অপরাধীদের ভাগের চেয়ে সোর্সদের ভাগ বেশি: ডিসি রমনা

- আপডেট: ০৩:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৮০১০
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
অপরাধীদের ভাগের চেয়ে সোর্সদের ভাগ বেশি পায়। কোনো ডাকাতি বা অপারেশন সফল হলে অপরাধীরা যেখানে এক লাখ টাকা ভাগ পায়,সেখানে সোর্সরা পায় দেড় লাখ টাকা বলেছেন রমনা বিভাগের ডিসি মো.মাসুদ আলম।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিন্টু রোডে ডিবি পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতারক চক্রের কৌশল প্রসঙ্গে ডিসি রমনা বলেন, তাদের প্রচুর পেইড সোর্স রয়েছে। এসব সোর্স ভুক্তভোগীদের টার্গেট করতে সহায়তা করে। কোনো ডাকাতি বা অপারেশন সফল হলে অপরাধীরা যেখানে এক লাখ টাকা ভাগ পায়, সেখানে সোর্সরা পায় দেড় লাখ টাকা। তারা ব্যাংকে সাধারণ গ্রাহক সেজে উপস্থিত থাকে এবং একা বা বয়স্ক ব্যক্তিদের কিংবা বড় অংকের টাকা উত্তোলনকারীদের টার্গেট করে।
কোন কোন বাহিনীতে কি পরিমান চাকরিচ্যুত সদস্য অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত জানতে চাইলে তিনি বলেন,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। কোন না কোন অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকায় চাকরি হারিয়েছে তারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অপরাধচক্রের যোগসাজশ আছে কিনা জানতে চাইলে ডিসি মাসুদ জানান, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত অপরাধী দিন-ইসলাম ওরফে কাউসার আহমেদ নিজেকে পুলিশ ইন্সপেক্টর পরিচয় দেওয়ার জন্য ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করেছিল, যা আসল থেকে আলাদা করা কঠিন। তার নামে অন্তত ১০টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
সাধারণ মানুষ ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য চেনার উপায় প্রসঙ্গে ডিসি মাসুদ বলেন, জনবহুল এলাকা থেকে যদি কেউ বাহিনীর পরিচয়ে কাউকে তুলে নিতে আসে, তখন আশপাশের মানুষকে জিজ্ঞেস করতে হবে কোন বিভাগ বা কোন বাহিনীর সদস্য তারা।