০৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভূমি অফিস নয়, যেন ঘুষের ঘাঁটি: সালাউদ্দিন নাজিম ও ছলিমুল্লাহর নেতৃত্বে চলছে কোটি টাকার দুর্নীতির খেলা

  • আপডেট: ১২:৪৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০২০

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির:
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় রাজস্ব অফিসটি এখন আর সেবা প্রদানের কেন্দ্র নয়—এটা রীতিমতো এক সুসংগঠিত ঘুষ বাণিজ্যের দুর্গে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ জমি সংক্রান্ত নানা কাজে এখানে আসেন, কিন্তু সেবা পাওয়ার আগে তাদের পেরোতে হয় এক দুর্নীতির প্রাচীর। এই প্রাচীরের প্রধান দুই কাণ্ডারি—অফিস সহকারী সালাউদ্দিন নাজিম ও ক্যাশিয়ার কাম নাজির ছলিমুল্লাহ। তাদের হাতেই যেন জমির ভাগ্য নির্ধারিত হয়, আর টাকা ছাড়া তাদের কাছে কোনও দরখাস্তেরই দাম নেই।
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল বর্তমানে এক ভয়াবহ ঘুষ বাণিজ্যের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। অফিস সহকারী সালাউদ্দিন নাজিম এবং ক্যাশিয়ার কাম নাজির ছলিমুল্লাহ মূল নেতৃত্বে থেকে জমি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমকে ঘুষ নির্ভর বানিয়ে ফেলেছেন। অফিসে ঢুকেই সেবাপ্রার্থীদের প্রথম ধাপে পড়তে হয় কথিত দালালদের হাতে, যারা ফাইল ধরার আগেই ঘুষের তালিকা সামনে ধরেন। এই চক্রের নিয়ন্ত্রণে জমাভাগ, নামজারি, খারিজ, খতিয়ান এমনকি অর্পিত সম্পত্তির মত সংবেদনশীল কেসগুলোও চলে গেছে। তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ নামজারির জন্য ১০ হাজার, এলএ-৩৮ কেসে ৪০ হাজার, খ তালিকায় ৬০ হাজার, রিট কেসে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নির্ধারিত। ছলিমুল্লাহ সরাসরি টাকা লেনদেনের দেখভাল করেন, তার টেবিল থেকেই হয় ঘুষের হিসাব মেলানো। আর অফিসের ভেতরের ‘অপারেশনাল হেড’ হিসেবে দায়িত্বে আছেন সালাউদ্দিন নাজিম, যিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে সিন্ডিকেট চালান।
অভিযোগ রয়েছে, ছলিমুল্লাহ তার ক্ষমতার উৎস হিসেবে ব্যবহার করেন ডিসি অফিসের মাহমুদের নাম, যিনি নিজেকে জেলা প্রশাসকের ভাই বলে দাবি করে থাকেন। এই মাহমুদের কাছে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে থাকেন ছলিমুল্লাহ এবং তার ছত্রছায়ায় থেকে অফিসে দাপট দেখিয়ে বেড়ান। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা মুখ খুলতে সাহস পান না এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
সম্প্রতি সালাউদ্দিন নাজিমকে একটি শুনানির জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। স্মারক নম্বর ০৫.৪১.২৬০০.০১২.৫২.১১১.২৫ তারিখ ৯ ভাদ্র ১৪৩২ / ২৪ আগস্ট ২০২৫-এ জারি করা ওই নোটিশে বলা হয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ বদরুদ্দোজা শুভকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে এবং গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল ১১টায় তাকে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। শুনানীতে সালাউদ্দিন নাজিম নিজের বক্তব পেশ করেন। যদিও সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এটি লোক দেখানো একটি প্রক্রিয়া মাত্র। কারণ, সালাউদ্দিন নাজিম এখনও স্বপদে বহাল রয়েছেন এবং অতীতেও বারবার অভিযোগের পরও তাকে রক্ষা করা হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে অভিযুক্তকে স্বপদে রেখে শুনানি হয়, সেখানে কি আদৌ সুবিচার সম্ভব?
