নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের তৎপরতায় উপকূল ও নদী তীরবর্তী এলাকার ২০৭টি পূজামণ্ডপে উৎসবমূখর পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হচ্ছে। এই উৎসবটি শান্তিপূর্ণ,প্রাণবন্ত ও নিরাপদে উদযাপনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে কোস্ট গার্ড সদস্যরা।

বুধবার(১ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ার শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনের দুর্গাপূজার নিরাপত্তা পরিদর্শনে যান কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক।

এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন,সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহা উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ধর্মীয় উপাসনালয়সহ পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের প্রতিটি সদস্য।

তিনি আরও বলেন,আপনারা জেনে খুশি হবেন,উপকূলীয় এলাকাসমূহের মধ্যে আমাদের ঢাকা জোন ২৫ টি,পূর্ব জোন (চট্টগ্রাম) ৫৬ টি,পশ্চিম জোন (মোংলা) ৪৪ টি ও দক্ষিণ জোন (ভোলা) ৮২ টি, সর্বমোট ২০৭ টি মন্দির ও পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে।

কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক বলেন,দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন তাদের ধর্মীয় উৎসবটি শান্তিপূর্ণ,প্রাণবন্ত ও নিরাপদে উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি জানান,প্রতিমা বিসর্জনের স্থানগুলোতে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা মোকাবেলায় আমাদের বিশেষ ডুবুরি দল সর্বদা প্রস্তুত আছে। এছাড়া নৌ দূর্ঘটনা এড়াতে আমাদের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি আমি অনুরোধ করবো,যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সহায়তা নিতে কোস্ট গার্ড জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ যোগাযোগ করুন। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিব।

আমাদের প্রত্যাশা,হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণ,নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপন করবেন।

তিনি আরও বলেন,কোস্ট গার্ডের এধরনের জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।