০৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

মতিঝিলের এসিল্যান্ড সৈয়দ রেফাঈ আবিদের নেতৃত্বে ঘুষ সিন্ডিকেটে জিম্মি জনগণ

  • আপডেট: ০৮:১৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮০১৭

মোঃ মনিরুজ্জামান মনির :
মতিঝিল রাজস্ব সার্কেল আজ দুর্নীতির অন্ধকারে নিমজ্জিত। সরকারি অফিসের সেবা এখন যেন টাকার হিসাবের বইয়ে বন্দি। এই দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ৩৮তম বিসিএস ক্যাডার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ রেফাঈ আবিদ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি সরকারি ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির অস্ত্রে পরিণত করেছেন। তার নির্দেশেই মতিঝিল ভূমি অফিসে চলছে ঘুষের বেপরোয়া ব্যবসা, মিস কেস ও নামজারির নামে ভয়াবহ চাঁদাবাজির জাল। দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই মতিঝিল ভূমি অফিসে সততার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রতিটি কাজেই এখন টাকার দরদাম, যেন সরকারি অফিস নয়, কোনো ব্যক্তিগত নিলামের ঘর। অভিযোগ উঠেছে, এসিল্যান্ড আবিদ যোগদানের পরপরই কানুনগো মোখলেছুর রহমান ও বহিরাগত দালাল শফিককে নিয়ে গড়ে তোলেন এক শক্তিশালী ঘুষ সিন্ডিকেট। এই চক্র সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে রেখেছে। আবিদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চলছে “টাকা না দিলে ফাইল নড়ে না” নীতি। অফিসের প্রতিটি টেবিলই তার অনুমোদিত ঘুষ সংগ্রহ কেন্দ্র। তিনি নিজে সেই অন্ধকার সাম্রাজ্যের অঘোষিত সম্রাট। অফিসের সরকারি সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা হলেও মতিঝিল ভূমি অফিসে রাত গভীর পর্যন্ত আলো জ্বলে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মধ্যরাতেও দালালদের আনাগোনা চলতে থাকে। বাইরে থেকে অফিস বন্ধ মনে হলেও ভেতরে চলে গোপন দর-কষাকষি। স্থানীয়রা বলছেন, এসিল্যান্ড আবিদের ছায়া অনুমতি ছাড়া কিছুই ঘটে না। তিনি নিজেই রাতের পর রাত এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে নীরব সমর্থন দিচ্ছেন। প্রতিটি ফাইল প্রক্রিয়াকরণের আগে দালাল শফিকের টেবিলে থামে। শফিক জানে কে কত দেবে, কার ফাইল আটকে রাখতে হবে, কার ফাইল দ্রুত অনুমোদন করতে হবে। কিন্তু সবশেষ অনুমোদন যায় এসিল্যান্ডের ঘরে। অভিযোগ আছে, শফিক ঘুষের টাকা তিনভাগে ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখে, এক ভাগ দেয় কানুনগো মোকলেসকে, আর শেষ ভাগ যায় সরাসরি আবিদের নির্দেশে উপরে। ফলে পুরো অফিসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এক “তিন দফা ঘুষনীতি”।
চলতি অর্থবছরের ফাইলগুলোতে দেখা গেছে, যেখানে ঘুষের পরিমাণ কম, সেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে দেন কানুনগো মোকলেস। পেছনে থাকে এসিল্যান্ড আবিদের নীরব সম্মতি। সরকারি নীতি উপেক্ষা করে এখন ঘুষের পরিমাণই হয়ে উঠেছে অনুমোদনের মাপকাঠি। জানা গেছে, আবিদ নিজেও মাঝে মাঝে নির্দেশ দেন, “ওই ফাইলটা পরে দেখো”, মানে যার ঘুষ এখনো ঠিকমতো মেলেনি। অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো কার্যত অকার্যকর। সূত্র জানায়, এসিল্যান্ডের নির্দেশে যেসব ঘরে ঘুষ লেনদেন হয়, সেখানে ক্যামেরার দিক ঘুরিয়ে রাখা হয়। ফলে কোনো প্রমাণ ধরা পড়ে না। দুর্নীতির এমন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ যে, এখন “ঘুষমুক্ত সেবা” লেখা পোস্টারগুলো নিছক কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়। স্থানীয় এক ভুক্তভোগী বলেন, “এই অফিসে কিছু করতে গেলে এসিল্যান্ডের আশীর্বাদ দরকার। দালাল শফিককে টাকা না দিলে ফাইল হারিয়ে যায়, আবার দিলে মুহূর্তেই কাজ হয়ে যায়। সবাই জানে, শেষ পর্যন্ত টাকা যায় উপরেই।”
