র্যাবের অভিযান: যাত্রাবাড়ী, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কেরাণীগঞ্জে ৩০ লক্ষাধিক টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার, গ্রেফতার ৩
- আপডেট: ০১:৩১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
দেশে মাদক নির্মূলে “জিরো টলারেন্স” নীতিতে অটল থেকে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১০,সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল একাধিক সফল অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও তিনজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
র্যাব জানায়,এসব অভিযানে আনুমানিক ৩০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের ৭১ কেজি গাঁজা ও ২ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
প্রথম অভিযান: সিদ্ধিরগঞ্জে ২৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১
বুধবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ১৫ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালায়। এসময় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং মো.ফারুক নামে এক পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং থানার শঙ্কুচাইল গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে বলে জানা গেছে।
দ্বিতীয় অভিযান: কেরাণীগঞ্জে ৪৬ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১
পরবর্তী অভিযানটি পরিচালিত হয় গতরাত আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী এলাকায়। এ অভিযানে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মো. আল আমিন (৩৩) নামে আরও এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার ভাগ্যকুল গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।
তৃতীয় অভিযান:যাত্রাবাড়ীতে ২,৯০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১
এছাড়া গতকাল বিকাল আনুমানিক ৪টা ১০ মিনিটে র্যাব-১০ এর আরেকটি দল ডিএমপি,ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলারপাড় এলাকায় অভিযান চালায়। চেকপোস্টে তল্লাশির সময় হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে সন্দেহভাজন মো. আয়াছকে আটক করা হয়। তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার উত্তর নোয়াপাড়ার সৈয়দ হোসেনের ছেলে।
পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এক্স-রে করানো হলে তার পেটে বস্তু সদৃশ কিছু দেখা যায়। চিকিৎসকের সহায়তায় বিশেষ পদ্ধতিতে তার শরীর থেকে ২ হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
র্যাব-১০ এর যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এসএম হাসান সিদ্দিকী সুমন বলেন,গ্রেফতারকৃত আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে মাদক কারবাবের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজা ও ইয়াবা এনে রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করত।
তিনি আরও জানান,উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “মাদক সমাজের ভয়াবহ এক ব্যাধি, যা যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। র্যাব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে— ‘মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়ন ছাড়া একটি নিরাপদ ও উন্নত সমাজ গঠন সম্ভব নয়।”




















