০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

*ফেলানী এভিনিউ হোক ন্যায়বিচারের মহাসড়ক*

  • আপডেট: ১১:১৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০১৫

সাঈফ ইবনে রফিক

রাজধানীর গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটির নতুন নাম যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হলো—ফেলানী এভিনিউ—তখন মনে হলো সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকা এক কিশোরীর আর্তনাদ আবার শহরের বাতাসে ফিরে এল।

রাষ্ট্র যেন স্বীকার করল—এই জাতির হৃদয়ে এমন একটি ক্ষত আছে, যা ভুলে যাওয়া যায় না। ৭ জানুয়ারি ২০১১ সালের ভোরে বিএসএফের গুলিতে হত্যা হওয়া সেই ১৫ বছরের মেয়েটি শুধু একটি নাম নয়; ফেলানী বাংলাদেশের সীমান্ত ইতিহাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে নির্মম প্রতীক।
চৌদ্দ বছর পেরিয়ে গেছে। ভারতীয় বিএসএফের বিশেষ আদালত দুই দফা বিচার করেও অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে পুনঃতদন্তের আবেদন দশ বছর ধরে অমীমাংসিত। কলকাতা হাইকোর্টেও “প্রযুক্তিগত জটিলতার” নাম করে শুনানি বারবার স্থগিত। একটা শিশু কাঁটাতারে ঝুলে ছিল—আর বিচারপ্রক্রিয়া কাগজে-কলমে বছরের পর বছর ঘুরে মরছে। টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ায় মানবাধিকার আইনজীবী কলিন গনসালভেস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন—মানবাধিকার মামলাগুলোর প্রতি ভারতের সর্বোচ্চ আদালত “সময় দিতে পারছে না”—এ এক ভয়াবহ অবহেলা। বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো পর্যন্ত বলেছে, সীমান্তে হত্যা-রীতি বন্ধ না হলে ভারত প্রজাতন্ত্রের নৈতিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। ফেলানী সেই প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দু।

এই অচলায়তনের ভেতরে ফেলানীর স্মৃতি আবার আলোচনায় উঠে আসে ইয়ং জার্নালিস্ট কমিউনিটির তরুণ সদস্যদের কারণে। সংগঠনের সভাপতি প্রিয় অনুজ আহসান কামরুলের অনুরোধে, সীমান্ত হত্যার ভয়াবহতা ও বিচারহীনতার প্রশ্নটিকে আবার সামনে আনার প্রয়াসে কয়েকজন তরুণ সাংবাদিককে সাথে নিয়ে ২৪ মার্চ ২০২৫ কুড়িগ্রামের দক্ষিণ রামখানা গ্রামে গিয়ে ফেলানীর বাবা-মায়ের সঙ্গে ইফতার করি। ফেলানীর পরিবারকে কিছু আর্থিক সহায়তাও দান করেন তারা।

সাংবাদিকদের এই নীরব উদ্যোগ আসলে রাষ্ট্রের প্রতি এক গভীর প্রশ্ন—এত বছর ধরে একটি পরিবার কেন একাই এই লড়াই লড়বে? কেন একটি শিশুর হত্যার বিচার আদালতের ফাইলের নিচে স্তব্ধ হয়ে পড়ে থাকবে? অসহায় মা ভাঙা গলায় বললেন, “আমার মেয়ে তো কোনো অপরাধ করেনি… তবুও কেন গুলি করল?” আর বাবা নুরুল ইসলাম স্মৃতির ভারে মাথা নিচু করে শুধু বললেন—“ওরা আমার সামনে মেয়েকে ঝুলিয়ে রেখেছিল।” এই কথাগুলো শুধু তাদের ব্যক্তিগত শোক নয়—এটি পুরো সীমান্তবাসীর, পুরো বাংলাদেশের, পুরো মানবতার শোক।

সেই ইফতারের দিনটিতে আরেকটি দৃশ্যও দেখা গেল—ফেলানীর ছোট ভাই আরফান, যে বলেছিল, “আমি বিজিবিতে যোগ দিতে চাই। যেন আর কোনো বাংলাদেশি এমন মৃত্যু না দেখে।” সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে একজন তরুণের এই প্রতিজ্ঞা দেশের মানুষের হৃদয়ে গভীর আলোড়ন তোলে। পরে নিয়োগ পরীক্ষায় নিজ যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়ে আরফান যখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্য হিসেবে সুযোগ পেল, তখন মনে হলো ফেলানীর অসমাপ্ত এক স্বপ্ন যেন নতুনভাবে ধরা দিল। এটি যেমন একটি পরিবারের গভীর বেদনা থেকে উঠে আসা শক্তি, তেমনই বিজিবির মানবিক দায়িত্ববোধেরও প্রকাশ।

ফেলানী হত্যার পর থেকেই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নীরবে, কিন্তু অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে—ব্যবসা দাঁড় করাতে সহায়তা দিয়েছে, শিশুটির দাফন থেকে এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দিয়েছে, নিয়মিত খোঁজ নিয়েছে, এবং পরিবারটিকে যেন সমাজ ও রাষ্ট্র দুটোই ভুলে না যায় সে বিষয়ে নিজের মানবিক দায়িত্ব পালন করেছে। সীমান্তের প্রতিটি শহীদের পরিবারের মতো ফেলানীর পরিবারকেও বিজিবি তার নৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় রেখেছে। ফেলানী শুধু একটি নাম নয়; সে সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিরোধের প্রতীক।

