০৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

এনসিপির উপদেষ্টাদের মতলব কি!

সোনালী খবর
সোনালী খবর
  • আপডেট: ০৯:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • /

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

বিগত কয়েকদিনে এনসিপি ঘোষিত কর্মসূচি রোড মার্চ ডেমোক্রেসি দেশের নানান জেলায় পালিত হচ্ছে।

মহৎ এজেন্ডা গনতন্ত্রের পদযাত্রা দেশের মানুষদের গনতন্ত্রের ছবক বিতরণ করবে ।

হাজার লক্ষ কোটি ছাত্র জনতা সেসব পথ জনসভায় উপস্থিত থেকে ছবক গিলে নতুন বাংলাদেশ গড়াতে তাদের প্রতি আস্হা ও সমর্থন জানাবে !

আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের সোনায় সোহাগা ধূয়া তুলশী পাতা মহৎ প্রার্থীদের ভোটের বাক্সটা ভর্তি করে জয়যুক্ত করে আগামী সরকার গঠনে সহায়ক হবে ! ”

তাদের পিছনে সরাসরি যন্ত্র মন্ত্র সব অন্ধকারে পরিকল্পিত সকল কিছু বাস্তবায়নে সদা তৎপর থেকে কাজ করে যাবে ।

পরামর্শক উপদেষ্টাদের আস্হায় অবিচল থেকে সাহসী দাম্ভিক উদ্ধত হয়ে , একের পর এক “” বিপ্লবী জনাব নাহিদ , হাসনাত , সারজিস , নাসির পাটওয়ারী সদ্য গঠিত এনসিপির শীর্ষ নেতাদের ভাষনে স্পষ্টত প্রতীয়মান এই ।
“” বিএনপিকে তুলোধুনো করে জনগণের সমর্থন অনাস্থায় তৈরীতে মন বিষিয়ে তুলবে ।

বিগত এক বছরে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সমর্থনের রাজনৈতিক দল বিএনপি ” তে ঘাপটি মেরে নেতার পদ পদবী নিয়ে সারাদেশে এমন সব অপকর্মে জড়িয়ে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করে চলেছে।

সেসব অসৎ চরিত্রের নেতাকর্মীদের সাথে নতুন করে যুক্ত অনুপ্রবেশ কারী ।

এসব দূর্বিত্ব লুটেরার কারণে দলটি সাধারণ মানুষের নিকট প্রশ্নবিদ্ব ।।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সহ দলের কেন্দ্রীয় সৎ নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীরা উৎকন্ঠিত ”

“” এ পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে হাজার হাজার চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী নেতাকর্মী চিন্হিত করে দল থেকে বহিস্কার করেছে বলা হয়।।

কিন্তু চোর বাটপারের দল অপকর্ম ছেড়ে সাধু হয়েছে কি ! ”

মূলতঃ এহেন জঘন্য অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলছে ।।

ইদানীং সমাজের বিশিষ্টজন সাংবাদিক , রাজনৈতিক বিশ্লেষক , সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সংবাদ পত্র , ইলেকট্রনিক মিডিয়া , এমনি কি সাধারণ মানুষের হাতে থাকা তথ্য অনুসন্ধানে ।

এমন সব ভয়াবহ দুস্কর্মের সংগঠিত ঘটনা প্রকাশে শুধু বিএনপির সাথে জামাত শিবির, এনসিপির শীর্ষ নেতাদের নানান তদবির বানিজ্য , সরকারি বেসরকারি সংস্থায় তাদের পছন্দের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করার প্রতিযোগিতায় মেতে থাকার খবরাখবর প্রকাশিত হচ্ছে ।

এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের মানুষের আগ্রহ অনেকটা ভাঁটা পড়তে দেখা যায়।

রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের প্রতি বিদ্রূপ নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে চলছে ।

তারপরও মানুষ দেখছে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দলের নেতাদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করে চলেছেন ।

