রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল: ১০ মাসে আ.লীগের ৩ হাজার নেতা-কর্মী গ্রেফতার
 
																
								
							
                                - আপডেট: ০৫:৫৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮০০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সুযোগ পেলেই রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করছে। এ মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরে দলটির প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার(৩১ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
ঝটিকা মিছিল থেকে এ পর্যন্ত কতজন গ্রেফতার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন,চলতি বছরের আজকের দিন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবশ্যই মিছিলে যারা সরাসরি মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই এসে এখানে মিছিল করার চেষ্টা করছে, তাদের মূল উদ্দেশ্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যাদেরকে গ্রেফতার করেছি তারাসহ ইতোপূর্বে ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই এসে ঝটিকা মিছিল অংশগ্রহণ করছে। এটার পিছনে অনেকে অর্থায়ন করছে এবং প্রত্যেকটা মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য একটা সুনির্দিষ্ট টাকার পরিমাণও তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে। মূলত তাদের যে অবস্থানটা সেটা জানান দেওয়া এবং ঢাকা মহানগরীকে জনগনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার একটা অপচেষ্টা এবং যেকোনো মূল্যে ঢাকায় তাদের যে অবস্থাটা সেটা প্রকাশ করানো। এটা মিছিলের ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তাদের যে তৎপরতা আছে তারা সক্রিয় রয়েছে সেটা জানান দেওয়া।
একই দিনে ঢাকায় এতগুলো ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা,পুলিশ গণগ্রেফতারের দিকে এগোচ্ছে কিনা? জানতে চাইলে তালেবুর রহমান বলেন,এটা আসলে গণগ্রেফতার বলা যাবে না। আমরা যে গ্রেফতারগুলো করছি একদম তাৎক্ষণিকভাবে ঝটিকা মিছিলে যাদের পাওয়া যাচ্ছে। আমরা গ্রেফতার করার পরে যাচাই বাচাই করে দেখছি। তাদের পূর্বাপর যে ইতিহাস সেটা যাচাই বাচাই করে তারপর আমরা সন্তুষ্ট হলেই তাকে মামলায় চালান দেওয়া হচ্ছে।
হাতে নাতে ককটেলসহ ধরা হয়েছে। এসকল ককটেল খুবই বিপদজনকভাবে তৈরি করা। তাদের উদ্দেশ্য কি কাউকে আহত করা কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আপনারা দেখেছেন আমরা একদিনে ২৪৪ জন আরেকদিন ১৩১ জনকে গ্রেফতার করেছি। মিছিলগুলো থেকে ককটেল বিস্ফোরণ করে জনগনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার একটা অপচেষ্টা করা হয়। অনেককেই আমরা ককটেলসহ গ্রেফতার করেছি। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং যে অপতৎপরতা তারা চালিয়ে যাচ্ছে সেটা যেন না করতে পারে কিন্তু আমরা সতর্ক রয়েছি। আর যারা ঢাকার বাইরে আসছে সে বিষয়ে আমরা অবশ্যই নজরদারি রাখছি। আমাদের নজরদারী এবং তৎপরতার কারণেই এই যে গ্রেফতার গুলো সেটা সম্ভব হচ্ছে।
মিছিল অংশ নিয়ে তারা কি পরিমাণ টাকা পাচ্ছে,কোনো তথ্য পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় আসা যাওয়ার খরচ,থাকা খাওয়ার বাইরে তার একটা নির্দিষ্ট টাকা না হলে তো সে আসবে না। তো এই ক্ষেত্রে অনেকে আমরা অনেকের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ তথ্য পেয়েছি। তাদেরকে মোটিভেট করার জন্য বিভিন্নভাবে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে,সেগুলো আমরা মাথায় রাখছি এবং যারা এই প্রণোদনাগুলো দিচ্ছেন যারা আর্থিকভাবে সহায়তা করছেন তাদেরও আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, আমাদের যে গ্রেফতার গুলো আছে এর বেশিরভাগ কিন্তু ঢাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং থানা বা উপজেলা পর্যায়ের নেতা। এতেই প্রতিয়মান হয় যে তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঢাকা শহরে এসে ঢাকা মহানগরী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টার উদ্দেশ্যে তাদের সংগঠিত করছে। যারা কো-অর্ডিনেটর করছে তারাও আমাদের নজরের মধ্যে আছে। আপনারা জানেন নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক তৎপরতা আরেকটু বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। যেকোনো ধরনের অপতঃপরতা রোধ করার বা রুখে দেয়ার সক্ষমতা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রয়েছে।

 
																			 
																		



