সূত্রে জানা যায়, এসিল্যান্ড আবিদ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকেন। দরজা সবসময় বন্ধ, দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু দালাল শফিক ও কানুনগো মোকলেস তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। প্রতিদিনের ঘুষের হিসাব তার টেবিলে পৌঁছে যায়। অভিযোগ আছে, মাস শেষে মোটা অঙ্কে তিনি ভাগ পান। কানুনগো মোকলেস অবসরের প্রাক্কালে পুরো অফিসকে বানিয়ে ফেলেছেন ব্যক্তিগত অর্থ উপার্জনের কারখানা, আর তার পেছনে রয়েছেন এসিল্যান্ড আবিদ নিজে। সরকারি দায়িত্ব পালনের বদলে তিনি যেন দুর্নীতির খেলার পরিচালক। এখন এই অফিসে কার্যকর একটাই নীতি “আবিদ যা বলেন, তাই আইন”। প্রবীণ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আবিদ সাহেব যোগদানের পর থেকে পুরো অফিস বদলে গেছে। আগে যতটা ঘুষ চলত, এখন তার তিনগুণ। কেউ মুখ খুললে বদলি বা বদনাম হয়। মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলে এখন ভয় আর ঘুষের সমান্তরাল রাজত্ব চলছে। এসিল্যান্ড সৈয়দ রেফাঈ আবিদের নির্দেশেই চলছে দুর্নীতির পাগলা ঘোড়া। তার ছত্রছায়ায় কানুনগো, নাজির, দালাল সবাই মিলে বানিয়েছে এক অজেয় ঘুষ সাম্রাজ্য। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড এক খেলোয়াড়, যিনি জানেন কীভাবে আইনকেও নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে হয়। অনুসন্ধানে জানা যায় কেস নাম্বার ১১১৯, মৌজা শ্যামপুর চলতি অর্থবছর ২৪/২৫-এর এই মামলাতেই দেখা গেছে দুর্নীতির নগ্ন রূপ। সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট না থাকায় ভূমি অফিস থেকে নামজারী মঞ্জুর করার প্রস্তাব পাঠানো হয়, কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ঘুষের পরিমাণ কম হওয়ায় এসিল্যান্ড আবিদ আবেদনটি মঞ্জুর করেননি। তিনি নথিতে উল্লেখ করেন আবেদনকারী মূল কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ, অথচ অনুসন্ধানে জানা গেছে সব কাগজপত্র যথাযথভাবে দাখিল করা হয়েছিল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরবর্তী শুনানির তারিখও দেননি, যাতে আবেদনটি ঝুলে থাকে। অন্যদিকে তার অফিসের পালিত দালালদের তদবিরে শত শত নামজারি আবেদন ঘুষের বিনিময়ে দ্রুত অনুমোদিত হয়েছে, যেখানে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি। সচেতন মহল বলছে, যদি এখনই এসিল্যান্ড আবিদকে তদন্তের আওতায় না আনা হয়, তবে মতিঝিল রাজস্ব সার্কেল হবে দেশের প্রশাসনিক দুর্নীতির প্রতীক। সরকারি দপ্তরগুলো জনগণের সেবাকেন্দ্র নয়, হয়ে উঠবে ঘুষের হাট। তাই এখন সময় কঠোর তদন্তের মাধ্যমে এই সিন্ডিকেটের মূল নায়ক এসিল্যান্ড সৈয়দ রেফাঈ আবিদকে বিচারের মুখোমুখি করা ছাড়া বিকল্প নেই। অন্যথায় মতিঝিলের এই অন্ধকার সাম্রাজ্য অচিরেই ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

মতিঝিলের এসিল্যান্ড সৈয়দ রেফাঈ আবিদের নেতৃত্বে ঘুষ সিন্ডিকেটে জিম্মি জনগণ

আপডেট: ০৮:১৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

মোঃ মনিরুজ্জামান মনির :
মতিঝিল রাজস্ব সার্কেল আজ দুর্নীতির অন্ধকারে নিমজ্জিত। সরকারি অফিসের সেবা এখন যেন টাকার হিসাবের বইয়ে বন্দি। এই দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ৩৮তম বিসিএস ক্যাডার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ রেফাঈ আবিদ। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি সরকারি ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির অস্ত্রে পরিণত করেছেন। তার নির্দেশেই মতিঝিল ভূমি অফিসে চলছে ঘুষের বেপরোয়া ব্যবসা, মিস কেস ও নামজারির নামে ভয়াবহ চাঁদাবাজির জাল। দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই মতিঝিল ভূমি অফিসে সততার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রতিটি কাজেই এখন টাকার দরদাম, যেন সরকারি অফিস নয়, কোনো ব্যক্তিগত নিলামের ঘর। অভিযোগ উঠেছে, এসিল্যান্ড আবিদ যোগদানের পরপরই কানুনগো মোখলেছুর রহমান ও বহিরাগত দালাল শফিককে নিয়ে গড়ে তোলেন এক শক্তিশালী ঘুষ সিন্ডিকেট। এই চক্র সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে রেখেছে। আবিদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চলছে “টাকা না দিলে ফাইল নড়ে না” নীতি। অফিসের প্রতিটি টেবিলই তার অনুমোদিত ঘুষ সংগ্রহ কেন্দ্র। তিনি নিজে সেই অন্ধকার সাম্রাজ্যের অঘোষিত সম্রাট। অফিসের সরকারি সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা হলেও মতিঝিল ভূমি অফিসে রাত গভীর পর্যন্ত আলো জ্বলে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, মধ্যরাতেও দালালদের আনাগোনা চলতে থাকে। বাইরে থেকে অফিস বন্ধ মনে হলেও ভেতরে চলে গোপন দর-কষাকষি। স্থানীয়রা বলছেন, এসিল্যান্ড আবিদের ছায়া অনুমতি ছাড়া কিছুই ঘটে না। তিনি নিজেই রাতের পর রাত এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে নীরব সমর্থন দিচ্ছেন। প্রতিটি ফাইল প্রক্রিয়াকরণের আগে দালাল শফিকের টেবিলে থামে। শফিক জানে কে কত দেবে, কার ফাইল আটকে রাখতে হবে, কার ফাইল দ্রুত অনুমোদন করতে হবে। কিন্তু সবশেষ অনুমোদন যায় এসিল্যান্ডের ঘরে। অভিযোগ আছে, শফিক ঘুষের টাকা তিনভাগে ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখে, এক ভাগ দেয় কানুনগো মোকলেসকে, আর শেষ ভাগ যায় সরাসরি আবিদের নির্দেশে উপরে। ফলে পুরো অফিসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এক “তিন দফা ঘুষনীতি”।
চলতি অর্থবছরের ফাইলগুলোতে দেখা গেছে, যেখানে ঘুষের পরিমাণ কম, সেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে দেন কানুনগো মোকলেস। পেছনে থাকে এসিল্যান্ড আবিদের নীরব সম্মতি। সরকারি নীতি উপেক্ষা করে এখন ঘুষের পরিমাণই হয়ে উঠেছে অনুমোদনের মাপকাঠি। জানা গেছে, আবিদ নিজেও মাঝে মাঝে নির্দেশ দেন, “ওই ফাইলটা পরে দেখো”, মানে যার ঘুষ এখনো ঠিকমতো মেলেনি। অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো কার্যত অকার্যকর। সূত্র জানায়, এসিল্যান্ডের নির্দেশে যেসব ঘরে ঘুষ লেনদেন হয়, সেখানে ক্যামেরার দিক ঘুরিয়ে রাখা হয়। ফলে কোনো প্রমাণ ধরা পড়ে না। দুর্নীতির এমন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ যে, এখন “ঘুষমুক্ত সেবা” লেখা পোস্টারগুলো নিছক কৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়। স্থানীয় এক ভুক্তভোগী বলেন, “এই অফিসে কিছু করতে গেলে এসিল্যান্ডের আশীর্বাদ দরকার। দালাল শফিককে টাকা না দিলে ফাইল হারিয়ে যায়, আবার দিলে মুহূর্তেই কাজ হয়ে যায়। সবাই জানে, শেষ পর্যন্ত টাকা যায় উপরেই।”