“” প্রধানত দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত গনতন্ত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা , ভোটের অধিকার নিশ্চিত সহ দূর্নীতি মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দিকনির্দেশনা দেন ।

অন্যদিকে গতকাল ঐতিহাসিক সরওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক এক বিশাল জাতীয় সমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের সমর্থকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন “”‘ স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিষ্ট শাসক ভিনদেশী তাবেদার দালাল যেন মাথাচাড়া উঠতে না পারে , সকলে সজাগ তৎপর থাকতে হবে , তিনি দৃঢ় কন্ঠে বলেন বহু আন্দোলন সংগ্রাম রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ।

আমাদের প্রথমত দাবি অন্তর্বর্তীকালীনকালীন সরকার কে দেশের সকল স্তরে দখলদার চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী দমন এবং বিগত দিনে জাতির স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট তাবেদার শক্তির অপতৎপরতা রুখতে দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক শক্তি এক অভিন্ন থেকে একত্রে মোকাবিলা করতে হবে ।

রাজনৈতিক আদর্শগত মতবিরোধ থাকবে , তবে কোন দলের প্রতি বিদ্বেষ মনভাব প্রদর্শন করা থেকে জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বিরত থাকবেন ।

আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান যথাসময়ে আয়োজনে সকল প্রস্তুতি গ্রহণে সরকার অটল থাকতে হবে , , গঠনমূলক ভাষণ প্রশংসার দাবিদার মান্যবর আমির জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ।

তাহলে আমরা দেখলাম দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সমর্থন পুষ্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং ধর্মভিত্তিক সংগঠন জামায়াতের আমির জনাব ডঃ সফিকুর রহমানের বক্তব্য একেই সূত্রে গাঁথা ।

যাহা কিনা রাজনৈতিক শিষ্টাচার আচরণে এক অভিন্ন থেকে দুই নেতা দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সপ্ন পূরণে একাট্টা ।

তার এমন গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে বলে অনেকের ধারণা ।

অন্যদিকে এনসিপির গুটিকয়েক ছাত্র থেকে নেতা হয়ে কি এমন শক্তি সাহস অধিকতর আস্হায় অবিচল!

বিএনপির মতো একটি দলের নেতা জনাব তারেক রহমান সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধাচরণ করে উদ্ধত অস্বাভাবিক বিদ্রূপ কটাক্ষে বক্তব্য দেন ।

কেন জানি গায়ে পড়ে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে এক অস্হিতিশীল পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করার পায়তারা
যা তে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান যথাসময়ে না হয় এবং দেশে এক অগতানুগতিক পরিবেশ পরিস্থিতির তৈরি করে রাষ্ট্রে আরেকটি ফ্যাসিষ্ট আগমনের পথ সুগম হতে সাহায্য করে ।

এদের পক্ষে এমন দুস্কর্ম করা বিচিত্র নয় কারণ যাঁরা কি-না হাসিনা শাসনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হয়ে মজিব বন্দনায় জাতির জনক সম্বোধনে হাসিনা সন্তুষ্টিতে ছাত্র লীগের সকল কর্মসূচি তে উপস্থিত থেকেছে “”‘ যাহা বিগত তথ্য প্রযুক্তির ফুটেজ দেখলে প্রমাণিত হবে ।

অথচ দেশময় ছাত্রদলের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে প্রতিটি ছাত্র সংগঠন তাদের সমর্থ অনুযায়ী রাজপথে হাসিনা শাসন দীর্ঘ স্হায়ী পাকাপোক্ত বন্দবস্তে বিরোধিতায় ।

আওয়ামী লীগ যুব -ছাত্রলীগের মাস্তান সন্ত্রাসী এবং নির্লজ্জ বেহায়া ঘাতক পুলিশবাহিনী বিরোধী দলের আন্দোলন দমাতে ন্যাক্কার জনক ভূমিকা থেকেছে ।

