০১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সামাজিক ঐক্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় আহ্ছানউল্লার সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ববাদের দর্শন চর্চা প্রয়োজন

  • আপডেট: ০৫:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

সামাজিক ঐক্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংস্কারক হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)–এর সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ববাদের দর্শন চর্চা প্রয়োজন। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)–এর বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের ভাবনার ওপর আন্তর্জাতিক “গ্লোবাল ফ্র্যাটারনিটি” শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন বক্তারা।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি প্রফেসর ড.গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী দীন মোহাম্মদ খসরু। তিনি বলেন,খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ (রহ.)-এর জীবন ও দর্শনের সাথে,যার উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করেই আজকের এই সেমিনার।

তার লেখনী,শিক্ষাদান এবং মানবিক কর্মকাণ্ড মানুষকে ঘৃণা পরিহার করতে,বৈষম্য প্রত্যাখ্যান করতে এবং সীমানা-অতিক্রমী এক মানবিক পরিচয় গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেছে।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ডাম ক্লাব২৫ এর উপদেষ্টা ড. কাজী এহসানুর রহমান,ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলী,পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ লিভিং অ্যান্ড লার্নিংয়ের রিসার্চ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্টের পরিচালক ড.নূর উল জামান রফিক এবং জাতিসংঘ অ্যাসোসিয়েশন ফিজির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আকমল আলী। সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আহ্ছানউল্লা সেন্টার ফর ইউনিভার্সাল হিউম্যানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল মাসুদ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাখি গাঙ্গুলী।

এসময় বক্তারা বলেন-খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) বিশ্বাস করতেন—অন্যকে সেবা করার যে আনন্দ, তা নিজের সেবা গ্রহণের আনন্দের চেয়ে অনেক বেশি। এ ধারণা সুফিবাদের গভীরে প্রতিষ্ঠিত,এবং কোরআনের করুণা-ভিত্তিক শিক্ষার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। তার আজীবন মানবকল্যাণে নিবেদন, একতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা,এবং ভালোবাসা, পবিত্রতা ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রমে আমরা এ দর্শনের জীবন্ত প্রতিফলন দেখি।

এছাড়াও মানবতাবাদী পেশাজীবী,সমাজকর্মী,সামাজিক চিন্তাবিদ ও উন্নয়ন কর্মীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে সেমিনারের ভাষা ইংরেজি নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও সেমিনারে ওপেন উন্মুক্ত আলোচনা, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ মতামত শোনার সুযোগ ছিলো।

খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)–এর বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের ভাবনার ওপর ও মানবিক মূল্যবোধ ও সুফিবাদের দর্শনের আলোকে আয়োজিত এই সেমিনার বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়। একজন নিবেদিত সুফি হিসেবে তাঁর ‘গ্লোবাল ফ্র্যাটারনিটি’ বিষয়ক দিকনির্দেশনার আলোকে ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আহছানিয়া মিশন। সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন চেতনার ভিত্তি স্থাপন করায় ছিল আহছানিয়া মিশনের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও সেমিনারে সর্বজনীন শান্তি ও সৌহার্দ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে বৈশ্বিক ভ্রাতৃত্বের মূল ধারণা তুলে ধরা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

সামাজিক ঐক্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় আহ্ছানউল্লার সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ববাদের দর্শন চর্চা প্রয়োজন

আপডেট: ০৫:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

সামাজিক ঐক্য ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংস্কারক হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)–এর সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ববাদের দর্শন চর্চা প্রয়োজন। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)–এর বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের ভাবনার ওপর আন্তর্জাতিক “গ্লোবাল ফ্র্যাটারনিটি” শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন বক্তারা।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি প্রফেসর ড.গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী দীন মোহাম্মদ খসরু। তিনি বলেন,খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ (রহ.)-এর জীবন ও দর্শনের সাথে,যার উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করেই আজকের এই সেমিনার।

তার লেখনী,শিক্ষাদান এবং মানবিক কর্মকাণ্ড মানুষকে ঘৃণা পরিহার করতে,বৈষম্য প্রত্যাখ্যান করতে এবং সীমানা-অতিক্রমী এক মানবিক পরিচয় গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেছে।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ডাম ক্লাব২৫ এর উপদেষ্টা ড. কাজী এহসানুর রহমান,ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলী,পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ লিভিং অ্যান্ড লার্নিংয়ের রিসার্চ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্টের পরিচালক ড.নূর উল জামান রফিক এবং জাতিসংঘ অ্যাসোসিয়েশন ফিজির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আকমল আলী। সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আহ্ছানউল্লা সেন্টার ফর ইউনিভার্সাল হিউম্যানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল মাসুদ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাখি গাঙ্গুলী।

এসময় বক্তারা বলেন-খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) বিশ্বাস করতেন—অন্যকে সেবা করার যে আনন্দ, তা নিজের সেবা গ্রহণের আনন্দের চেয়ে অনেক বেশি। এ ধারণা সুফিবাদের গভীরে প্রতিষ্ঠিত,এবং কোরআনের করুণা-ভিত্তিক শিক্ষার সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। তার আজীবন মানবকল্যাণে নিবেদন, একতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা,এবং ভালোবাসা, পবিত্রতা ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার কার্যক্রমে আমরা এ দর্শনের জীবন্ত প্রতিফলন দেখি।

এছাড়াও মানবতাবাদী পেশাজীবী,সমাজকর্মী,সামাজিক চিন্তাবিদ ও উন্নয়ন কর্মীরা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে সেমিনারের ভাষা ইংরেজি নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও সেমিনারে ওপেন উন্মুক্ত আলোচনা, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ মতামত শোনার সুযোগ ছিলো।

খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)–এর বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের ভাবনার ওপর ও মানবিক মূল্যবোধ ও সুফিবাদের দর্শনের আলোকে আয়োজিত এই সেমিনার বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়। একজন নিবেদিত সুফি হিসেবে তাঁর ‘গ্লোবাল ফ্র্যাটারনিটি’ বিষয়ক দিকনির্দেশনার আলোকে ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আহছানিয়া মিশন। সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন চেতনার ভিত্তি স্থাপন করায় ছিল আহছানিয়া মিশনের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়াও সেমিনারে সর্বজনীন শান্তি ও সৌহার্দ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে বৈশ্বিক ভ্রাতৃত্বের মূল ধারণা তুলে ধরা হয়।