১১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

আদাবরে নিপু হত্যা: সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘দাঁত ভাঙা ইমন’সহ গ্রেফতার ৩

  • আপডেট: ০৫:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর আদাবরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিপন ওরফে নিপু নামের এক যুবককে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। অভিযানে দুটি সামুরাই তরবারিও উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে আদাবর থানার বালুর মাঠ এলাকার একটি বাসায়। আহত অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে তিনি মারা যান।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘ভাইগ্না ইমন’ ওরফে দাঁত ভাঙা ইমনকে তার দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে তাদের কাছ থেকে দুটি ধারালো সামুরাই উদ্ধার করা হয়।

সেনাবাহিনীর এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা খবর পাই যে বালুর মাঠ এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। পরে তথ্য বিশ্লেষণ করে জানতে পারি, এলেক্স সবুজ, মনির ও ইমন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এরপর আমরা দ্রুত অভিযান চালিয়ে ইমন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করি। সবুজ ও মনির পালিয়ে যাওয়ায় তারা ধরা পড়েনি। তবে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

গ্রেফতার হওয়াদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

সেনাবাহিনী বলছে, সন্ত্রাস ও গ্যাং কালচারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কঠোর এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চলবে। গ্রেফতার হওয়াদের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

আদাবরে নিপু হত্যা: সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘দাঁত ভাঙা ইমন’সহ গ্রেফতার ৩

আপডেট: ০৫:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানীর আদাবরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিপন ওরফে নিপু নামের এক যুবককে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। অভিযানে দুটি সামুরাই তরবারিও উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে আদাবর থানার বালুর মাঠ এলাকার একটি বাসায়। আহত অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে তিনি মারা যান।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘ভাইগ্না ইমন’ ওরফে দাঁত ভাঙা ইমনকে তার দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে তাদের কাছ থেকে দুটি ধারালো সামুরাই উদ্ধার করা হয়।

সেনাবাহিনীর এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা খবর পাই যে বালুর মাঠ এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। পরে তথ্য বিশ্লেষণ করে জানতে পারি, এলেক্স সবুজ, মনির ও ইমন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এরপর আমরা দ্রুত অভিযান চালিয়ে ইমন ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করি। সবুজ ও মনির পালিয়ে যাওয়ায় তারা ধরা পড়েনি। তবে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

গ্রেফতার হওয়াদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

সেনাবাহিনী বলছে, সন্ত্রাস ও গ্যাং কালচারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কঠোর এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চলবে। গ্রেফতার হওয়াদের পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।