১৮ সনের পর যখন এরা ( এনসিপির নেতারা ) দেখলো বিশ্ব বিদ্যালয় বিশেষ করে মুখ্য ভূমিকায় বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা অধিকার , ছাত্র ছাত্রী নির্যাতন হত্যা এবং চাকুরী কোঠা প্রথা বাতিল , পরবর্তী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দাবি তে একে একে জোরদার হচ্ছে রাজধানী সহ বৃহত্তর জেলায় ।

তখনো তাদের পরিচয় একটা আওয়ামী ঘরনার ছাত্রলীগে ।

সরকার বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সরকারের পেটুয়া বাহিনীর নির্বিচারে গুলির স্বিকার রাতের অন্ধকারে ঘুম খুনের বীভৎসতার ভারি পরিবেশে দেশের মানুষ আতংকিত ।

বারবার সরকার বিরোধী আন্দোলন নিস্প্রভ সফলতা।

দীর্ঘ দিনের মানুষের ক্ষোভের উদ্রেক হচ্ছে “”‘
এরেই মাঝে আরেকটি নির্বাচন ২৪ যা কিনা ভোটার বিমুখের ফলাফলে সরকার গঠন ।

সবমিলিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার হচ্ছে

“” জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের কিছু দিন আগ থেকে ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন প্রধান কাতারে এসে “” বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব হাতে রপ্ত করেছে এরা ।

তারপর ঘটনা প্রবাহে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে হাজারো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হলো নতুন সূর্য ।

দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী হাসিনা আদেশে দমন নিপিড়নে রাজধানী সহ গুরুত্বপূর্ণ জেলায় রাস্তায় নামলেও আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা দমনে মরণঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত ছিলেন ।

বিশেষ করে তাদের এমন সিদ্ধান্তে সাহসী হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের জনগণ।

বিপ্লব উত্তর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলো এদের কয়েকজন সরকারের উপদেষ্টা মনোনীত হলেন ।

একজন পদত্যাগ করে সরকারে থাকা ক’জন উপদেষ্টার মদদপুষ্টে ভূমিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রধান সমন্নয়ক অন্যরা মূখ্য অথবা গুরুত্বপূর্ণ পদে এসিপি পতাকা হাতে রাস্তায় ভোটের রাজনীতি তে নেমে যা করে চলেছে তা বলার প্রয়োজন আছে কি ! ”

ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ – সাতকানিয়ায় গণরোষে পড়ার দৃশ্য দেখে নাবালক রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করতে হয়।

হাজারো ছাত্র জনতার রক্তের রঞ্জিত রাজপথ ও বিভিন্ন জেলাতে কর্মসূচি বাস্তবায়নে নামীদামী গাড়ি বহর আগে পিছে সরকারি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ,, রাত যাপন খানাপিনা সরকারি সার্কিট হাউসের রাষ্ট্রিও সুবিধা বাহবাহ কি আচানক তিলিছমাত কারবার ।

অবশেষে এনসিপির নেপথ্যে থাকা উপদেষ্টাদের মতলব কি “”” পরিস্কার হয়ে উঠুক সকল অতৎপর কার্যক্রম না হয় এনসিপির নেতাদের মুখ সামলে কথা আচরন করতে পরামর্শ দিন নচেৎ পরিণাম হবে ভয়াবহ আরেকটি দুঃশাসন রাষ্ট্রে কাম্য নয় । জাতির সামনে আরকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের পথরুদ্ধ করে জাতির সপ্ন পূরণে এগিয়ে আসুন।

পরিশেষে দেশের মানুষ মনে করে বর্তমানে নেতাকর্মী জন সমর্থিত প্রধানত বিএনপি তারপর ধর্মভিত্তিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর মহান দুই নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং আমীর রাজনীতিতে আপনারা বিচক্ষণে বিবেচিত জাতি মনে করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুদৃঢ় করতে আপনাদের সুচিন্তিত পরিকল্পনায় রাষ্ট্রে আগামী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে কার্যকর হবে ইনশাআল্লাহ ।

লেখক: ফরিদ আহমেদ রিপন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এনসিপির উপদেষ্টাদের মতলব কি!

আপডেট: ০৯:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

বিগত কয়েকদিনে এনসিপি ঘোষিত কর্মসূচি রোড মার্চ ডেমোক্রেসি দেশের নানান জেলায় পালিত হচ্ছে।

মহৎ এজেন্ডা গনতন্ত্রের পদযাত্রা দেশের মানুষদের গনতন্ত্রের ছবক বিতরণ করবে ।

হাজার লক্ষ কোটি ছাত্র জনতা সেসব পথ জনসভায় উপস্থিত থেকে ছবক গিলে নতুন বাংলাদেশ গড়াতে তাদের প্রতি আস্হা ও সমর্থন জানাবে !

আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের সোনায় সোহাগা ধূয়া তুলশী পাতা মহৎ প্রার্থীদের ভোটের বাক্সটা ভর্তি করে জয়যুক্ত করে আগামী সরকার গঠনে সহায়ক হবে ! ”

তাদের পিছনে সরাসরি যন্ত্র মন্ত্র সব অন্ধকারে পরিকল্পিত সকল কিছু বাস্তবায়নে সদা তৎপর থেকে কাজ করে যাবে ।

পরামর্শক উপদেষ্টাদের আস্হায় অবিচল থেকে সাহসী দাম্ভিক উদ্ধত হয়ে , একের পর এক “” বিপ্লবী জনাব নাহিদ , হাসনাত , সারজিস , নাসির পাটওয়ারী সদ্য গঠিত এনসিপির শীর্ষ নেতাদের ভাষনে স্পষ্টত প্রতীয়মান এই ।
“” বিএনপিকে তুলোধুনো করে জনগণের সমর্থন অনাস্থায় তৈরীতে মন বিষিয়ে তুলবে ।

বিগত এক বছরে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সমর্থনের রাজনৈতিক দল বিএনপি ” তে ঘাপটি মেরে নেতার পদ পদবী নিয়ে সারাদেশে এমন সব অপকর্মে জড়িয়ে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করে চলেছে।

সেসব অসৎ চরিত্রের নেতাকর্মীদের সাথে নতুন করে যুক্ত অনুপ্রবেশ কারী ।

এসব দূর্বিত্ব লুটেরার কারণে দলটি সাধারণ মানুষের নিকট প্রশ্নবিদ্ব ।।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সহ দলের কেন্দ্রীয় সৎ নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীরা উৎকন্ঠিত ”

“” এ পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে হাজার হাজার চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী নেতাকর্মী চিন্হিত করে দল থেকে বহিস্কার করেছে বলা হয়।।

কিন্তু চোর বাটপারের দল অপকর্ম ছেড়ে সাধু হয়েছে কি ! ”

মূলতঃ এহেন জঘন্য অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলছে ।।

ইদানীং সমাজের বিশিষ্টজন সাংবাদিক , রাজনৈতিক বিশ্লেষক , সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সংবাদ পত্র , ইলেকট্রনিক মিডিয়া , এমনি কি সাধারণ মানুষের হাতে থাকা তথ্য অনুসন্ধানে ।

এমন সব ভয়াবহ দুস্কর্মের সংগঠিত ঘটনা প্রকাশে শুধু বিএনপির সাথে জামাত শিবির, এনসিপির শীর্ষ নেতাদের নানান তদবির বানিজ্য , সরকারি বেসরকারি সংস্থায় তাদের পছন্দের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করার প্রতিযোগিতায় মেতে থাকার খবরাখবর প্রকাশিত হচ্ছে ।

এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশের মানুষের আগ্রহ অনেকটা ভাঁটা পড়তে দেখা যায়।

রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের প্রতি বিদ্রূপ নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে চলছে ।

তারপরও মানুষ দেখছে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দলের নেতাদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করে চলেছেন ।

“” প্রধানত দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত গনতন্ত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা , ভোটের অধিকার নিশ্চিত সহ দূর্নীতি মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দিকনির্দেশনা দেন ।

