১০:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডাকসু নির্বাচন: ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

  • আপডেট: ১০:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০১

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালীন ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার পর একের পর এক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস এলাকায় যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিন ভোট গণনার শুরুতেই ছাত্রশিবির মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম ঢাবি ক্লাব কেন্দ্রে প্রবেশ করলে পোলিং এজেন্টদের চাপের কারণে তাকে বের হতে হয়। এ ঘটনায় কিছুটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান টিএসসি কেন্দ্রে ঢুকতে চাইলেও বাধা দেওয়া হয়। এতে ভোট গণনা কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত থাকে।

এছাড়া কার্জন হল ও উদয়ন স্কুলে এলইডি লাইট বন্ধ থাকার কারণে ভোট গণনা কিছু সময় বিঘ্নিত হয়। ছাত্রদল ভোট কারচুপি এবং নির্বাচনে বিশেষ পক্ষকে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ তুলেছে। এর ফলে সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

ভোট গণনা চলমান থাকা অবস্থায়ই রাত ৮টার সময় শামসুন্নাহার হল এবং ইউল্যাব কেন্দ্রের সামনে গিয়ে স্লোগান দেন ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে তারা মিছিলও করেন। সেখানে ‘প্রশাসন ভোট চোর’ বলেও স্লোগান দেয়া হয়।

একই সময়ে টিএসসিতে ভোট কারচুপি এবং প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের ভিপি এবং জিএস প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং আবু বাকের মজুমদার। অনিয়ম এবং কারচুপির অভিযোগ করেছেন বাম সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসুও।

এদিকে ফলাফল ঘোষণার আগেই পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকে ক্যাম্পাস এলাকায় জড়ো হতে থাকেন জামায়াত-শিবির ও বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সন্ধ্যার পর থেকে নীলক্ষেত এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া শাহবাগ মোড়, টিএসসি এলাকা ও দোয়েল চত্বর এলাকায় দুই দলের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এসব এলাকায় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়ায় ক্যাম্পাস এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে।

তবে রাত আটটার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন,ফলাফল ঘিরে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন,সন্ধ্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়,সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

ডাকসু নির্বাচন: ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

আপডেট: ১০:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালীন ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার পর একের পর এক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস এলাকায় যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিন ভোট গণনার শুরুতেই ছাত্রশিবির মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম ঢাবি ক্লাব কেন্দ্রে প্রবেশ করলে পোলিং এজেন্টদের চাপের কারণে তাকে বের হতে হয়। এ ঘটনায় কিছুটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান টিএসসি কেন্দ্রে ঢুকতে চাইলেও বাধা দেওয়া হয়। এতে ভোট গণনা কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত থাকে।

এছাড়া কার্জন হল ও উদয়ন স্কুলে এলইডি লাইট বন্ধ থাকার কারণে ভোট গণনা কিছু সময় বিঘ্নিত হয়। ছাত্রদল ভোট কারচুপি এবং নির্বাচনে বিশেষ পক্ষকে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ তুলেছে। এর ফলে সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

ভোট গণনা চলমান থাকা অবস্থায়ই রাত ৮টার সময় শামসুন্নাহার হল এবং ইউল্যাব কেন্দ্রের সামনে গিয়ে স্লোগান দেন ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীরা। এ সময় ক্যাম্পাসে তারা মিছিলও করেন। সেখানে ‘প্রশাসন ভোট চোর’ বলেও স্লোগান দেয়া হয়।

একই সময়ে টিএসসিতে ভোট কারচুপি এবং প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের ভিপি এবং জিএস প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং আবু বাকের মজুমদার। অনিয়ম এবং কারচুপির অভিযোগ করেছেন বাম সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসুও।

এদিকে ফলাফল ঘোষণার আগেই পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকে ক্যাম্পাস এলাকায় জড়ো হতে থাকেন জামায়াত-শিবির ও বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সন্ধ্যার পর থেকে নীলক্ষেত এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া শাহবাগ মোড়, টিএসসি এলাকা ও দোয়েল চত্বর এলাকায় দুই দলের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এসব এলাকায় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়ায় ক্যাম্পাস এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে।

তবে রাত আটটার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন,ফলাফল ঘিরে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন,সন্ধ্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়,সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।