দুর্নীতির এই চক্র শুধু অফিসের ভিতরেই সীমাবদ্ধ নয়। বাইরে কথিত দালালরা পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। অফিসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই দালালদের ঘিরে ধরা, সরাসরি কারও কাছে যেতে না দেওয়া, নানা অজুহাতে ঘুষ দাবি করা—এসব এখন নিত্যদিনের চিত্র। জমির ওয়ারিশ সনদ, নামজারি, খতিয়ান সংগ্রহ—সব কিছুতেই টাকা না দিলে ফাইল চলে না। একজন সেবাপ্রার্থী জানান, একই কাগজ দিয়ে তার কাজ আটকে ছিল, কিন্তু অন্য একজন বেশি ঘুষ দিয়ে একই কাগজে কাজ করিয়ে নিয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, সেবা নয়, টাকাই এখানে মূল চালিকা শক্তি।
সংবাদকর্মীরা অনুসন্ধানে গেলে হুমকি দেওয়া হয়, তাদের ফাইল গায়েব করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। সাংবাদিকদেরও ভয়ভীতি দেখিয়ে এই সিন্ডিকেট চায় যেন কেউ তাদের অপকর্ম প্রকাশ না করে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও চক্রটির আচরণে পরিবর্তন তো আসেইনি, বরং তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ভূমি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে শুধু শুনানি যথেষ্ট নয়। জরুরি ভিত্তিতে সালাউদ্দিন নাজিম ও ছলিমুল্লাহকে স্বপদ থেকে অপসারণ করে নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া, ডিসি অফিসের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির যোগসূত্র যেমন মাহমুদের নাম ব্যবহার করে মাসোহারা গ্রহণ, তাও খতিয়ে দেখা জরুরি। অন্যথায় ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল হয়ে উঠবে একটি উদাহরণ, যেখানে সেবা নয়, দুর্নীতিই হবে নীতি।
সাধারণ জনগণের মধ্যে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি, সালাউদ্দিন ও ছলিমুল্লাহকে শুধু আইনের আওতায় আনলেই চলবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তারা শুধু সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেনি, বরং একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ধ্বংস করেছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এই দুর্নীতির দুর্গ ভাঙতে প্রস্তুত কি না, নাকি পুরনো রীতি অনুযায়ী সময়ক্ষেপণ করে আবারও অপরাধীদের রক্ষা করা হবে।
এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জনগণের আস্থা প্রশাসনের প্রতি কমে যাবে এবং দুর্নীতি আরও গভীরভাবে প্রোথিত হবে সেবার নামে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে। মানুষ আজ এটাই ভাবছে—জমির কাগজ নয়, ঘুষের পরিমাণই বলে দিচ্ছে কে নাগরিক আর কে নয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

ভূমি অফিস নয়, যেন ঘুষের ঘাঁটি: সালাউদ্দিন নাজিম ও ছলিমুল্লাহর নেতৃত্বে চলছে কোটি টাকার দুর্নীতির খেলা

আপডেট: ১২:৪৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির:
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় রাজস্ব অফিসটি এখন আর সেবা প্রদানের কেন্দ্র নয়—এটা রীতিমতো এক সুসংগঠিত ঘুষ বাণিজ্যের দুর্গে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ জমি সংক্রান্ত নানা কাজে এখানে আসেন, কিন্তু সেবা পাওয়ার আগে তাদের পেরোতে হয় এক দুর্নীতির প্রাচীর। এই প্রাচীরের প্রধান দুই কাণ্ডারি—অফিস সহকারী সালাউদ্দিন নাজিম ও ক্যাশিয়ার কাম নাজির ছলিমুল্লাহ। তাদের হাতেই যেন জমির ভাগ্য নির্ধারিত হয়, আর টাকা ছাড়া তাদের কাছে কোনও দরখাস্তেরই দাম নেই।
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেল বর্তমানে এক ভয়াবহ ঘুষ বাণিজ্যের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। অফিস সহকারী সালাউদ্দিন নাজিম এবং ক্যাশিয়ার কাম নাজির ছলিমুল্লাহ মূল নেতৃত্বে থেকে জমি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমকে ঘুষ নির্ভর বানিয়ে ফেলেছেন। অফিসে ঢুকেই সেবাপ্রার্থীদের প্রথম ধাপে পড়তে হয় কথিত দালালদের হাতে, যারা ফাইল ধরার আগেই ঘুষের তালিকা সামনে ধরেন। এই চক্রের নিয়ন্ত্রণে জমাভাগ, নামজারি, খারিজ, খতিয়ান এমনকি অর্পিত সম্পত্তির মত সংবেদনশীল কেসগুলোও চলে গেছে। তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ নামজারির জন্য ১০ হাজার, এলএ-৩৮ কেসে ৪০ হাজার, খ তালিকায় ৬০ হাজার, রিট কেসে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নির্ধারিত। ছলিমুল্লাহ সরাসরি টাকা লেনদেনের দেখভাল করেন, তার টেবিল থেকেই হয় ঘুষের হিসাব মেলানো। আর অফিসের ভেতরের ‘অপারেশনাল হেড’ হিসেবে দায়িত্বে আছেন সালাউদ্দিন নাজিম, যিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে সিন্ডিকেট চালান।