অন্যদিকে গতকাল ঐতিহাসিক সরওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক এক বিশাল জাতীয় সমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের সমর্থকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন “”‘ স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিষ্ট শাসক ভিনদেশী তাবেদার দালাল যেন মাথাচাড়া উঠতে না পারে , সকলে সজাগ তৎপর থাকতে হবে , তিনি দৃঢ় কন্ঠে বলেন বহু আন্দোলন সংগ্রাম রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ।

আমাদের প্রথমত দাবি অন্তর্বর্তীকালীনকালীন সরকার কে দেশের সকল স্তরে দখলদার চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী দমন এবং বিগত দিনে জাতির স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট তাবেদার শক্তির অপতৎপরতা রুখতে দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক শক্তি এক অভিন্ন থেকে একত্রে মোকাবিলা করতে হবে ।

রাজনৈতিক আদর্শগত মতবিরোধ থাকবে , তবে কোন দলের প্রতি বিদ্বেষ মনভাব প্রদর্শন করা থেকে জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বিরত থাকবেন ।

আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান যথাসময়ে আয়োজনে সকল প্রস্তুতি গ্রহণে সরকার অটল থাকতে হবে , , গঠনমূলক ভাষণ প্রশংসার দাবিদার মান্যবর আমির জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ।

তাহলে আমরা দেখলাম দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সমর্থন পুষ্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং ধর্মভিত্তিক সংগঠন জামায়াতের আমির জনাব ডঃ সফিকুর রহমানের বক্তব্য একেই সূত্রে গাঁথা ।

যাহা কিনা রাজনৈতিক শিষ্টাচার আচরণে এক অভিন্ন থেকে দুই নেতা দেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সপ্ন পূরণে একাট্টা ।

তার এমন গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে বলে অনেকের ধারণা ।

অন্যদিকে এনসিপির গুটিকয়েক ছাত্র থেকে নেতা হয়ে কি এমন শক্তি সাহস অধিকতর আস্হায় অবিচল!

বিএনপির মতো একটি দলের নেতা জনাব তারেক রহমান সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধাচরণ করে উদ্ধত অস্বাভাবিক বিদ্রূপ কটাক্ষে বক্তব্য দেন ।

কেন জানি গায়ে পড়ে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে এক অস্হিতিশীল পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করার পায়তারা
যা তে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান যথাসময়ে না হয় এবং দেশে এক অগতানুগতিক পরিবেশ পরিস্থিতির তৈরি করে রাষ্ট্রে আরেকটি ফ্যাসিষ্ট আগমনের পথ সুগম হতে সাহায্য করে ।

এদের পক্ষে এমন দুস্কর্ম করা বিচিত্র নয় কারণ যাঁরা কি-না হাসিনা শাসনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হয়ে মজিব বন্দনায় জাতির জনক সম্বোধনে হাসিনা সন্তুষ্টিতে ছাত্র লীগের সকল কর্মসূচি তে উপস্থিত থেকেছে “”‘ যাহা বিগত তথ্য প্রযুক্তির ফুটেজ দেখলে প্রমাণিত হবে ।

অথচ দেশময় ছাত্রদলের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে প্রতিটি ছাত্র সংগঠন তাদের সমর্থ অনুযায়ী রাজপথে হাসিনা শাসন দীর্ঘ স্হায়ী পাকাপোক্ত বন্দবস্তে বিরোধিতায় ।

আওয়ামী লীগ যুব -ছাত্রলীগের মাস্তান সন্ত্রাসী এবং নির্লজ্জ বেহায়া ঘাতক পুলিশবাহিনী বিরোধী দলের আন্দোলন দমাতে ন্যাক্কার জনক ভূমিকা থেকেছে ।

