০৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নাম:আইজিপিকে অপসারণ ও বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি

  • আপডেট: ০৫:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:

বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত–রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর বর্তমান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমকে অপসারণ ও তার বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ’ নামের একটি সংগঠন।

সংগঠনের সভাপতি ফরহাদ আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির সেলিম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি বৃহস্পতিবার(০৪ ডিসেম্বর) বিকালে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। একইদিন বর্তমান আইজিপির অপসারণ চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (ঢাকা-৮) নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি কারাগারে মারা যান। একসময়ের প্রভাবশালী এই রাজনীতিবিদের স্মরণে ‘শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ’ দীর্ঘদিন ধরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় ‘শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের’ব্যানারে পলাশী মোড় থেকে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ একটি মিছিল শুরু করেন। সাবেক বিএনপি নেতা পিন্টুর হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এই মিছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। মিছিলকারীরা আইজিপি বাহারুল আলমকে অভিযুক্ত করে স্লোগান দেন—‘আইজিপি বাহারুলের ফাঁসি চাই, বিচার চাই’।

সংগঠনের নেতারা জানান,তারা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পিন্টু হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে স্মারকলিপি দেন।

মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন,তারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছেন। দাবি করেন, সাবেক বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

সংগঠনের সভাপতি ফরহাদ আহমেদ ডলার বলেন,‘খুনি হিসেবে অভিযুক্তদের ফাঁসির জন্য সচেষ্ট থাকবো। শত বাঁধা উপেক্ষা করে আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এখানে এসেছি কিন্তু ভয় পাইনি। আমরা বিচার না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।’

গত রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন প্রতিবেদন জমা দেয়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাযজ্ঞে বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৮ জন সেনা সদস্য নৃশংসভাবে হত্যা হন। এ ঘটনায় সাত সদস্যের স্বাধীন জাতীয় কমিশন গঠন করা হয়েছিল গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর।

তদন্ত প্রতিবেদনের কপি অনুযায়ী,১৪৬ নম্বর পয়েন্টের ‘গ’ অংশে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। তারা হলো— তৎকালীন আইজিপি নূর মোহাম্মদ, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার নাইম আহমেদ,তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি প্রধান) বাহারুল আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ এবং তার অধীনস্থ তদন্ত দল।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে,তদন্ত চলাকালে তৎকালীন এসবি প্রধান বাহারুল আলম কমিশনকে অনুমাননির্ভর তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিরোধী দলের কর্মীদের ফাঁসিয়েছেন। যার মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া স্মারক লিপিতে বলা হয়, জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে, সেখানে মোট ৫৮ জনকে দায়ী করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, সেই তালিকায় তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বাহারুল আলমের নামও রয়েছে।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়,বিডিআর ট্র্যাজেডিতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। বর্তমান আইজিপি যেহেতু তদন্ত–তালিকায় অভিযুক্ত, তাই তাঁর অবস্থান বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

সংগঠনটি আরও অভিযোগ করে,প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ‘ফ্যাসিবাদের সমর্থকদের’ মিছিল–সমাবেশ হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা আটকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়,জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতারে ধীরগতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে স্মারকলিপিতে বলা হয়,নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে এবং সরকারের ওপর থাকা সন্দেহ দূর করতে বর্তমান আইজিপিকে অপসারণ ও গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা জরুরি।

উপদেষ্টার উদ্দেশে স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে সহকর্মী নিহত ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবেন—এমন প্রত্যাশা করছে সংগঠনটি।

ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি,সচিবালয়-নিরাপত্তা বিভাগ) এ,কে, এম জহিরুল ইসলাম জানান,একটি মিছিল সচিবালয়ে এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারক লিপি প্রদান করেছে। এরপর তারা চলে গেছেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর জানান,বিক্ষোভ মিছিলটি প্রথমে সচিবালয়ের দিকে যায়, যেখানে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকে। পরে পুলিশের সমন্বয়ে মিছিলকারীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে পিন্টু হত্যার বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নাম:আইজিপিকে অপসারণ ও বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি

আপডেট: ০৫:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:

বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত–রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর বর্তমান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমকে অপসারণ ও তার বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ’ নামের একটি সংগঠন।

সংগঠনের সভাপতি ফরহাদ আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির সেলিম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি বৃহস্পতিবার(০৪ ডিসেম্বর) বিকালে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। একইদিন বর্তমান আইজিপির অপসারণ চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (ঢাকা-৮) নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি কারাগারে মারা যান। একসময়ের প্রভাবশালী এই রাজনীতিবিদের স্মরণে ‘শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ’ দীর্ঘদিন ধরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় ‘শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের’ব্যানারে পলাশী মোড় থেকে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ একটি মিছিল শুরু করেন। সাবেক বিএনপি নেতা পিন্টুর হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এই মিছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। মিছিলকারীরা আইজিপি বাহারুল আলমকে অভিযুক্ত করে স্লোগান দেন—‘আইজিপি বাহারুলের ফাঁসি চাই, বিচার চাই’।

সংগঠনের নেতারা জানান,তারা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পিন্টু হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে স্মারকলিপি দেন।

মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন,তারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছেন। দাবি করেন, সাবেক বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

সংগঠনের সভাপতি ফরহাদ আহমেদ ডলার বলেন,‘খুনি হিসেবে অভিযুক্তদের ফাঁসির জন্য সচেষ্ট থাকবো। শত বাঁধা উপেক্ষা করে আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এখানে এসেছি কিন্তু ভয় পাইনি। আমরা বিচার না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।’

গত রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন প্রতিবেদন জমা দেয়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যাযজ্ঞে বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৮ জন সেনা সদস্য নৃশংসভাবে হত্যা হন। এ ঘটনায় সাত সদস্যের স্বাধীন জাতীয় কমিশন গঠন করা হয়েছিল গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর।

তদন্ত প্রতিবেদনের কপি অনুযায়ী,১৪৬ নম্বর পয়েন্টের ‘গ’ অংশে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। তারা হলো— তৎকালীন আইজিপি নূর মোহাম্মদ, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার নাইম আহমেদ,তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি প্রধান) বাহারুল আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ এবং তার অধীনস্থ তদন্ত দল।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে,তদন্ত চলাকালে তৎকালীন এসবি প্রধান বাহারুল আলম কমিশনকে অনুমাননির্ভর তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিরোধী দলের কর্মীদের ফাঁসিয়েছেন। যার মধ্যে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া স্মারক লিপিতে বলা হয়, জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে, সেখানে মোট ৫৮ জনকে দায়ী করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, সেই তালিকায় তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বাহারুল আলমের নামও রয়েছে।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়,বিডিআর ট্র্যাজেডিতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। বর্তমান আইজিপি যেহেতু তদন্ত–তালিকায় অভিযুক্ত, তাই তাঁর অবস্থান বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

সংগঠনটি আরও অভিযোগ করে,প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ‘ফ্যাসিবাদের সমর্থকদের’ মিছিল–সমাবেশ হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা আটকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়,জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতারে ধীরগতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে স্মারকলিপিতে বলা হয়,নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে এবং সরকারের ওপর থাকা সন্দেহ দূর করতে বর্তমান আইজিপিকে অপসারণ ও গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করা জরুরি।

উপদেষ্টার উদ্দেশে স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে সহকর্মী নিহত ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবেন—এমন প্রত্যাশা করছে সংগঠনটি।

ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি,সচিবালয়-নিরাপত্তা বিভাগ) এ,কে, এম জহিরুল ইসলাম জানান,একটি মিছিল সচিবালয়ে এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারক লিপি প্রদান করেছে। এরপর তারা চলে গেছেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর জানান,বিক্ষোভ মিছিলটি প্রথমে সচিবালয়ের দিকে যায়, যেখানে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকে। পরে পুলিশের সমন্বয়ে মিছিলকারীরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে পিন্টু হত্যার বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।