০২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

ইপিজেড-পতেঙ্গা সড়কের যানজট নিরশনে বিশাল মানববন্ধন

সোনালী খবর
সোনালী খবর
  • আপডেট: ০৭:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / ১০

মো, আমিনুল ইসলাম,চট্টগ্রাম

“শান্তিতে বাঁচার অধিকার চাই যানজট নয়”
বন্দর -ইপিজেড-পতেঙ্গা সড়কের যানজট নিরশনে বিশাল মানববন্ধনে উত্তাল জনতা কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারি

ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা। এলাকার জনগণ আজ অসহনীয় যানজটের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসেন, যানজটমুক্ত নগরীর জন্য। সচেতন নাগরিকদের উদ্যোগে গত ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর সল্টগোলা থেকে সিমেন্টক্রসিং পর্যন্ত গড়ে ওঠে এক ব্যতিক্রমী শান্তিপূর্ণ বিশাল মানববন্ধন।

“বন্দর ইপিজেড পতেঙ্গা সচেতন নাগরিক সমাজ”র ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন—যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল,চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি ও সিটিজেন ফোরাম বন্দর থানা সভাপতি – আলহাজ্ব হানিফ সওদাগরের নেতৃত্বে  স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ইমাম, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণের প্রায় সাত লক্ষ মানুষের উপস্থিতি। এটা কেবল মানববন্ধন নয়, একপ্রকার নীরব ক্রন্দন।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিশিষ্ট ব্যাংকার নিজাম উদ্দীন মো. মামুনের সঞ্চালনায়, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা সেলিম রেজা, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠক হাজী মো. ফয়সল।

বক্তারা বলেন, এটি আর কেবল যানজট নয়, এটি এখন এক সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থী, রোগী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, এমনকি চলাচলকারী প্রত্যেক নাগরিক প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে থেকে নির্দয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বক্তারা তুলে ধরেন, বিগত কিছু দিন আগে এক অসুস্থ ব্যবসায়ী সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পেরে গাড়ির মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন। শুধু তাই নই মৃত্যু যেন প্রতিদিন ঘটছে রাস্তায়, কেউ খবর পেয়েও নিরব, কারণ মানুষ ঝামেলায় যেতে চায় না তাই যানজটের কারণে মৃত্যু হলেও নিরবে মেনে নিচ্ছে অনেক মানুষ, কিন্তু এখন আর মেনে নেওয়ার মতো সময় নেই, তাই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে সাধারণ জনগণ, জরুরি রোগী, প্রসূতি নারী, অ্যাম্বুলেন্স—সবই আটকে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এক অভিভাবক কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ে কলেজে পৌঁছাতে প্রতিদিন দেড় ঘন্টা আগে বের হয়, তাও পৌঁছাতে পারে না সময়মতো।
এই অচলাবস্থা শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির জন্যও ভয়াবহ হুমকি—বক্তারা এমনটাই মত দেন।

