০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মীর বাসায় চাঁদাবাজি,মামলার এজাহারে যা আছে

সোনালী খবর
সোনালী খবর
  • আপডেট: ০৪:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • /

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) গুলশান থানায় মামলাটি করেন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদা নেওয়ার সময় হাতে-নাতে আটক হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচজন নেতা। চাঁদাবাজির অভিযোগে হওয়া মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলো— আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

এদিকে চাঁদাবাজিতে সরাসরি জড়িত অভিযোগে শনিবার রাতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিননেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন— ঢাকা মহানগর শাখার আহবায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাব। সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

বহিষ্কার আদেশে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের (বহিষ্কার নেতাদের) সঙ্গে কোনোরকম সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে:

এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন সমন্বয় পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি পঞ্চাশ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে দশলাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে। যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানায়; এসময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকালে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এসময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরও ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করি। তাৎক্ষণিক পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন ও আমিনুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। এসময় কাজী গৌরব অপু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এদিকে রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুর একটার দিকে গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে আদালতে নিয়েছে পুলিশ।

গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, ‘আসামিদের আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও শুনানি হয়নি।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মীর বাসায় চাঁদাবাজি,মামলার এজাহারে যা আছে

আপডেট: ০৪:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) গুলশান থানায় মামলাটি করেন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদা নেওয়ার সময় হাতে-নাতে আটক হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচজন নেতা। চাঁদাবাজির অভিযোগে হওয়া মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলো— আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

এদিকে চাঁদাবাজিতে সরাসরি জড়িত অভিযোগে শনিবার রাতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিননেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন— ঢাকা মহানগর শাখার আহবায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাব। সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

বহিষ্কার আদেশে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের (বহিষ্কার নেতাদের) সঙ্গে কোনোরকম সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে:

এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০/১২ জন সমন্বয় পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি পঞ্চাশ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে দশলাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে। যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানায়; এসময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকালে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এসময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরও ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করি। তাৎক্ষণিক পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন ও আমিনুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। এসময় কাজী গৌরব অপু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এদিকে রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুর একটার দিকে গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে আদালতে নিয়েছে পুলিশ।

গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, ‘আসামিদের আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনও শুনানি হয়নি।’