১৮ সনের পর যখন এরা ( এনসিপির নেতারা ) দেখলো বিশ্ব বিদ্যালয় বিশেষ করে মুখ্য ভূমিকায় বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা অধিকার , ছাত্র ছাত্রী নির্যাতন হত্যা এবং চাকুরী কোঠা প্রথা বাতিল , পরবর্তী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দাবি তে একে একে জোরদার হচ্ছে রাজধানী সহ বৃহত্তর জেলায় ।

তখনো তাদের পরিচয় একটা আওয়ামী ঘরনার ছাত্রলীগে ।

সরকার বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সরকারের পেটুয়া বাহিনীর নির্বিচারে গুলির স্বিকার রাতের অন্ধকারে ঘুম খুনের বীভৎসতার ভারি পরিবেশে দেশের মানুষ আতংকিত ।

বারবার সরকার বিরোধী আন্দোলন নিস্প্রভ সফলতা।

দীর্ঘ দিনের মানুষের ক্ষোভের উদ্রেক হচ্ছে “”‘
এরেই মাঝে আরেকটি নির্বাচন ২৪ যা কিনা ভোটার বিমুখের ফলাফলে সরকার গঠন ।

সবমিলিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার হচ্ছে

“” জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের কিছু দিন আগ থেকে ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন প্রধান কাতারে এসে “” বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব হাতে রপ্ত করেছে এরা ।

তারপর ঘটনা প্রবাহে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে হাজারো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হলো নতুন সূর্য ।

দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী হাসিনা আদেশে দমন নিপিড়নে রাজধানী সহ গুরুত্বপূর্ণ জেলায় রাস্তায় নামলেও আন্দোলনকারী ছাত্র জনতা দমনে মরণঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত ছিলেন ।

বিশেষ করে তাদের এমন সিদ্ধান্তে সাহসী হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের জনগণ।

বিপ্লব উত্তর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলো এদের কয়েকজন সরকারের উপদেষ্টা মনোনীত হলেন ।

একজন পদত্যাগ করে সরকারে থাকা ক’জন উপদেষ্টার মদদপুষ্টে ভূমিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রধান সমন্নয়ক অন্যরা মূখ্য অথবা গুরুত্বপূর্ণ পদে এসিপি পতাকা হাতে রাস্তায় ভোটের রাজনীতি তে নেমে যা করে চলেছে তা বলার প্রয়োজন আছে কি ! ”

ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ – সাতকানিয়ায় গণরোষে পড়ার দৃশ্য দেখে নাবালক রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করতে হয়।

হাজারো ছাত্র জনতার রক্তের রঞ্জিত রাজপথ ও বিভিন্ন জেলাতে কর্মসূচি বাস্তবায়নে নামীদামী গাড়ি বহর আগে পিছে সরকারি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ,, রাত যাপন খানাপিনা সরকারি সার্কিট হাউসের রাষ্ট্রিও সুবিধা বাহবাহ কি আচানক তিলিছমাত কারবার ।

অবশেষে এনসিপির নেপথ্যে থাকা উপদেষ্টাদের মতলব কি “”” পরিস্কার হয়ে উঠুক সকল অতৎপর কার্যক্রম না হয় এনসিপির নেতাদের মুখ সামলে কথা আচরন করতে পরামর্শ দিন নচেৎ পরিণাম হবে ভয়াবহ আরেকটি দুঃশাসন রাষ্ট্রে কাম্য নয় । জাতির সামনে আরকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের পথরুদ্ধ করে জাতির সপ্ন পূরণে এগিয়ে আসুন।

পরিশেষে দেশের মানুষ মনে করে বর্তমানে নেতাকর্মী জন সমর্থিত প্রধানত বিএনপি তারপর ধর্মভিত্তিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর মহান দুই নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং আমীর রাজনীতিতে আপনারা বিচক্ষণে বিবেচিত জাতি মনে করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুদৃঢ় করতে আপনাদের সুচিন্তিত পরিকল্পনায় রাষ্ট্রে আগামী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে কার্যকর হবে ইনশাআল্লাহ ।

লেখক: ফরিদ আহমেদ রিপন