০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ‘ঢালাও মামলা’ করার অভিযোগ ভিত্তিহীন: সিআইডি

  • আপডেট: ১১:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

জনশক্তি রফতানিতে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে সিআইডি ‘ঢালাও মামলা’করছে— এমন সংবাদকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রবিবার (১৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ প্রতিবাদ জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দৈনিক ইত্তেফাকসহ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে যে, সিআইডি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে নির্বিচারে মামলা দায়ের করছে— যা সম্পূর্ণ সত্য নয়।

সিআইডি স্পষ্ট করে জানিয়েছে,মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীনে করা মামলাগুলোর প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় যে,বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে প্রায় ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি পরস্পর যোগসাজশে সিন্ডিকেট তৈরি করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। এই সিন্ডিকেট নির্ধারিত খরচের কয়েকগুণ টাকা আদায়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রায় ১০০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাচার করেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন,২০১২ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তদন্ত পরিচালনা করছে। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, কেবল তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

সিআইডি আরও জানায়,বিগত সরকারের আমলে শ্রমবাজার থেকে লুণ্ঠিত ও পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ। এই অর্থ ফেরত আনা এবং সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে সিআইডির আইনগত দায়িত্ব।

সংস্থাটি দাবি করেছে,রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ‘ঢালাও মামলা’ করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মান রক্ষা করতে।

এছাড়া সিআইডি স্পষ্ট করেছে যে,রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আগে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে করা মামলার সঙ্গে সিআইডির মানি লন্ডারিং মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। সব মামলা পৃথকভাবে আইনি বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তির শেষে সিআইডি গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছে— ভবিষ্যতে যেন কোনো ভ্রান্ত ধারণা না ছড়ায় সে জন্য সংবাদ প্রকাশের আগে সিআইডির সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ নিশ্চিত করার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ‘ঢালাও মামলা’ করার অভিযোগ ভিত্তিহীন: সিআইডি

আপডেট: ১১:২৪:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

জনশক্তি রফতানিতে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে সিআইডি ‘ঢালাও মামলা’করছে— এমন সংবাদকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রবিবার (১৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ প্রতিবাদ জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দৈনিক ইত্তেফাকসহ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে যে, সিআইডি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে নির্বিচারে মামলা দায়ের করছে— যা সম্পূর্ণ সত্য নয়।

সিআইডি স্পষ্ট করে জানিয়েছে,মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীনে করা মামলাগুলোর প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় যে,বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে প্রায় ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি পরস্পর যোগসাজশে সিন্ডিকেট তৈরি করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। এই সিন্ডিকেট নির্ধারিত খরচের কয়েকগুণ টাকা আদায়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রায় ১০০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাচার করেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন,২০১২ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তদন্ত পরিচালনা করছে। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, কেবল তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

সিআইডি আরও জানায়,বিগত সরকারের আমলে শ্রমবাজার থেকে লুণ্ঠিত ও পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশের জনগণের সম্পদ। এই অর্থ ফেরত আনা এবং সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে সিআইডির আইনগত দায়িত্ব।

সংস্থাটি দাবি করেছে,রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ‘ঢালাও মামলা’ করার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মান রক্ষা করতে।

এছাড়া সিআইডি স্পষ্ট করেছে যে,রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আগে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে করা মামলার সঙ্গে সিআইডির মানি লন্ডারিং মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। সব মামলা পৃথকভাবে আইনি বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তির শেষে সিআইডি গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছে— ভবিষ্যতে যেন কোনো ভ্রান্ত ধারণা না ছড়ায় সে জন্য সংবাদ প্রকাশের আগে সিআইডির সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ নিশ্চিত করার।