সূত্রে জানা যায়, এসিল্যান্ড আবিদ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকেন। দরজা সবসময় বন্ধ, দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু দালাল শফিক ও কানুনগো মোকলেস তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। প্রতিদিনের ঘুষের হিসাব তার টেবিলে পৌঁছে যায়। অভিযোগ আছে, মাস শেষে মোটা অঙ্কে তিনি ভাগ পান। কানুনগো মোকলেস অবসরের প্রাক্কালে পুরো অফিসকে বানিয়ে ফেলেছেন ব্যক্তিগত অর্থ উপার্জনের কারখানা, আর তার পেছনে রয়েছেন এসিল্যান্ড আবিদ নিজে। সরকারি দায়িত্ব পালনের বদলে তিনি যেন দুর্নীতির খেলার পরিচালক। এখন এই অফিসে কার্যকর একটাই নীতি “আবিদ যা বলেন, তাই আইন”। প্রবীণ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আবিদ সাহেব যোগদানের পর থেকে পুরো অফিস বদলে গেছে। আগে যতটা ঘুষ চলত, এখন তার তিনগুণ। কেউ মুখ খুললে বদলি বা বদনাম হয়। মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলে এখন ভয় আর ঘুষের সমান্তরাল রাজত্ব চলছে। এসিল্যান্ড সৈয়দ রেফাঈ আবিদের নির্দেশেই চলছে দুর্নীতির পাগলা ঘোড়া। তার ছত্রছায়ায় কানুনগো, নাজির, দালাল সবাই মিলে বানিয়েছে এক অজেয় ঘুষ সাম্রাজ্য। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড এক খেলোয়াড়, যিনি জানেন কীভাবে আইনকেও নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে হয়। অনুসন্ধানে জানা যায় কেস নাম্বার ১১১৯, মৌজা শ্যামপুর চলতি অর্থবছর ২৪/২৫-এর এই মামলাতেই দেখা গেছে দুর্নীতির নগ্ন রূপ। সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট না থাকায় ভূমি অফিস থেকে নামজারী মঞ্জুর করার প্রস্তাব পাঠানো হয়, কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ঘুষের পরিমাণ কম হওয়ায় এসিল্যান্ড আবিদ আবেদনটি মঞ্জুর করেননি। তিনি নথিতে উল্লেখ করেন আবেদনকারী মূল কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ, অথচ অনুসন্ধানে জানা গেছে সব কাগজপত্র যথাযথভাবে দাখিল করা হয়েছিল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরবর্তী শুনানির তারিখও দেননি, যাতে আবেদনটি ঝুলে থাকে। অন্যদিকে তার অফিসের পালিত দালালদের তদবিরে শত শত নামজারি আবেদন ঘুষের বিনিময়ে দ্রুত অনুমোদিত হয়েছে, যেখানে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি। সচেতন মহল বলছে, যদি এখনই এসিল্যান্ড আবিদকে তদন্তের আওতায় না আনা হয়, তবে মতিঝিল রাজস্ব সার্কেল হবে দেশের প্রশাসনিক দুর্নীতির প্রতীক। সরকারি দপ্তরগুলো জনগণের সেবাকেন্দ্র নয়, হয়ে উঠবে ঘুষের হাট। তাই এখন সময় কঠোর তদন্তের মাধ্যমে এই সিন্ডিকেটের মূল নায়ক এসিল্যান্ড সৈয়দ রেফাঈ আবিদকে বিচারের মুখোমুখি করা ছাড়া বিকল্প নেই। অন্যথায় মতিঝিলের এই অন্ধকার সাম্রাজ্য অচিরেই ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে।