০৭:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

টেকনাফে র‍্যাব-বিজিবির অভিযান: মানব পাচারকারী চক্রের আস্তানায় হানা, ৮৪ জন উদ্ধার

  • আপডেট: ০৬:১৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের আস্তানায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর যৌথ অভিযানে তিন মানব পাচারকারীকে আটক এবং ৮৪ জন ভুক্তভোগীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল,একনলা বন্দুক,ওয়ান শুটারগানসহ দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি ও র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে,২১ সেপ্টেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার গহিন পাহাড়ে পরিচালিত যৌথ অভিযানে রাজাছড়া পাহাড়ের চূড়ায় এবং আশপাশের এলাকা থেকে এসব ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে অংশ নেয় বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) ও র‍্যাব-১৫ এর সদস্যরা। অভিযানের সময় পাচারকারীরা যৌথ বাহিনীর ওপর গুলি ছোড়ে এবং কয়েকজন জিম্মিকে নিচে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি না চালিয়ে কৌশলে পাহাড় ঘিরে রেখে সশস্ত্র পাচারকারীদের ধরতে অভিযান চালান।

প্রায় ১২ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে তিন পাচারকারী— উত্তর কচ্ছপিয়ার আব্দুল্লাহ, রাজারছড়ার সাইফুল ইসলাম ও মো. ইব্রাহিমকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় তাদের আস্তানা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি,একটি একনলা বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি,একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি,দুটি দেশীয় রামদা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। অভিযানের অন্য অংশে দমদমিয়া বিওপি এলাকার বড়ইতলি থেকে আরও চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।

পলাতক পাচারকারীদের মধ্যে রয়েছে বাহারছড়ার রেজাউল করিম ও আয়াতুল তনজিদ। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি ও র‍্যাব বলছে,সম্প্রতি টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মানব পাচার,অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ বেড়ে গেছে। এসব অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারীরা তাদের জিম্মি করে রেখেছিল।

এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান ও র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান। অভিযানের পর আটক তিনজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

টেকনাফে র‍্যাব-বিজিবির অভিযান: মানব পাচারকারী চক্রের আস্তানায় হানা, ৮৪ জন উদ্ধার

আপডেট: ০৬:১৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

কক্সবাজারের টেকনাফে মানব পাচারকারীদের আস্তানায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর যৌথ অভিযানে তিন মানব পাচারকারীকে আটক এবং ৮৪ জন ভুক্তভোগীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল,একনলা বন্দুক,ওয়ান শুটারগানসহ দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি ও র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে,২১ সেপ্টেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার গহিন পাহাড়ে পরিচালিত যৌথ অভিযানে রাজাছড়া পাহাড়ের চূড়ায় এবং আশপাশের এলাকা থেকে এসব ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে অংশ নেয় বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) ও র‍্যাব-১৫ এর সদস্যরা। অভিযানের সময় পাচারকারীরা যৌথ বাহিনীর ওপর গুলি ছোড়ে এবং কয়েকজন জিম্মিকে নিচে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি না চালিয়ে কৌশলে পাহাড় ঘিরে রেখে সশস্ত্র পাচারকারীদের ধরতে অভিযান চালান।

প্রায় ১২ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে তিন পাচারকারী— উত্তর কচ্ছপিয়ার আব্দুল্লাহ, রাজারছড়ার সাইফুল ইসলাম ও মো. ইব্রাহিমকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় তাদের আস্তানা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি,একটি একনলা বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি,একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি,দুটি দেশীয় রামদা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়। অভিযানের অন্য অংশে দমদমিয়া বিওপি এলাকার বড়ইতলি থেকে আরও চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।

পলাতক পাচারকারীদের মধ্যে রয়েছে বাহারছড়ার রেজাউল করিম ও আয়াতুল তনজিদ। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি ও র‍্যাব বলছে,সম্প্রতি টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মানব পাচার,অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ বেড়ে গেছে। এসব অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারীরা তাদের জিম্মি করে রেখেছিল।

এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান ও র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান। অভিযানের পর আটক তিনজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।