০২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে যে নিয়মের কথা বললেন আইজিপি

  • আপডেট: ০৪:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সারাদেশে অনেক নিরীহ মানুষের নামে মামলা হয়েছে। অনেকে মামলা বাণিজ্য করেছে। এসব মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে নতুন নিয়মে আবেদনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

নতুন নিয়মে এখন পর্যন্ত ১৩৬ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং আরও ২৩৬ জনের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, অনেক মামলায় নিরীহ মানুষদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে; এজন্য সরকার ফৌজদারি কার্যবিধিতে ১৭৩ ধারাকে সংযোজিত করে ১৭৩ এর ‘এ’ নামে আরেকটি ধারা আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করেছে। এই ধারা অনুযায়ী যারা নিজেকে নির্দোষ, নিরীহ মনে করেন তারা সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে নির্দোষ হিসেবে আদালতে প্রতিবেদন পাঠাতে পারেন। আদালত সেটি গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন। চার্জশিট দেওয়ার আগেই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে। এখন থেকে নির্দোষ ব্যক্তিরা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, এই নতুন ধারায় পুলিশের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১৩৬ জনকে মামলার অভিযোগ থেকে আদালত অব্যাহতি দিয়েছেন। এছাড়া আরও ২৩৬ জনের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।

পুলিশ প্রধান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৫৫টি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। এরমধ্যে হত্যা মামলা ১৮টি অন্যান্য মামলা ৩৭টি। হত্যা মামলায় ১৯৪১ জনের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য ধারায় ৩৭টি মামলায় ২১৮৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটে নাম এসেছে। দুই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মোট মামলার সংখ্যা ১৭৬০। অধিকাংশ মামলাই এখন পর্যন্ত তদন্তাধীন। মামলাগুলো তদন্ত করতে শুধু এসআই-ইনস্পেক্টররাই নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদারকি করে থাকেন।

তিনি বলেন, এক বছরে আমরা মাত্র ৫৫টি মামলার চার্জশিট দিতে পেরেছি। ১৭০০ মামলার চার্জশিট দিতে কত বছর লাগে আল্লাহ্‌ জানে।

নির্বাচনে সামনে রেখে চ্যালেঞ্জের কথা বলছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলবেন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন পক্ষকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পুলিশ থানা ছেড়ে চলে গিয়েছিলো। সেখান থেকে এক বছরে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা চাচ্ছি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা অর্জন করতে। আমাদের বিশ্বাস পারবো। আমি কোনো শক্তির কথা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। যারা পরাজিত ফ্যাসিস্ট তারাও আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। তাদের নেতাকর্মী ও সাপোর্টাররাও আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) এ কে এম আওলাদ হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মো. আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও অতিরিক্ত আইজিপি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে যে নিয়মের কথা বললেন আইজিপি

আপডেট: ০৪:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সারাদেশে অনেক নিরীহ মানুষের নামে মামলা হয়েছে। অনেকে মামলা বাণিজ্য করেছে। এসব মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে নতুন নিয়মে আবেদনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

নতুন নিয়মে এখন পর্যন্ত ১৩৬ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং আরও ২৩৬ জনের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সংক্রান্ত’ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, অনেক মামলায় নিরীহ মানুষদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে; এজন্য সরকার ফৌজদারি কার্যবিধিতে ১৭৩ ধারাকে সংযোজিত করে ১৭৩ এর ‘এ’ নামে আরেকটি ধারা আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করেছে। এই ধারা অনুযায়ী যারা নিজেকে নির্দোষ, নিরীহ মনে করেন তারা সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে নির্দোষ হিসেবে আদালতে প্রতিবেদন পাঠাতে পারেন। আদালত সেটি গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন। চার্জশিট দেওয়ার আগেই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে। এখন থেকে নির্দোষ ব্যক্তিরা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, এই নতুন ধারায় পুলিশের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ১৩৬ জনকে মামলার অভিযোগ থেকে আদালত অব্যাহতি দিয়েছেন। এছাড়া আরও ২৩৬ জনের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।

পুলিশ প্রধান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৫৫টি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। এরমধ্যে হত্যা মামলা ১৮টি অন্যান্য মামলা ৩৭টি। হত্যা মামলায় ১৯৪১ জনের বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য ধারায় ৩৭টি মামলায় ২১৮৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটে নাম এসেছে। দুই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মোট মামলার সংখ্যা ১৭৬০। অধিকাংশ মামলাই এখন পর্যন্ত তদন্তাধীন। মামলাগুলো তদন্ত করতে শুধু এসআই-ইনস্পেক্টররাই নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদারকি করে থাকেন।

তিনি বলেন, এক বছরে আমরা মাত্র ৫৫টি মামলার চার্জশিট দিতে পেরেছি। ১৭০০ মামলার চার্জশিট দিতে কত বছর লাগে আল্লাহ্‌ জানে।

নির্বাচনে সামনে রেখে চ্যালেঞ্জের কথা বলছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলবেন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন পক্ষকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পুলিশ থানা ছেড়ে চলে গিয়েছিলো। সেখান থেকে এক বছরে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা চাচ্ছি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা অর্জন করতে। আমাদের বিশ্বাস পারবো। আমি কোনো শক্তির কথা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। যারা পরাজিত ফ্যাসিস্ট তারাও আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। তাদের নেতাকর্মী ও সাপোর্টাররাও আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) এ কে এম আওলাদ হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মো. আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ ও অতিরিক্ত আইজিপি (ডেভেলপমেন্ট) সরদার নূরুল আমিন।