০১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চাকরির প্রলোভনে প্রতারণা: ক্রিপ্টোকারেন্সিতে হুন্ডি করে পাচার, গ্রেফতার ১

  • আপডেট: ০৪:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

টেলিগ্রামের মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য নয়ন আলী (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য জানান।

সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) একটি দল গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

নয়ন আলী ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে হুন্ডি করে এসব টাকা বিদেশে পাচার করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রতারক চক্রটি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের অজ্ঞাত নম্বর থেকে ভুক্তভোগীদের কাছে ঘরে বসে অল্প সময়ে বেশি আয়ের লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব পাঠাতো। প্রলোভনে পা দিলেই দেওয়া হতো টেলিগ্রামের একটি লিংক, যেখানে কিছু সাধারণ টাস্ক (কাজ) সম্পন্ন করলেই বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে অর্থ দেওয়া হতো।

এতে ভুক্তভোগীর বিশ্বাস অর্জনের পর শুরু হতো বিনিয়োগের প্রস্তাব। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা নেওয়ার পর তা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে হুন্ডি করে বিদেশে পাচার করা হতো।

গ্রেফতার নয়ন আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার চাচা পরিচয়ের জুহুরুল ইসলাম (৪০) তাকে চক্রটির সঙ্গে যুক্ত করেন। মূলহোতা মেহেদী হাসানের (৩০) নির্দেশে নিজের ও বোনের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করতেন তিনি। প্রতি ১ লাখ টাকার জন্য ১ হাজার টাকা কমিশন পেতেন এবং গত তিন মাসে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

সিআইডির তথ্যমতে, নয়ন আলীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত তিন মাসে প্রায় ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা ও চট্টগ্রামে একই অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন আরও জানান, চক্রটির মূলহোতা মেহেদী হাসান ও জুহুরুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যে কোনো বিনিয়োগের অফার সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

চাকরির প্রলোভনে প্রতারণা: ক্রিপ্টোকারেন্সিতে হুন্ডি করে পাচার, গ্রেফতার ১

আপডেট: ০৪:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

টেলিগ্রামের মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য নয়ন আলী (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য জানান।

সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) একটি দল গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

নয়ন আলী ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে হুন্ডি করে এসব টাকা বিদেশে পাচার করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রতারক চক্রটি প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের অজ্ঞাত নম্বর থেকে ভুক্তভোগীদের কাছে ঘরে বসে অল্প সময়ে বেশি আয়ের লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব পাঠাতো। প্রলোভনে পা দিলেই দেওয়া হতো টেলিগ্রামের একটি লিংক, যেখানে কিছু সাধারণ টাস্ক (কাজ) সম্পন্ন করলেই বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে অর্থ দেওয়া হতো।

এতে ভুক্তভোগীর বিশ্বাস অর্জনের পর শুরু হতো বিনিয়োগের প্রস্তাব। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা নেওয়ার পর তা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে হুন্ডি করে বিদেশে পাচার করা হতো।

গ্রেফতার নয়ন আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার চাচা পরিচয়ের জুহুরুল ইসলাম (৪০) তাকে চক্রটির সঙ্গে যুক্ত করেন। মূলহোতা মেহেদী হাসানের (৩০) নির্দেশে নিজের ও বোনের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করতেন তিনি। প্রতি ১ লাখ টাকার জন্য ১ হাজার টাকা কমিশন পেতেন এবং গত তিন মাসে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

সিআইডির তথ্যমতে, নয়ন আলীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত তিন মাসে প্রায় ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা ও চট্টগ্রামে একই অভিযোগে আরও একটি মামলা রয়েছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন আরও জানান, চক্রটির মূলহোতা মেহেদী হাসান ও জুহুরুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যে কোনো বিনিয়োগের অফার সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।