আঃ লীগ এবং বিএনপি নেতাকর্মী মূল্যায়ন পার্থক্য !!
- আপডেট: ১০:০৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৮০৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর
মত প্রকাশঃ– মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার গত হলো প্রায় ৮০ বছর। বিএনপি ৪৭ বছর।
দুই দলের নেতকর্মীর আওয়ামী লীগের প্রবীণ প্রায় পরলোকগত। স্বাধীনতা উত্তর শিশু থেকে কিশোর যারা , তারাই এখন পঞ্চাশ উর্ধের নেতাকর্মী এরাই রক্ত মাংসে আপাদমস্তক আওয়ামী লীগ।
দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে তারা দলের জন্য জীবনবাজী রেখে চলেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আত্মগোপনে বা
প্রকাশ্যে দেশেই আছে ,সংখ্যায় ৩/৪ কোটি ।। সুযোগ বুজে রাস্তায় নামবে। তখন দেখবেন কত রকম অপ কৌশল কর্মসূচি দিয়ে খেদাও সরকার কিংবা ভিন্ন মতের দলকে দমন প্রয়োগ।
অন্যদিকে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর প্রবীণ নেতাকর্মী কেহ কেহ জীবিত থাকলেও দলীয় অবমূল্যায়নের কারনে ঘরকোনায়।
সারাদেশের নেতাকর্মীরা বিগত সরকারের দমন নিপিড়ন আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ময়দানে হাসিনা রেজিম হটাতে কার্যকর ব্যর্থ কেউ কেউ বললে তা সঠিক নয়। মূলতঃ দলীয় শীর্ষ নেতাদের হটকারি সিদ্ধান্তে বার বার আন্দোলনের পুরো কৃতিত্বের পরিচয়ে আজ দলটির ভূমিকা দেশবাসীর কাছে অস্পষ্ট।
তবে ১৭ বছরে এ দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ঘুম খুনের স্বীকার হয়ে শহিদের তালিকায়। অন্যদিকে
পাঁচ আগষ্টের বিপ্লবী ভূমিকায় ছাত্র জনতার সাথে এ দলের লক্ষ কোটি নেতাকর্মী রাজধানী থেকে দেশের সর্বত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিলো উল্লেখযোগ্য।
আজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মাঝে নেতৃত্ব দেওয়া ক”জন এমন সব কথা বলে যেন বিপ্লব নেতৃত্বের মূলে তাহারা !!
এবার মূল প্রসঙ্গ “” আওয়ামী লীগ ভারতের প্রেসক্রিপশনে প্রতিষ্ঠি হলেও স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে দলের অতন্ত্র প্রহরী হয়ে সরব উপস্থিত সবসময় ।
মসনদে বসার জন্য যে কোন আত্মঘাতী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনে স্যাবটাজ কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ।
বর্তমানে যতই আইনগত নিষিদ্ধ কার হোক “” একদিন না একদিন খোলস ছেড়ে ফণা তুলবে।
এক্ষেত্রে বিএনপি দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায় শহিদ জিয়াউর রহমান সততা নিষ্ঠা এবং জাতীয়তাবাদ
চেতনায় দেশপ্রেমিক জনতার আস্থা বিশ্বাসের প্রতীক।
তাই তো তার অবর্তমানেও বার বার দেশের মানুষ দল কে টিকিয়ে রাখতে সংগঠিত হয়ে দলীয় পতাকা তলে
অবস্থান নেন।
শহীদ জিয়াউর রহমানের পর একশ্রেণির সুবিধাবাদী চরিত্রের রাজনৈতিক নেতা পদ মর্যাদায় থেকে তাদের
অবস্থান দৃঢ় রাখতে দেখা গেছে ,দলীয় ত্যাগীদের অব-
মূল্যয়ায়নে নিবৃত্ত করার কৌশলে লিপ্ত ছিলো এখনো আছে ।
— সে কারণে দুঃখে ক্ষোভ – মান অভিমানে আশাহত হয়ে নিস্ক্রিয়।
অনেক কে বলতে শুনেছি “” দলের একক নিয়ন্ত্রণ যখন ম্যাডামের হাতে তখন তিনি পুরানো আদর্শবান নেতাকর্মীদের কথা শুনে সঠিক পথে দল পরিচালনা করতেন ,,তার প্রতি দেশের মানুষের আস্হা এখনো অবিচল।
তিনি আছে বলে দলের অভ্যন্তরে কিংবা দেশ বিদেশি চক্রান্তকারীরা দলের অস্তিত্বে আঘাত হানতে ব্যার্থ হয়েছে বারেবারেই।
বর্তমানে কতিপয় অসৎ নেতাকর্মীদের অনৈতিক কর্মকান্ডে দেশের মানুষ বিরক্ত হলেও কোন এক ঐতিহাসিক মূহুর্তে বাংলাদেশী জাতি গোষ্ঠী মানুষেরা বিএনপির পাশে দাঁড়াবেই।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দেশের মানুষের উপলব্ধি বুঝতে বাকি নেই, এখনো
সময় আছে সারা দেশের বঞ্চিত ত্যাগী নেতাদের দলে
যথাযত মূল্যায়ন পদ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করুন।
মনে রাখবেন আওয়ামী লীগে মূলশক্তি তাদের নেতাকর্মী সমর্থক।
অন্যদিকে উদার মুসলিম ধর্ম বিশ্বাসী ,ভারতীয় আধিপত্য বিরোধী এবং দেশপ্রেমিক জনতাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মূলশক্তি।
লেখক : ফরিদ আহমেদ রিপন





















