এটা যেন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয়। এরজন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার, এই ব্যাপারে আপনাদের কোনো কার্পন্য থাকবে না।

‎পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন মাথা থেকে মুছে ফেলবেন। আরেকটি অনুরোধ, আপনারা সমাজ থেকে দুর্নীতি এবং মাদক এটা কমাতে পারেন কিনা। আপনারা যদি সহযোগিতা করেন এটা আমরা সমাজ থেকে কমাতে পারবো। যদিও আমাদের সময় খুব একটা নাই, আমরা সেকেন্ড স্টেইজে, আমরা এখন ইলেকশন মডিউলে চলে গেছি। তারপরও নির্বাচনের সাথে সাথে এই জিনিসটা আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।

‎পুলিশ ইচ্ছা করলে পারেন না তা নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার আপনারা জাতিকে দেখিয়ে দিছেন, পুলিশ একটা ফেয়ার নিয়োগ করতে পারে। সাংবাদিকরা অনেক সময় ছোটখাট বিষয়ে অনেক কিছু বলে, এবার নিয়োগ সমন্ধে তারা কিন্তু কিছু বলতে পারে নাই। এখন বলার পরে তারা ছোটখাটো ভুল ধরবে কিনা আমি জানি না। নিয়োগটা নিরপেক্ষ হয়েছে। আমি আইজিপি বা কারোর কাছে নিয়োগের জন্য একটা নামও দেইনি। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেও কেউ দেয় নাই। এজন্য নিয়োগ প্রক্রিয়াটা খুব ভালোভাবে করতে পেরেছেন, যার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে আমি সব পারি নাই। যেহেতু পারি নাই, এজন্য বলছি নির্বাচনের আগে এটা আমি লটারির মাধ্যমে করে দিবো। যেটা আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, অন্তত একটা যেন আমি করতে পারি। এটাতে অনেক প্রতিবন্ধকতা, বাধা আসবে। আমি কারো কোনো কথা শুনবো না। এটা আমি লটারির মাধ্যমেই হবে যদি আমি থাকি।

‎পরে লিখিত বক্তব্যে পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিছক কোনো প্রশিক্ষণ নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিছক কোনো প্রশিক্ষণ নয় বরং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিনের অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক, একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ বিলোপের গণতন্ত্রের ভিত্তি ও পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তা রক্ষার জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী, সুশৃঙ্খল, পেশাদার, প্রশিক্ষিত, সুসজ্জিত দেশ প্রমিক পুলিশ বাহিনী সংযুক্ত হওয়ায় দৃঢ় প্রত্যয়।