রামগঞ্জে ৪ সাংবাদিকের মামলা তদন্তে উদ্বিগ্ন বিএমইউজে
- আপডেট: ০৬:০৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮০০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর
লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা তারেক ইকবাল ওরফে রবিন পাটওয়ারীর সুইসাইট করার ১৪ মাসেও কুলকিনারা হয়নি। মামলায় ৪ সাংবাদিককে গ্রেফতার করলেও অন্য কাউকে গ্রেফতার না করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই বাবর আলী অদৃশ্য ব্যক্তির ইন্দনে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করে। ঘটনার মূল আসামীদের আড়াল করতে সাংবাদিকদের উপর দোষ চাপাতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল। এতে ন্যায় বিচারেরর আশংকা প্রকাশ করেছে বিএমইউজে, সাংবাদিকদের স্বজন,এলাকাবাসী ও আসামী পক্ষের আইনজীবি।
বিভিন্ন সুত্রে জানায়,রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবস্থিত পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার ইমাম হোসেন পৌর অবিরামপুর গ্রামের গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইত্তেফাকের রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান,যায়যায়দিনের বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সমকালের জাকির হোসেন সুমন ও মানবকণ্ঠের শাখায়াত হোসেন জাহাঙ্গীর অভিযুক্ত ইমাম হোসেন ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের বক্তব্য নিতে ২৭অক্টোবর-২০২৪ইং বেলা ১২টার দিকে ব্যাংক অফিসে যায়। অভিযুক্ত ইমাম হোসেন ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অনুপস্থিত থাকায় এবং সেকেন্ড অফিসার মোস্তফা বিন তারেক অসুস্থ হওয়ায় সাংবাদিকরা স্থান ত্যাগ করে। বিকেলে ইউএনও অফিসের নির্মানাধীন ভবনের ৪ তলার ছাদ থেকে পড়ে সেকেন্ড অফিসার মোস্তফা মারা যাওয়ার খবর শুনে সাংবাদিকরা নিশ্চিত হতে থানা গেলে ৪টার দিকে ওসি ৪ সাংবাদিকে আটক করে এবং রাত ৩টার দিকে নিহতের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রিমুকে বাদী করে মামলা রুজু করে ওসি আবুল বাসার এবং ২৮ অক্টোবর ( আটকের ২৩ ঘন্টা পরে) লক্ষীপুর আদালতে সোর্পদ করে। দীর্ঘ ৫৫দিন জেল খাটার পরে লক্ষীপুর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের জামিন দেন। সাংবাদিকদেও পক্ষের আইনজীবি খাদিজাতুল কোবরা বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার রামগঞ্জ থানার এস.আই বাবর আলী দীর্ঘ ৯ মাস তদন্ত করে চার্জশীট না দিয়ে অদৃশ্য ব্যক্তির ইন্দনে মামলাটি এসপির মাধ্যমে ডিবিতে হস্তান্তর করে। আইনজীবি আরো বলেন,সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমতি না নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ওসি আবুল বাশার সাংবাদিকদের আটকের পর মামলা রুজু,২৩ঘন্টা পরে আদালতে পাঠায়। সাংবাদিকদের অন্যায় ভাবে এই মামলার আসামী করায় রামগঞ্জ প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম,রিপোর্টার ইউনিয়নসহ বিভিন সাংবাদিক সংগঠন প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করলে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তদন্ত কর্মকর্তা নানা বাধার সম্মুখিন হচ্ছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সোহেল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শিবলী সাদিক খান বলেন,এ্যাডভোকেট খাদিজাতুল কোবরার ন্যায় আমরাও উদ্বিগ্ন, যে মুল আসামীকে আড়াল করতে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তদন্ত কর্মকর্তা পাল্টানোর । মামলাটি সুষ্ঠভাবে তদন্ত পুর্বক দ্রুত অদৃশ্য ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোরদাবী করছি।




















