১০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কারাগার থেকে বন্দিরা আমাকে ফোন দেয়: আইজি প্রিজন

  • আপডেট: ০৪:০২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮০১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

কারাগারের মধ্যে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ঘটনা নতুন নয়। এসব মোবাইল উদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন কারা মহাপরিদর্শক। এমনকি বন্দিরা তাকেও ফোন দেয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কারা সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

কারাগারে বন্দিদের মোবাইল ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, অবৈধ মোবাইলের মাধ্যমে বন্দিরা আমাকে অনেক সময় ফোন দেয়৷ মূলত আরেকজনকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তারা ফোন দেয়, যারা তাদের প্রতিদ্বন্দী। এ বিষয়ে অনেক সময় অভিযান চালানো হয়েছে, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমি অস্বীকার করতে পারবো না কারাগারে ফোন যায় না। কিন্তু আমরা অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করছি। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।

‎কারাগারে মাদক বিস্তার রোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা থাকে। আমরা কঠোর হয়েছি, ফলে আমরা অনেকটা রিকভার করেছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তত এক হাজারের বেশি অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশীতে বিপুলসংখ্যক ছোট সাইজের মোবাইল উদ্ধার করেছি। এখন অনেকটা কমেছে, তবে বন্ধ হয়েছে বলা যাবে না। আমরা মাদকের বিষয় অনেক কঠোর। এমন কি পেটের মধ্যে করে ইয়াবা নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে বেশি ধরা পড়ছে। আর মাদক মামলায় যারা গ্রেফতার তাদের কারাগারে আনার পর বিশেষ সেলে রাখা হয়। যাতে করে সে মাদক ছড়িয়ে দিতে না পারে। এমনও বন্দী এসেছে যার পেটে ১২০০ ইয়াবা পেয়েছি। আমরা এখনো শতভাগ সফল না, তবে আমরা উন্নতি করেছি। এমন কি মাদকের সঙ্গে জড়িত কারারক্ষীদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোবাইলের বিষয় আমরা অনেক কঠোর। এমন কি মোবাইলের আলামত পাওয়ায় ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের ডিভিশন বাতিল করা হয়েছে। আমরা কারাগারকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত এক বছরে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এখনো অল্প অল্প ধরা পড়েছে। পূর্বের অবস্থা থেকে উন্নতি হচ্ছে। কারাগার ও কাশিমপুরের রান্না করা খাবার বাসা থেকে দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

কারাগার থেকে বন্দিরা আমাকে ফোন দেয়: আইজি প্রিজন

আপডেট: ০৪:০২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

কারাগারের মধ্যে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ঘটনা নতুন নয়। এসব মোবাইল উদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন কারা মহাপরিদর্শক। এমনকি বন্দিরা তাকেও ফোন দেয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কারা সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

কারাগারে বন্দিদের মোবাইল ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, অবৈধ মোবাইলের মাধ্যমে বন্দিরা আমাকে অনেক সময় ফোন দেয়৷ মূলত আরেকজনকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তারা ফোন দেয়, যারা তাদের প্রতিদ্বন্দী। এ বিষয়ে অনেক সময় অভিযান চালানো হয়েছে, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমি অস্বীকার করতে পারবো না কারাগারে ফোন যায় না। কিন্তু আমরা অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করছি। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।

‎কারাগারে মাদক বিস্তার রোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা থাকে। আমরা কঠোর হয়েছি, ফলে আমরা অনেকটা রিকভার করেছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তত এক হাজারের বেশি অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশীতে বিপুলসংখ্যক ছোট সাইজের মোবাইল উদ্ধার করেছি। এখন অনেকটা কমেছে, তবে বন্ধ হয়েছে বলা যাবে না। আমরা মাদকের বিষয় অনেক কঠোর। এমন কি পেটের মধ্যে করে ইয়াবা নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে বেশি ধরা পড়ছে। আর মাদক মামলায় যারা গ্রেফতার তাদের কারাগারে আনার পর বিশেষ সেলে রাখা হয়। যাতে করে সে মাদক ছড়িয়ে দিতে না পারে। এমনও বন্দী এসেছে যার পেটে ১২০০ ইয়াবা পেয়েছি। আমরা এখনো শতভাগ সফল না, তবে আমরা উন্নতি করেছি। এমন কি মাদকের সঙ্গে জড়িত কারারক্ষীদের চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোবাইলের বিষয় আমরা অনেক কঠোর। এমন কি মোবাইলের আলামত পাওয়ায় ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের ডিভিশন বাতিল করা হয়েছে। আমরা কারাগারকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত এক বছরে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। এখনো অল্প অল্প ধরা পড়েছে। পূর্বের অবস্থা থেকে উন্নতি হচ্ছে। কারাগার ও কাশিমপুরের রান্না করা খাবার বাসা থেকে দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে।