০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নারীর প্রতিনিধিত্ব ছাড়া ঐকমত্য কমিশন নারীর জন্য অবমাননাকর: রাশেদা কে চৌধুরী

  • আপডেট: ০৫:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

নারীর প্রতিনিধিত্ব ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন নারীর জন্য অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

তিনি বলেন, নারীকে বাদ দিয়ে নারীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নয়-এই নীতি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত। অথচ দুঃখজনক হলো, কমিশনে তা অনুপস্থিত। কমিশন ক্ষমতার বিলি বণ্টন ও রাজনৈতিক ইস্যুতে ব্যস্ত, সেখানে নারী ইস্যু অবহেলিত।

শনিবার (২৩ আগস্ট) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন হলেই নারীর ক্ষমতায়ন সুরক্ষিত হবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এতে সভাপতিত্ব করেন।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, গত ৩ আগস্ট ৬৭টি নারী সংগঠন ঐকমত্য কমিশনে নারীর ক্ষমতায়ন ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক দলগুলোও আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি।

‘এমতাবস্থায় মনে হচ্ছে ঐকমত্য কমিশন ঘেরাও ছাড়া কোনো উপায় নেই। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৩৩ থেকে ৫০ শতাংশ নারীর মনোনয়ন প্রস্তাব এখনো উপেক্ষিত। দলগুলো ৫ থেকে ৭ শতাংশ নারীকে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে চায়, এটা দয়া-দাক্ষিণ্যের মতো। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে এখনো আস্থার সংকট রয়েছে। নারীকে কেবল রাষ্ট্রের কাছে অধিকার চাইলেই হবে না। পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান সর্বত্রই নারীর ক্ষমতায়নের দাবি উত্থাপন করতে হবে।’ যোগ করেন তিনি।

এ সময় হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে বিদ্যমান নির্বাচন ব্যবস্থা প্রকৃত পক্ষে দলীয় মনোনয়ন বা সিলেকশন। যেখানে জনগণের ভোট নয় দলীয় নেতৃত্বের কৃপায় এমপি হতে হয়। এতে ভোটাররা নারী প্রার্থীদের প্রকৃত জনপ্রিয়তা, দক্ষতা, যোগ্যতা যাচাই করতে পারে না। তাই সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন না হওয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার পূর্ণতা পায় না। সংসদে সংরক্ষিত নারী এমপিদের বলা হতো অলংকার, যা কখনো নারীর জন্য সম্মানজনক হতে পারে না।

ছায়া সংসদে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরাজিত করে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

নারীর প্রতিনিধিত্ব ছাড়া ঐকমত্য কমিশন নারীর জন্য অবমাননাকর: রাশেদা কে চৌধুরী

আপডেট: ০৫:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

নারীর প্রতিনিধিত্ব ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন নারীর জন্য অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

তিনি বলেন, নারীকে বাদ দিয়ে নারীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নয়-এই নীতি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত। অথচ দুঃখজনক হলো, কমিশনে তা অনুপস্থিত। কমিশন ক্ষমতার বিলি বণ্টন ও রাজনৈতিক ইস্যুতে ব্যস্ত, সেখানে নারী ইস্যু অবহেলিত।

শনিবার (২৩ আগস্ট) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন হলেই নারীর ক্ষমতায়ন সুরক্ষিত হবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এতে সভাপতিত্ব করেন।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, গত ৩ আগস্ট ৬৭টি নারী সংগঠন ঐকমত্য কমিশনে নারীর ক্ষমতায়ন ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক দলগুলোও আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি।

‘এমতাবস্থায় মনে হচ্ছে ঐকমত্য কমিশন ঘেরাও ছাড়া কোনো উপায় নেই। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৩৩ থেকে ৫০ শতাংশ নারীর মনোনয়ন প্রস্তাব এখনো উপেক্ষিত। দলগুলো ৫ থেকে ৭ শতাংশ নারীকে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে চায়, এটা দয়া-দাক্ষিণ্যের মতো। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে এখনো আস্থার সংকট রয়েছে। নারীকে কেবল রাষ্ট্রের কাছে অধিকার চাইলেই হবে না। পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান সর্বত্রই নারীর ক্ষমতায়নের দাবি উত্থাপন করতে হবে।’ যোগ করেন তিনি।

এ সময় হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে বিদ্যমান নির্বাচন ব্যবস্থা প্রকৃত পক্ষে দলীয় মনোনয়ন বা সিলেকশন। যেখানে জনগণের ভোট নয় দলীয় নেতৃত্বের কৃপায় এমপি হতে হয়। এতে ভোটাররা নারী প্রার্থীদের প্রকৃত জনপ্রিয়তা, দক্ষতা, যোগ্যতা যাচাই করতে পারে না। তাই সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন না হওয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার পূর্ণতা পায় না। সংসদে সংরক্ষিত নারী এমপিদের বলা হতো অলংকার, যা কখনো নারীর জন্য সম্মানজনক হতে পারে না।

ছায়া সংসদে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরাজিত করে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।