০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই,গ্রেফতার ৯

  • আপডেট: ০৭:২৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানী ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে সিএনজি ছিনতাইয়ের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ৯ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,মো.করিম মিয়া,মো.মান্নান খান,মনসুর ওরফে মোশারফ,মজিবর,জসিম,মনির,মো.জামাল হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম রবিন ও ইউনুস।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিবি সূত্রে জানা যায়,গত ১ অক্টোবর ভোর মোহাম্মদপুরে রআল্লাহ করিম বাস স্ট্যান্ডে চা খাচ্ছিলেন সিএনজি চালক মো.শাহজালাল। এক অপরিচিত যাত্রী ৩০০ টাকায় আটি বাজার যাওয়ার কথা বলে গাড়ি ভাড়া করে। ওই যাত্রী তখন কৌশলে সিএনজি চালকের চায়ে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে দেয়।

সিএনজি চালক চা খাওয়া শেষে যাত্রীকে নিয়ে রওনা করার কিছুক্ষণের মধ্যে সে প্রচন্ড ঘুম অনুভব করে। তখন বসিলা মেট্রো হাউজিং গেটের কাছে গাড়ি থামাতেই শাহজালাল অচেতন হয়ে পড়ে। চক্রটি তাকে রাস্তায় ফেলে সিএনজি, মোবাইল ও মানিব্যাগের ৩ হাজার ৫৫০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে চক্রটি সিএনজি চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে সিএনজির মালিক জয়কে ফোন করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের দেয়া বিকাশ নম্বরে জয় ৬০ হাজার টাকা পাঠান। এরপর একই তারিখে রাতে চক্রটি জয়কে পুনরায় ফোন দিয়ে জানান সিএনজিটি মোহাম্মদপুর থানাধীন বুদ্ধিজীবি কবর স্থানের সামনে রাস্তার ওপর রাখা আছে। পরে জয় গিয়ে সেখান থেকে সিএনজিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় গত ৬ নভেম্বর একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়,এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের একটি চৌকস আভিযানিক দল ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে। অতঃপর শুক্রবার( ৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে করিম মিয়া,মান্নান খান,মনসুর ওরফে মোশারফ,মজিবর,জসিম,মনিরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে একই দিন দুপুরে আরেকটি আভিযানিক দল মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চক্রের মূল হোতা মো.জামাল হোসেন,তৌহিদুল ইসলাম রবিন ও ইউনুসকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে দুইটি সিএনজি, ১ হাজার ৯০০ পিস চেতনানাশক ট্যাবলেট এবং নগদ এক লক্ষ টাকা উদ্ধার করে।

ডিবি সূত্রে জানা যায়,এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীবেশে সিএনজি ভাড়া করে চালকদের চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই করত।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান আছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই,গ্রেফতার ৯

আপডেট: ০৭:২৬:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

রাজধানী ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে সিএনজি ছিনতাইয়ের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ৯ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন,মো.করিম মিয়া,মো.মান্নান খান,মনসুর ওরফে মোশারফ,মজিবর,জসিম,মনির,মো.জামাল হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম রবিন ও ইউনুস।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিবি সূত্রে জানা যায়,গত ১ অক্টোবর ভোর মোহাম্মদপুরে রআল্লাহ করিম বাস স্ট্যান্ডে চা খাচ্ছিলেন সিএনজি চালক মো.শাহজালাল। এক অপরিচিত যাত্রী ৩০০ টাকায় আটি বাজার যাওয়ার কথা বলে গাড়ি ভাড়া করে। ওই যাত্রী তখন কৌশলে সিএনজি চালকের চায়ে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে দেয়।

সিএনজি চালক চা খাওয়া শেষে যাত্রীকে নিয়ে রওনা করার কিছুক্ষণের মধ্যে সে প্রচন্ড ঘুম অনুভব করে। তখন বসিলা মেট্রো হাউজিং গেটের কাছে গাড়ি থামাতেই শাহজালাল অচেতন হয়ে পড়ে। চক্রটি তাকে রাস্তায় ফেলে সিএনজি, মোবাইল ও মানিব্যাগের ৩ হাজার ৫৫০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে চক্রটি সিএনজি চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে সিএনজির মালিক জয়কে ফোন করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের দেয়া বিকাশ নম্বরে জয় ৬০ হাজার টাকা পাঠান। এরপর একই তারিখে রাতে চক্রটি জয়কে পুনরায় ফোন দিয়ে জানান সিএনজিটি মোহাম্মদপুর থানাধীন বুদ্ধিজীবি কবর স্থানের সামনে রাস্তার ওপর রাখা আছে। পরে জয় গিয়ে সেখান থেকে সিএনজিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় গত ৬ নভেম্বর একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়,এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের একটি চৌকস আভিযানিক দল ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে। অতঃপর শুক্রবার( ৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে করিম মিয়া,মান্নান খান,মনসুর ওরফে মোশারফ,মজিবর,জসিম,মনিরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে একই দিন দুপুরে আরেকটি আভিযানিক দল মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চক্রের মূল হোতা মো.জামাল হোসেন,তৌহিদুল ইসলাম রবিন ও ইউনুসকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে দুইটি সিএনজি, ১ হাজার ৯০০ পিস চেতনানাশক ট্যাবলেট এবং নগদ এক লক্ষ টাকা উদ্ধার করে।

ডিবি সূত্রে জানা যায়,এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীবেশে সিএনজি ভাড়া করে চালকদের চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই করত।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান আছে।