বন্দর ও শিল্প এলাকার স্থবিরতা- জাতীয় অর্থনীতির হুমকি চট্টগ্রাম বন্দর, সিইপিজেড, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তেল ডিপোসহ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্থাপনাগুলোর প্রবেশপথ জুড়ে প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে। এতে করে কন্টেইনার ডেলিভারি, শিল্পপণ্য পরিবহন ও আমদানি-রপ্তানির প্রক্রিয়াও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে রক্ষা করতে হলে এই অঞ্চলকে যানজটমুক্ত রাখা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী ও সচেতন সমাজের পক্ষ থেকে কয়েকটি বাস্তবসম্মত, জরুরি এবং কার্যকর পদক্ষেপের দাবি তুলে ধরা হয়—
১. সল্টগোলা থেকে ইপিজেড পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে সকল ধরনের অবৈধ পার্কিং নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. অবৈধ হকার, দোকানপাট উচ্ছেদ করে ফুটপাত পরিষ্কার রাখতে হবে।
৩. বন্দরের প্রবেশপথ ২নং এনসিটি গেইট কমপক্ষে ১০০ গজ ভিতরে স্থানান্তর ও গেট সম্প্রসারণ করতে হবে।
৪. একটি গেট দিয়ে গাড়ি প্রবেশ ও অন্য গেট দিয়ে নির্গমনের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৫. কন্টেইনারবাহী ট্রেইলার, ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের জন্য ডিপু সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৬. যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও গতিশীল করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন-
ডাঃ নুরুল আলম ও ডাঃ মোঃ ইমতিয়াজ – বিশিষ্ট চিকিৎসক
আলহাজ্ব হানিফ সওদাগর – সভাপতি, বন্দর থানা সিটিজেন ফোরাম
রোকন উদ্দীন মো. খলিল – সভাপতি, ইপিজেড থানা সিটিজেন ফোরাম, নাছিম উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম, মনছুর আলম, আলহাজ্ব বদিউল আলম রিজভী – বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান। সাংবাদিক – মোহাম্মদ হোসেন, জাকারিয়া হোসেন, আমিনুল ইসলাম,ফয়সাল হাসান জনি।
আলহাজ্ব মো. শাহজাহান, জহির উদ্দীন, মো. আজম উদ্দীন, মুজিবুল হক বকুল, মো. তাজ উদ্দীন তাজু, মো. সেলিম, আব্দুল্লাহ ওমর বাহাদুর, নাহিদুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, আলী আজম, শাহজাহান কোম্পানী,শাহেদুল আলম, জাহিদ, পারভেজ,ফারুক, দেলোয়ার হোসেন, শাহেদা খানম, মো. নুরুদ্দিন, হাজী মোঃ হোসেন – বিভিন্ন সমাজসেবক ও নেতৃবৃন্দ।

এই মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে জনমনে আশার আলো জাগলেও, সংগঠকরা বলেন, এই কর্মসূচি ছিল প্রথম ধাপ। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে  গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, এমনকি অবস্থান কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে। এলাকাবাসীর স্পষ্ট বার্তা, আমরা আর কষ্টের জীবন চাই না। যানজটের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই। বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা—এই তিন অঞ্চলের দশ লক্ষের ও অধিক  নাগরিকের নীরব ক্রন্দন যেন প্রশাসন অবশেষে শুনতে পায়—এটাই ছিল ২৪ জুলাইয়ের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মূল বার্তা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

ইপিজেড-পতেঙ্গা সড়কের যানজট নিরশনে বিশাল মানববন্ধন

আপডেট: ০৭:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

মো, আমিনুল ইসলাম,চট্টগ্রাম

“শান্তিতে বাঁচার অধিকার চাই যানজট নয়”
বন্দর -ইপিজেড-পতেঙ্গা সড়কের যানজট নিরশনে বিশাল মানববন্ধনে উত্তাল জনতা কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারি

ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা। এলাকার জনগণ আজ অসহনীয় যানজটের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসেন, যানজটমুক্ত নগরীর জন্য। সচেতন নাগরিকদের উদ্যোগে গত ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর সল্টগোলা থেকে সিমেন্টক্রসিং পর্যন্ত গড়ে ওঠে এক ব্যতিক্রমী শান্তিপূর্ণ বিশাল মানববন্ধন।

“বন্দর ইপিজেড পতেঙ্গা সচেতন নাগরিক সমাজ”র ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন—যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল,চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি ও সিটিজেন ফোরাম বন্দর থানা সভাপতি – আলহাজ্ব হানিফ সওদাগরের নেতৃত্বে  স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ইমাম, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণের প্রায় সাত লক্ষ মানুষের উপস্থিতি। এটা কেবল মানববন্ধন নয়, একপ্রকার নীরব ক্রন্দন।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিশিষ্ট ব্যাংকার নিজাম উদ্দীন মো. মামুনের সঞ্চালনায়, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা সেলিম রেজা, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠক হাজী মো. ফয়সল।

বক্তারা বলেন, এটি আর কেবল যানজট নয়, এটি এখন এক সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থী, রোগী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, এমনকি চলাচলকারী প্রত্যেক নাগরিক প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে থেকে নির্দয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বক্তারা তুলে ধরেন, বিগত কিছু দিন আগে এক অসুস্থ ব্যবসায়ী সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পেরে গাড়ির মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন। শুধু তাই নই মৃত্যু যেন প্রতিদিন ঘটছে রাস্তায়, কেউ খবর পেয়েও নিরব, কারণ মানুষ ঝামেলায় যেতে চায় না তাই যানজটের কারণে মৃত্যু হলেও নিরবে মেনে নিচ্ছে অনেক মানুষ, কিন্তু এখন আর মেনে নেওয়ার মতো সময় নেই, তাই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে সাধারণ জনগণ, জরুরি রোগী, প্রসূতি নারী, অ্যাম্বুলেন্স—সবই আটকে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এক অভিভাবক কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ে কলেজে পৌঁছাতে প্রতিদিন দেড় ঘন্টা আগে বের হয়, তাও পৌঁছাতে পারে না সময়মতো।
এই অচলাবস্থা শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির জন্যও ভয়াবহ হুমকি—বক্তারা এমনটাই মত দেন।

বন্দর ও শিল্প এলাকার স্থবিরতা- জাতীয় অর্থনীতির হুমকি চট্টগ্রাম বন্দর, সিইপিজেড, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তেল ডিপোসহ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্থাপনাগুলোর প্রবেশপথ জুড়ে প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে। এতে করে কন্টেইনার ডেলিভারি, শিল্পপণ্য পরিবহন ও আমদানি-রপ্তানির প্রক্রিয়াও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে রক্ষা করতে হলে এই অঞ্চলকে যানজটমুক্ত রাখা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী ও সচেতন সমাজের পক্ষ থেকে কয়েকটি বাস্তবসম্মত, জরুরি এবং কার্যকর পদক্ষেপের দাবি তুলে ধরা হয়—
১. সল্টগোলা থেকে ইপিজেড পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে সকল ধরনের অবৈধ পার্কিং নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. অবৈধ হকার, দোকানপাট উচ্ছেদ করে ফুটপাত পরিষ্কার রাখতে হবে।
৩. বন্দরের প্রবেশপথ ২নং এনসিটি গেইট কমপক্ষে ১০০ গজ ভিতরে স্থানান্তর ও গেট সম্প্রসারণ করতে হবে।
৪. একটি গেট দিয়ে গাড়ি প্রবেশ ও অন্য গেট দিয়ে নির্গমনের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৫. কন্টেইনারবাহী ট্রেইলার, ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের জন্য ডিপু সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৬. যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও গতিশীল করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন-
ডাঃ নুরুল আলম ও ডাঃ মোঃ ইমতিয়াজ – বিশিষ্ট চিকিৎসক
আলহাজ্ব হানিফ সওদাগর – সভাপতি, বন্দর থানা সিটিজেন ফোরাম
রোকন উদ্দীন মো. খলিল – সভাপতি, ইপিজেড থানা সিটিজেন ফোরাম, নাছিম উদ্দীন, জাহাঙ্গীর আলম, মনছুর আলম, আলহাজ্ব বদিউল আলম রিজভী – বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান। সাংবাদিক – মোহাম্মদ হোসেন, জাকারিয়া হোসেন, আমিনুল ইসলাম,ফয়সাল হাসান জনি।
আলহাজ্ব মো. শাহজাহান, জহির উদ্দীন, মো. আজম উদ্দীন, মুজিবুল হক বকুল, মো. তাজ উদ্দীন তাজু, মো. সেলিম, আব্দুল্লাহ ওমর বাহাদুর, নাহিদুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, আলী আজম, শাহজাহান কোম্পানী,শাহেদুল আলম, জাহিদ, পারভেজ,ফারুক, দেলোয়ার হোসেন, শাহেদা খানম, মো. নুরুদ্দিন, হাজী মোঃ হোসেন – বিভিন্ন সমাজসেবক ও নেতৃবৃন্দ।

এই মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে জনমনে আশার আলো জাগলেও, সংগঠকরা বলেন, এই কর্মসূচি ছিল প্রথম ধাপ। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে  গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, এমনকি অবস্থান কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে। এলাকাবাসীর স্পষ্ট বার্তা, আমরা আর কষ্টের জীবন চাই না। যানজটের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই। বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা—এই তিন অঞ্চলের দশ লক্ষের ও অধিক  নাগরিকের নীরব ক্রন্দন যেন প্রশাসন অবশেষে শুনতে পায়—এটাই ছিল ২৪ জুলাইয়ের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের মূল বার্তা।