১০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালক হত্যা: মূল আসামি মনিরসহ তিনজন গ্রেফতার

  • আপডেট: ১১:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানায় অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা ক্লুলেস হত্যা মামলার মূল আসামি মনির হোসেন (৩৭) ও তার দুই সহযোগীকে চার দিনের মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও জেলা পুলিশ।

শনিবার (৩০ আগস্ট) গভীর রাতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ও চরজব্বর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে এ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো— মামলার মূল আসামি মনির হোসেন (৩৭), পিতা-জামাল উদ্দিন,সাং চর মহিউদ্দিন,০৫নং চর জুবলী ইউনিয়ন,এবং তার সহযোগী লিটন (২৬) ও রিপন ওরফে জুয়েল (২৩)।

প্রথমে রাত আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর এলাকায় একটি গ্যারেজের সামনে থেকে মনিরকে আটক করে র‍্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভোর ৪টা ২০ মিনিটে চর জুবলী ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে সহযোগী লিটন ও রিপনকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,ভিকটিম ছিলেন মামলার বাদীর পিতা ও স্থানীয় একজন অটোরিকশা চালক। গত ২৫ আগস্ট দুপুরে তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেননি। রাতে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেলে পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।

পরদিন (২৬ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেখে পরিবারকে জানান যে,চালকের মরদেহ চরজব্বর থানার চরজবার ইউনিয়নের নূর ইসলামের বাড়ির সামনে একটি বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে।

চরজব্বর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বাদী অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ও র‌্যাব তদন্তে নামে।

র‌্যাব-১১,সিপিসি-৩ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন,“এটি একটি চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলা ছিল। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে মাত্র চার দিনের মধ্যে মূল আসামি ও তার দুই সহযোগীকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।”

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের চরজব্বর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালক হত্যা: মূল আসামি মনিরসহ তিনজন গ্রেফতার

আপডেট: ১১:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানায় অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা ক্লুলেস হত্যা মামলার মূল আসামি মনির হোসেন (৩৭) ও তার দুই সহযোগীকে চার দিনের মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও জেলা পুলিশ।

শনিবার (৩০ আগস্ট) গভীর রাতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ও চরজব্বর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে এ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো— মামলার মূল আসামি মনির হোসেন (৩৭), পিতা-জামাল উদ্দিন,সাং চর মহিউদ্দিন,০৫নং চর জুবলী ইউনিয়ন,এবং তার সহযোগী লিটন (২৬) ও রিপন ওরফে জুয়েল (২৩)।

প্রথমে রাত আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর এলাকায় একটি গ্যারেজের সামনে থেকে মনিরকে আটক করে র‍্যাব। পরে তার দেওয়া তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভোর ৪টা ২০ মিনিটে চর জুবলী ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে সহযোগী লিটন ও রিপনকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,ভিকটিম ছিলেন মামলার বাদীর পিতা ও স্থানীয় একজন অটোরিকশা চালক। গত ২৫ আগস্ট দুপুরে তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেননি। রাতে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেলে পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।

পরদিন (২৬ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেখে পরিবারকে জানান যে,চালকের মরদেহ চরজব্বর থানার চরজবার ইউনিয়নের নূর ইসলামের বাড়ির সামনে একটি বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে।

চরজব্বর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বাদী অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ও র‌্যাব তদন্তে নামে।

র‌্যাব-১১,সিপিসি-৩ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন,“এটি একটি চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলা ছিল। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে মাত্র চার দিনের মধ্যে মূল আসামি ও তার দুই সহযোগীকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।”

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের চরজব্বর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানায়।