অভিযোগ রয়েছে, ছলিমুল্লাহ তার ক্ষমতার উৎস হিসেবে ব্যবহার করেন ডিসি অফিসের মাহমুদের নাম, যিনি নিজেকে জেলা প্রশাসকের ভাই বলে দাবি করে থাকেন। এই মাহমুদের কাছে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে থাকেন ছলিমুল্লাহ এবং তার ছত্রছায়ায় থেকে অফিসে দাপট দেখিয়ে বেড়ান। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা মুখ খুলতে সাহস পান না এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
সম্প্রতি সালাউদ্দিন নাজিমকে একটি শুনানির জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। স্মারক নম্বর ০৫.৪১.২৬০০.০১২.৫২.১১১.২৫ তারিখ ৯ ভাদ্র ১৪৩২ / ২৪ আগস্ট ২০২৫-এ জারি করা ওই নোটিশে বলা হয়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ বদরুদ্দোজা শুভকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে এবং গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল ১১টায় তাকে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। শুনানীতে সালাউদ্দিন নাজিম নিজের বক্তব পেশ করেন। যদিও সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এটি লোক দেখানো একটি প্রক্রিয়া মাত্র। কারণ, সালাউদ্দিন নাজিম এখনও স্বপদে বহাল রয়েছেন এবং অতীতেও বারবার অভিযোগের পরও তাকে রক্ষা করা হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে অভিযুক্তকে স্বপদে রেখে শুনানি হয়, সেখানে কি আদৌ সুবিচার সম্ভব?
দুর্নীতির এই চক্র শুধু অফিসের ভিতরেই সীমাবদ্ধ নয়। বাইরে কথিত দালালরা পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। অফিসে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই দালালদের ঘিরে ধরা, সরাসরি কারও কাছে যেতে না দেওয়া, নানা অজুহাতে ঘুষ দাবি করা—এসব এখন নিত্যদিনের চিত্র। জমির ওয়ারিশ সনদ, নামজারি, খতিয়ান সংগ্রহ—সব কিছুতেই টাকা না দিলে ফাইল চলে না। একজন সেবাপ্রার্থী জানান, একই কাগজ দিয়ে তার কাজ আটকে ছিল, কিন্তু অন্য একজন বেশি ঘুষ দিয়ে একই কাগজে কাজ করিয়ে নিয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, সেবা নয়, টাকাই এখানে মূল চালিকা শক্তি।
সংবাদকর্মীরা অনুসন্ধানে গেলে হুমকি দেওয়া হয়, তাদের ফাইল গায়েব করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। সাংবাদিকদেরও ভয়ভীতি দেখিয়ে এই সিন্ডিকেট চায় যেন কেউ তাদের অপকর্ম প্রকাশ না করে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও চক্রটির আচরণে পরিবর্তন তো আসেইনি, বরং তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ভূমি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে শুধু শুনানি যথেষ্ট নয়। জরুরি ভিত্তিতে সালাউদ্দিন নাজিম ও ছলিমুল্লাহকে স্বপদ থেকে অপসারণ করে নিরপেক্ষ তদন্ত, আইনানুগ ব্যবস্থা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া, ডিসি অফিসের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির যোগসূত্র যেমন মাহমুদের নাম ব্যবহার করে মাসোহারা গ্রহণ, তাও খতিয়ে দেখা জরুরি। অন্যথায় ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল হয়ে উঠবে একটি উদাহরণ, যেখানে সেবা নয়, দুর্নীতিই হবে নীতি।
সাধারণ জনগণের মধ্যে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি, সালাউদ্দিন ও ছলিমুল্লাহকে শুধু আইনের আওতায় আনলেই চলবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তারা শুধু সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেনি, বরং একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ধ্বংস করেছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এই দুর্নীতির দুর্গ ভাঙতে প্রস্তুত কি না, নাকি পুরনো রীতি অনুযায়ী সময়ক্ষেপণ করে আবারও অপরাধীদের রক্ষা করা হবে।
এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জনগণের আস্থা প্রশাসনের প্রতি কমে যাবে এবং দুর্নীতি আরও গভীরভাবে প্রোথিত হবে সেবার নামে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে। মানুষ আজ এটাই ভাবছে—জমির কাগজ নয়, ঘুষের পরিমাণই বলে দিচ্ছে কে নাগরিক আর কে নয়।