রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ‘সেফ হাউজ’ বানিয়েছিল আদাবরের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা, অভিযান চালিয়ে ধরল ডিবি
																
								
							
                                - আপডেট: ০৬:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
 - / ১৮০১৭
 
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
রাজধানীর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় সেফ হোম বানিয়েছে আদাবরের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। ঢাকায় কোন অপরাধ সংগঠনের পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেসব সেফ হাউজে গিয়ে আশ্রয় নেন তারা। তবে সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আদাবর-১০ এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানোর পর এসব সেফ হাউজে অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী বেলচা মনিরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিরা হলেন–রাকিব হাওলাদার ওরফে ছোট রাকিব,মো.গোলাম রব্বানি ওরফে সাহস,মনির হোসেন ওরফে গুজা মনির ও মো.আকাশ খাঁ।
শনিবার(২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রাকিব খাঁন। ডিএমপি মিডিয়া শাখার ডিসি তালেবুর রহমান ও ডিবির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোর্শেদুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে চারটার দিকে রিপন ওরফে নিপুকে তার নিজ বাড়িতে বেলচা মনির ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা সামুরাই দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে গত ১৬ সেপ্টম্বর আনুমানিক বিকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী আরজু বেগম এর অভিযোগের ভিত্তিতে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
তিনি বলেন,মামলাটির ছায়া তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় খুনের ঘটনার আসামীদের শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার ভোর চারটায় ঢাকা মহানগরী ও তার পাশ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে খুনের ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে খুনের কাজে ব্যবহৃত তিনটি সামুরাই,একটি চাইনিজ কুড়াল,একটি সুইচ গিয়ার (চাকু) উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা রাকিব খাঁন বলেন,ঢাকার আশেপাশের জেলায় তাদের কিছু আস্তানা আছে। সেগুলো তারা সেফ হাউজ হিসেবে ব্যবহার করে।
তারা আদাবরে কোনো ঘটনা ঘটিয়ে সেই সেফ হোমে গিয়ে লুকিয়ে থাকে।
সেখানে কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তারা আবার এলাকায় ফিরে আধিপত্য বিস্তারের কাজ চলমান রয়েছে।
																			
																		




















