০৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

মা ইলিশ সংরক্ষণে সমুদ্র ও নদীতে নৌবাহিনীর কড়া নজরদারি

  • আপডেট: ১২:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে শুরু হয়েছে ২২ দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান। শনিবার (৪ অক্টোবর) এই অভিযান শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এসময় সারাদেশে ইলিশ আহরণ,পরিবহন,মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,সরকার ঘোষিত এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সমুদ্র,নদী ও উপকূলীয় এলাকায় কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ কর্মসূচির আওতায় নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধজাহাজ দেশের নয়টি জেলায় টহল দিচ্ছে।

অভিযানের অংশ হিসেবে— চাঁদপুর এলাকায় বানৌজা ধানসিঁড়ি/শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল,কক্সবাজার এলাকায় বানৌজা অতন্দ্র,শহীদ মহিবুল্লাহ,দুর্জয়,সাগর ও শহীদ দৌলত, খুলনা এলাকায় বানৌজা মেঘনা,চিত্রা/তিতাস,বাগেরহাট এলাকায় বানৌজা করতোয়া,আবু বকর/দুর্গম,পিরোজপুর ও বরগুনায় বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা, বরিশালে বানৌজা পদ্মা,চিত্রা/তিতাস,পটুয়াখালীতে এলসিভিপি-০১৩ টহল কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যুদ্ধজাহাজ ও অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে,অভিযান চলাকালে অবৈধভাবে ইলিশ আহরণকারী অসাধু জেলে ও যান্ত্রিক নৌযানের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে। একইসঙ্গে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হবে। ইলিশ মাছের প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষিত রাখা ও জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে মা ইলিশ সংরক্ষণ আমাদের অঙ্গীকার। দেশীয় মাছের প্রাচুর্য বাড়াতে এবং মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত হলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

মা ইলিশ সংরক্ষণে সমুদ্র ও নদীতে নৌবাহিনীর কড়া নজরদারি

আপডেট: ১২:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে শুরু হয়েছে ২২ দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান। শনিবার (৪ অক্টোবর) এই অভিযান শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এসময় সারাদেশে ইলিশ আহরণ,পরিবহন,মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,সরকার ঘোষিত এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সমুদ্র,নদী ও উপকূলীয় এলাকায় কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ কর্মসূচির আওতায় নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধজাহাজ দেশের নয়টি জেলায় টহল দিচ্ছে।

অভিযানের অংশ হিসেবে— চাঁদপুর এলাকায় বানৌজা ধানসিঁড়ি/শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল,কক্সবাজার এলাকায় বানৌজা অতন্দ্র,শহীদ মহিবুল্লাহ,দুর্জয়,সাগর ও শহীদ দৌলত, খুলনা এলাকায় বানৌজা মেঘনা,চিত্রা/তিতাস,বাগেরহাট এলাকায় বানৌজা করতোয়া,আবু বকর/দুর্গম,পিরোজপুর ও বরগুনায় বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা, বরিশালে বানৌজা পদ্মা,চিত্রা/তিতাস,পটুয়াখালীতে এলসিভিপি-০১৩ টহল কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। এছাড়া গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যুদ্ধজাহাজ ও অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে,অভিযান চলাকালে অবৈধভাবে ইলিশ আহরণকারী অসাধু জেলে ও যান্ত্রিক নৌযানের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে। একইসঙ্গে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হবে। ইলিশ মাছের প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষিত রাখা ও জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে মা ইলিশ সংরক্ষণ আমাদের অঙ্গীকার। দেশীয় মাছের প্রাচুর্য বাড়াতে এবং মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত হলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।