০১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

দেড় দশক পর:পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি হলেন আবদুল মাবুদ

  • আপডেট: ০৮:০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার পর পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মাবুদ দুলালকে ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন ও ফিন্যান্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বুধবার(২৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাঁর পদোন্নতির বিষয়টি জানানো হয়। একই প্রজ্ঞাপনে আরও ৩২ জন পুলিশ কর্মকর্তা ডিআইজি পদে উন্নীত হন। এদিন ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার পদেও রদবদল আসে।

২০০১ সালের ২০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা দুলাল। তার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। গত বছরের অক্টোবরে তিনি ঢাকা রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে প্রায় দেড় দশক ধরে তাঁর পদোন্নতি থেমে ছিল।

জানা যায়, ২০০৪ সালে কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে তোলা একটি ছবিতে দুলালকে বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের পাশে দেখা যায়। পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ছবিই তাঁর পদোন্নতি আটকে যাওয়ার কারণ হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ রয়েছে। লিখিত কোনো অভিযোগ ছিল না, তবে প্রতিবছরই পদোন্নতি বোর্ড থেকে তিনি বাদ পড়েন।

২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে প্রশাসনে মেধা ও সততাভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হয়। নতুন নীতির আওতায় দুলালের ফাইল পুনর্বিবেচনা করা হলে দেখা যায়—তাঁর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক তথ্য নেই; বরং রয়েছে কয়েকটি প্রশংসাপত্র ও সেবা–পুরস্কার। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে ডিআইজি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

পদোন্নতির খবরের পর সহকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ও আনন্দের প্রকাশ দেখা গেছে। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একজন যোগ্য কর্মকর্তা অন্যায়ভাবে বঞ্চিত ছিলেন। আজ তা সংশোধন হলো।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

দেড় দশক পর:পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি হলেন আবদুল মাবুদ

আপডেট: ০৮:০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার পর পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল মাবুদ দুলালকে ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন ও ফিন্যান্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বুধবার(২৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাঁর পদোন্নতির বিষয়টি জানানো হয়। একই প্রজ্ঞাপনে আরও ৩২ জন পুলিশ কর্মকর্তা ডিআইজি পদে উন্নীত হন। এদিন ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার পদেও রদবদল আসে।

২০০১ সালের ২০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা দুলাল। তার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। গত বছরের অক্টোবরে তিনি ঢাকা রেঞ্জে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে প্রায় দেড় দশক ধরে তাঁর পদোন্নতি থেমে ছিল।

জানা যায়, ২০০৪ সালে কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে তোলা একটি ছবিতে দুলালকে বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের পাশে দেখা যায়। পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ছবিই তাঁর পদোন্নতি আটকে যাওয়ার কারণ হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ রয়েছে। লিখিত কোনো অভিযোগ ছিল না, তবে প্রতিবছরই পদোন্নতি বোর্ড থেকে তিনি বাদ পড়েন।

২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে প্রশাসনে মেধা ও সততাভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হয়। নতুন নীতির আওতায় দুলালের ফাইল পুনর্বিবেচনা করা হলে দেখা যায়—তাঁর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক তথ্য নেই; বরং রয়েছে কয়েকটি প্রশংসাপত্র ও সেবা–পুরস্কার। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে ডিআইজি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

পদোন্নতির খবরের পর সহকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ও আনন্দের প্রকাশ দেখা গেছে। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একজন যোগ্য কর্মকর্তা অন্যায়ভাবে বঞ্চিত ছিলেন। আজ তা সংশোধন হলো।’