টঙ্গী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহিদুল হকের অপ্রতিরোধ্য অনিয়ম দুর্নীতি কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের পাহাড়
- আপডেট: ০৬:৩৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮০০৪
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক:
দুনীতির চাপে ডুবছে ডেসকো। ঢাকা ইলেকট্রিক ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ (ডেসকো) টঙ্গী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহিদুল হকের অপ্রতিরোধ্য অনিয়ম দুর্নীতি,কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়। দুর্নীতির চাপে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্র্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) সংকটের মুখে পড়েছে।
যেখানে একাধিক গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। অভিযোগ রয়েছে, ডেসকোতে সকল অপকর্মের মাষ্টারমাইন্ড টঙ্গী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদুল হক। এমন কোন অপকর্ম নেই,যা তার পরিকল্পনায় ঘটেনা। জাহিদুলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম,দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
জাহিদুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী টঙ্গী সার্কেল, ঢাকা ইলেকট্রিক ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ (ডেসকো) বর্তমানে কর্মরত আছেন। তার পিতার নাম মো. খোরশেদুল ইসলাম, মাতার নাম খোদেজা বেগম, স্ত্রীর নাম শামসাদ বেগম, তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৩৭০৫০৩১৬৬৮, জন্ম তারিখ: ১০ আগস্ট ১৯৭৩, তার টিআইএন নং-৭২৪৭৪৬৫৯৫০৬০, কর সার্কেল-৬৩, কর অঞ্জল-৩, ঢাকা। জাহিদুলেল স্ত্রীর নাম শামসাদ বেগম, তার পিতা মো. মুর্শেদ আলী ভুইয়া, মাতার নাম সাহারা বেগম, স্বামীর মো. জাহিদুল হক পেশা-গৃহিনী। জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৫৯৫৪৯৩৫০৭৭, জন্ম তারিখ: ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯। ঠিকানা বাসা-১১/৩, সরকার বাড়ী, বাইশটেকী, হাজী আলী হোসেন রোড, মিরপুর-১৩, কাফরুল, ঢাকা।
তিনি ইতি পূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর সাবেক বিদ্যুৎ প্রতি মন্ত্রী নসরুল হামিদ দিপুর পরিচয়ে ডেসকো শত শত কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। অভিযোগ রয়েছে আত্মসাতকৃত টাকা দেশের বাহিরে পাচার করেছেন। তিনি ও তার স্ত্রী অবৈধভাবে দেশে ও বিদেশে শত কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন। এই কর্মকর্তার সম্পদের মধ্যে রয়েছে বাসা-১১/৩, সরকার বাড়ী, বাইশটেকী, হাজী আলী হোসেন রোড, মিরপুর-১৩, কাফরুল, ঢাকা। ৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটিতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে করেছেন জাহিদুল হক। বাসা নম্বর ৭৮, রোড নম্বর ৩, ব্লক-বি, বসুন্ধারা আবাসিক এলাকায় ভাটারা ঢাকা। বহুতল বাড়িটি জাহিদুল হক তার স্ত্রীর নামে শত কোটি টাকা ব্যয় করে নিমার্ণ করেছেন। বাসা নম্বর ২০, রোড-০৮, সেক্টর-১৩, উত্তরা ঢাকা-১২৩০। ৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট এই বাড়িটি তিনি কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে নিমার্ণ করেছেন। বাসা নম্বর ৪৫, রোড-০৪, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা, উক্ত বাড়ীর তৃতীয় তলা, সম্পূর্ণ ফ্লোর ক্রয় করেছেন ২০ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা দিয়ে। বাসা-৭৫/২, রোড-১, ব্লক-সি, গুলশান এভিনিউ-১, গুলশান, ঢাকা। উক্ত বাড়িটি তিনি ৯০ কোটি টাকা ব্যয় করে বাড়ী সহ কোটি ভবন ক্রয় করেছেনে । ময়মনসিংহ সদরে একটি আলিশান ভবন নিমার্ণ করেছেন কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে। বাসা নম্বর ৩০২, রোড-০৩, দক্ষিণ খান কাজী বাড়ী রোড, দক্ষিণখান, উত্তরা, ঢাকা। বাড়িটি তিনি ৩০ কোটি টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। বাসা নম্বর ৮৯, রোড-৩, জয়দেবপুর, গাজীপুর। উক্ত বাড়িটি ৭ম তলা পর্যন্ত নিমার্ণ করেছেন কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে। বাসা নম্বর ৭৮, রোড-০৫, সেক্টর-১৪, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।
৬ষ্ঠ তলা এই বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে নির্মাণ করেছেন জাহিদুল হক। বাসা নম্বর ৭৮৫, রোড-০৮, বোড বাজার, মেইন রোড সংলগ্ন, জেলা গাজীপুর, ঢাকা। বাড়িটি ৫ কাঠা জমি সহ ৫ম তলা বাড়ি ক্রয় করেছেন ৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা দিয়ে। বাড়িটি তার মাতা রিজিয়া বেগম এর নামে ক্রয় করেছেন। জাহিদুল হক নিজ ও পরিবারের লোকজনের নামে বেনামে দেশের আনাছে কানাছে শত শত কোটি টাকা সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বিদ্যুৎ প্রতি মন্ত্রী নুসরুল হামিদ দিপুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বর্তমানে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আমেরিকায় প্রকৌশলী জাহিদুল হকের তিনটি বাড়ী, দুটি গাড়ী, কয়েকশত কোটি টাকা সেখানে বিনিয়োগ করেছেন বলে গোপন সূত্রে জানাযায়। জাহিদুল তদবির, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন টেম্পারিংয়ে বাড়তি সুযোগ নিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। জাহিদুলের অবৈধ পথে অর্জিত টাকা, সহায় সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করলে আরো শত শত কোটি টাকার তথ্য বেরিয়ে আসবে। বিগত সময়ের এক সচিবের আত্মীয় পরিচয়ে ডেসকোতে শত শত কোটি লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে জাহিদুলের বিরুদ্ধে। ফ্যাসিস্টি সরকারের পলাতক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দিপুর ঘনিষ্ঠ জন হিসাবে দীর্ঘ সময় ডেসকোতে কর্মরত থাকায় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে ফেলেছেন জাহিদুল চক্র। জাহিদুল হক দোসর হিসাবে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সাথে মিলেমিশে আস্থাশীল হয়ে কাজ করেছেন একদিকে, অন্যদিকে প্রচুর অর্থ নিজের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন। নতুন করে আবার পরিচয় বহন করার চেষ্টা করছেন। জাহিদুলের বিরুদ্ধে ডেসকোর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন তিনি সব সময়ে সুবিধাভোগি চক্রের হয়ে কাজ করেন। নিজের স্বার্থে তিনি সব করতে পারেন।
এই বিষয়ে জানার জন্য জাহিদুলের মোবাইলে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবার কারণে যথাযথ তদন্ত হওয়া জরুরি। প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও আস্থা রক্ষায় কর্তৃপক্ষ জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এমনটি প্রত্যাশা দেশবাসীর।



















