০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, অঞ্চল-২ সাবেক পিওন জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ

  • আপডেট: ০৪:১০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন,অঞ্চল-২ লাইসেন্স সুপারভাইজার শাখার সাবেক অফিস সহায়ক (পিওন) মো.জসিম উদ্দিন হাওলাদার ঘুষ, দুর্নীতি, ট্রেড লাইসেন্স বানিজ্য, অবৈধ ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে ও তার স্ত্রী মিলে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন প্রসঙ্গে।

তাদের এসব অবৈধ উপার্জনের বিষয়ের তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে দুদক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জালাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।

দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানান,মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, অঞ্চল-২ প্রেষনে ট্রেড লাইসেন্স শাখার অফিস সহায়ক (পিওন) পদে ঢাকায় কর্মরত আছেন।

তিনি ২০০৬ সালের দিকে আজিমপুর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে কবর খনন করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, এরপর তিনি তন্বীর করে পরবর্তীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীন অঞ্চল- ২, ট্রেড লাইসেন্স শাখায় পিওন পদে চাকুরীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয় না। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-২ এ চাকুরী পাওয়ার পর আলাদিনের চেড়াগের মতো সম্পদ দিনদিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। অল্প দিনেই তিনি ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট, দোকান, গাড়ী ও নিজ এলাকায় অনেক অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

রাজধানীর রূপনগর ইন্টার্ণ হাউজিংয়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয় করে একটি ৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট বাড়ী নির্মাণ করেন। এ বিষয়ে গত ১৮/১০/২০২৩ইং তারিখ দৈনিক আলোর জগত পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে, কবর খোদাইকার এত সম্পদের মালিক। তার পিতার নাম- মোকছেদ আলী হাওলাদা, মাতা- মমতাজ বেগম, তার প্রথম স্ত্রীর নাম- মোসা. রুমা বেগম, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম-মোসা. ফারজানা, মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদারের জাতীয় পরিচপত্র নং-৭৩২১০৯৪৫৭০, জন্ম তারিখ- ০১/০২/১৯৮৩ইং, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম-মোসাঃ ফারজানা, পিতার নাম- আ. হালিম মৃধা, মাতা- পিয়ারা বেগম, স্বামী- মো. জসিম উদ্দিন, জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৪১৬৮১৮৭৯৩০, জন্ম তারিখ- ০৬/১২/১৯৮৩ইং, মোসা. ফারজানার টিআইএন নং-৫৩৮৫৮৭৯১০৪১৮, কর সার্কেল- ৫৩, কর অঞ্চল-০৩, ঢাকা। বর্তমান ঠিকানাঃ বাসা নং- ৩৭, রোড নং- ৩, ব্লক- সি, সেকশন- ১২, মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা-১২১৬।

উক্ত বাসায় জসীমউদ্দীনের স্ত্রী ফারজানার নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকার উপরে। এবং তার স্ত্রীর নামে দশ ভরি স্বর্ণ পাওয়া অভিযোগ রয়েছে।

স্থিায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম- হাদিবাসকাঠী, ডাকঘর- মাধবপাশা- ৮২১৩, উপজেলা-বাবুগঞ্জ, জেলা- বরিশাল। তিনি ট্রেড লাইসেন্স শাখায় কর্মরত থাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স, নবায়ন ও ট্রেড লাইসেন্সের ঠিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে তিনি ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেন না। যারা তাকে ঘুষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে তাদের ফাইল ফেলে রাখে কোনো প্রকার কাজ করে না। যারা তাকে ঘুষ দেয় বা অবৈধ টাকা দেয় তাদের কাজ অতি দ্রুততার সাথে সমাপ্ত করে দেন। যখন ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন ছিল না তখন তিনি সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স বই অফিস থেকে নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করেছেন অবৈধ টাকার বিনিময়ে।

এছাড়াও তিনি সামান্য একজন অফিস সহকারী হয়ে তার সন্তানদের দেশের নামীদামি স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করান। এছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে-বেনামে কোটি কোটি অবৈধ সম্পদ ক্রয় করেছেন। তার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করলে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রয়েছে।

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দুর্নীতির এই অভিযোগ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, অঞ্চল-২ সাবেক পিওন জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ

আপডেট: ০৪:১০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন,অঞ্চল-২ লাইসেন্স সুপারভাইজার শাখার সাবেক অফিস সহায়ক (পিওন) মো.জসিম উদ্দিন হাওলাদার ঘুষ, দুর্নীতি, ট্রেড লাইসেন্স বানিজ্য, অবৈধ ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে ও তার স্ত্রী মিলে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন প্রসঙ্গে।

তাদের এসব অবৈধ উপার্জনের বিষয়ের তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে দুদক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জালাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।

দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানান,মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, অঞ্চল-২ প্রেষনে ট্রেড লাইসেন্স শাখার অফিস সহায়ক (পিওন) পদে ঢাকায় কর্মরত আছেন।

তিনি ২০০৬ সালের দিকে আজিমপুর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে কবর খনন করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, এরপর তিনি তন্বীর করে পরবর্তীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীন অঞ্চল- ২, ট্রেড লাইসেন্স শাখায় পিওন পদে চাকুরীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয় না। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-২ এ চাকুরী পাওয়ার পর আলাদিনের চেড়াগের মতো সম্পদ দিনদিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। অল্প দিনেই তিনি ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট, দোকান, গাড়ী ও নিজ এলাকায় অনেক অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

রাজধানীর রূপনগর ইন্টার্ণ হাউজিংয়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয় করে একটি ৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট বাড়ী নির্মাণ করেন। এ বিষয়ে গত ১৮/১০/২০২৩ইং তারিখ দৈনিক আলোর জগত পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে, কবর খোদাইকার এত সম্পদের মালিক। তার পিতার নাম- মোকছেদ আলী হাওলাদা, মাতা- মমতাজ বেগম, তার প্রথম স্ত্রীর নাম- মোসা. রুমা বেগম, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম-মোসা. ফারজানা, মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদারের জাতীয় পরিচপত্র নং-৭৩২১০৯৪৫৭০, জন্ম তারিখ- ০১/০২/১৯৮৩ইং, তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম-মোসাঃ ফারজানা, পিতার নাম- আ. হালিম মৃধা, মাতা- পিয়ারা বেগম, স্বামী- মো. জসিম উদ্দিন, জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৪১৬৮১৮৭৯৩০, জন্ম তারিখ- ০৬/১২/১৯৮৩ইং, মোসা. ফারজানার টিআইএন নং-৫৩৮৫৮৭৯১০৪১৮, কর সার্কেল- ৫৩, কর অঞ্চল-০৩, ঢাকা। বর্তমান ঠিকানাঃ বাসা নং- ৩৭, রোড নং- ৩, ব্লক- সি, সেকশন- ১২, মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা-১২১৬।

উক্ত বাসায় জসীমউদ্দীনের স্ত্রী ফারজানার নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকার উপরে। এবং তার স্ত্রীর নামে দশ ভরি স্বর্ণ পাওয়া অভিযোগ রয়েছে।

স্থিায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম- হাদিবাসকাঠী, ডাকঘর- মাধবপাশা- ৮২১৩, উপজেলা-বাবুগঞ্জ, জেলা- বরিশাল। তিনি ট্রেড লাইসেন্স শাখায় কর্মরত থাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স, নবায়ন ও ট্রেড লাইসেন্সের ঠিকানা পরিবর্তন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে তিনি ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেন না। যারা তাকে ঘুষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে তাদের ফাইল ফেলে রাখে কোনো প্রকার কাজ করে না। যারা তাকে ঘুষ দেয় বা অবৈধ টাকা দেয় তাদের কাজ অতি দ্রুততার সাথে সমাপ্ত করে দেন। যখন ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন ছিল না তখন তিনি সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স বই অফিস থেকে নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করেছেন অবৈধ টাকার বিনিময়ে।

এছাড়াও তিনি সামান্য একজন অফিস সহকারী হয়ে তার সন্তানদের দেশের নামীদামি স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করান। এছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে-বেনামে কোটি কোটি অবৈধ সম্পদ ক্রয় করেছেন। তার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করলে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রয়েছে।

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দুর্নীতির এই অভিযোগ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা।