০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ তারিখ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই: ডিএমপি কমিশনার

  • আপডেট: ০৫:১৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। মঙ্গলবার(১১ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ঢাকাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ১৩ নভেম্বর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা প্রস্তুত আছি।’

কমিশনার বলেন,‘ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো। এপ্রিল-মে মাসে যে হারে ছিনতাই ও দিনের বেলায় চাপাতি হামলার ঘটনা ঘটত,এখন তা অনেক কমেছে। বিশেষ করে মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।’

তিনি জানান,সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিক্ষোভ বা আন্দোলনেও পুলিশ সংযম দেখিয়েছে। ‘আমরা কোনো মারণাস্ত্র বা লাঠি ব্যবহার না করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। ডিএমপির নীতিই হচ্ছে—কোনো নাগরিকের গায়ে হাত তোলা যাবে না। মানুষ যদি দাবি নিয়ে আসে, আমরা তাদের বুঝিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথেই সমস্যা সমাধান চাই,’— বলেন সাজ্জাত আলী।

১৩ নভেম্বর রাজনৈতিক নিষিদ্ধ দলের সম্ভাব্য নাশকতার আশঙ্কা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন,‘একটি দুটি মোটরসাইকেল থেকে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের কাজ চলছে। ঢাকাবাসী আমাদের সঙ্গে আছে—তাই কোনো অঘটন ঘটলে তা মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন,নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যরা কি সাম্প্রতিক নাশকতার সঙ্গে জড়িত? জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন,‘আমরা সম্প্রতি বেশ কয়েকজন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের পদধারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছি। গত সপ্তাহে শেরেবাংলা নগর এলাকায়ও এমন কিছু গ্রেফতার অভিযান পরিচালিত হয়েছে।’

সিসিটিভি স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানান কমিশনার। বলেন,‘গুলশানের মতো বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে সমিতি উদ্যোগে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, অন্য এলাকাগুলোর বাসিন্দারাও যদি এভাবে উদ্যোগ নেয়, তাহলে নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।’

হাইকোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন,‘মানুষ বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে যায়। আমরা কখনোই বিচারপ্রার্থীদের বাধা দিতে চাই না। তবে নির্ধারিত দিনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ তারিখ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই: ডিএমপি কমিশনার

আপডেট: ০৫:১৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। মঙ্গলবার(১১ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ঢাকাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ১৩ নভেম্বর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা প্রস্তুত আছি।’

কমিশনার বলেন,‘ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো। এপ্রিল-মে মাসে যে হারে ছিনতাই ও দিনের বেলায় চাপাতি হামলার ঘটনা ঘটত,এখন তা অনেক কমেছে। বিশেষ করে মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।’

তিনি জানান,সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিক্ষোভ বা আন্দোলনেও পুলিশ সংযম দেখিয়েছে। ‘আমরা কোনো মারণাস্ত্র বা লাঠি ব্যবহার না করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। ডিএমপির নীতিই হচ্ছে—কোনো নাগরিকের গায়ে হাত তোলা যাবে না। মানুষ যদি দাবি নিয়ে আসে, আমরা তাদের বুঝিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথেই সমস্যা সমাধান চাই,’— বলেন সাজ্জাত আলী।

১৩ নভেম্বর রাজনৈতিক নিষিদ্ধ দলের সম্ভাব্য নাশকতার আশঙ্কা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন,‘একটি দুটি মোটরসাইকেল থেকে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের কাজ চলছে। ঢাকাবাসী আমাদের সঙ্গে আছে—তাই কোনো অঘটন ঘটলে তা মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন,নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যরা কি সাম্প্রতিক নাশকতার সঙ্গে জড়িত? জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন,‘আমরা সম্প্রতি বেশ কয়েকজন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের পদধারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছি। গত সপ্তাহে শেরেবাংলা নগর এলাকায়ও এমন কিছু গ্রেফতার অভিযান পরিচালিত হয়েছে।’

সিসিটিভি স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানান কমিশনার। বলেন,‘গুলশানের মতো বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে সমিতি উদ্যোগে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, অন্য এলাকাগুলোর বাসিন্দারাও যদি এভাবে উদ্যোগ নেয়, তাহলে নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।’

হাইকোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন,‘মানুষ বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে যায়। আমরা কখনোই বিচারপ্রার্থীদের বাধা দিতে চাই না। তবে নির্ধারিত দিনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’