বিজিবি বাহিনীর এই আন্তরিকতা আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয়—সীমান্তের প্রতিটি শহীদের পাশে দাঁড়ানোই এই বাহিনীর নৈতিক প্রতিশ্রুতি।

কিন্তু বিজিবির মানবিকতা বিচারহীনতার ক্ষত ঢাকতে পারে না—উচিতও নয়। কারণ ন্যায়বিচারই ফেলানীর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা। ফেলানীর হত্যার বিচার না হওয়া মানে সীমান্তে যে কেউ, যে কোনো দিন, যে কোনো মুহূর্তে একই ভাগ্যের মুখোমুখি হতে পারে—এটি রাষ্ট্রের জন্যও লজ্জাজনক বার্তা। যদি ভারত তার গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও প্রতিবেশী সম্পর্কের প্রতি ন্যূনতম সম্মান দেখাতে চায়, তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃবিচার দ্রুত শুরু করতে হবে।

ফেলানী এভিনিউ রাজধানীর কূটনৈতিক অঞ্চলে—এটি নিছক কোনো সড়কের নাম নয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের দূতাবাসগুলো এই পথেই অবস্থান করে। তারা কি চোখ বন্ধ করে রাখবেন, যখন তাদের প্রতিবেশী দেশে একটি ১৫ বছরের মেয়ের হত্যার বিচার দশ বছর ধরে ঝুলে আছে? ফেলানী এভিনিউ প্রতিদিন তাদের স্মরণ করিয়ে দেবে—দক্ষিণ এশিয়ার এই সীমান্তে মানবাধিকার এখনও রক্তাক্ত, এবং সেই রক্তক্ষরণ থামাতে তাদের নৈতিক অবস্থান প্রমাণের সময় এসেছে।

আজ আমরা চাই—ভারত সরকার ফেলানীর পুনঃবিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করুক। ক্ষতিপূরণ কার্যকর করুক। সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা বন্ধ করুক। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও দৃঢ়ভাবে এই প্রশ্ন তুলুক। বর্বরতার বিরুদ্ধে এই লড়াই ফেলানীর পরিবারের একার নয়—এটি মানবতার লড়াই।
ফেলানী এভিনিউ নামকরণ একটি প্রতীকী শুরু—কিন্তু বিচার ছাড়া প্রতীক কোনো অর্থ বহন করে না। যেদিন ভারতের আদালত রায় দেবে, যেদিন সীমান্তে আর কোনো কিশোরীর লাশ কাঁটাতারে ঝুলবে না—সেদিনই এই সড়ক প্রকৃত অর্থে ন্যায়বিচারের মহাসড়ক হবে। ততদিন আমরা থামব না; কারণ একটি জাতির বিবেক কখনও মৃত হয় না।

লেখক : সাঈফ ইবনে রফিক, কবি ও সাংবাদিক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

*ফেলানী এভিনিউ হোক ন্যায়বিচারের মহাসড়ক*

আপডেট: ১১:১৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

সাঈফ ইবনে রফিক

রাজধানীর গুলশান-২ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত সড়কটির নতুন নাম যখন রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হলো—ফেলানী এভিনিউ—তখন মনে হলো সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলে থাকা এক কিশোরীর আর্তনাদ আবার শহরের বাতাসে ফিরে এল।

রাষ্ট্র যেন স্বীকার করল—এই জাতির হৃদয়ে এমন একটি ক্ষত আছে, যা ভুলে যাওয়া যায় না। ৭ জানুয়ারি ২০১১ সালের ভোরে বিএসএফের গুলিতে হত্যা হওয়া সেই ১৫ বছরের মেয়েটি শুধু একটি নাম নয়; ফেলানী বাংলাদেশের সীমান্ত ইতিহাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে নির্মম প্রতীক।
চৌদ্দ বছর পেরিয়ে গেছে। ভারতীয় বিএসএফের বিশেষ আদালত দুই দফা বিচার করেও অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টে পুনঃতদন্তের আবেদন দশ বছর ধরে অমীমাংসিত। কলকাতা হাইকোর্টেও “প্রযুক্তিগত জটিলতার” নাম করে শুনানি বারবার স্থগিত। একটা শিশু কাঁটাতারে ঝুলে ছিল—আর বিচারপ্রক্রিয়া কাগজে-কলমে বছরের পর বছর ঘুরে মরছে। টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ায় মানবাধিকার আইনজীবী কলিন গনসালভেস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন—মানবাধিকার মামলাগুলোর প্রতি ভারতের সর্বোচ্চ আদালত “সময় দিতে পারছে না”—এ এক ভয়াবহ অবহেলা। বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো পর্যন্ত বলেছে, সীমান্তে হত্যা-রীতি বন্ধ না হলে ভারত প্রজাতন্ত্রের নৈতিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। ফেলানী সেই প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দু।

এই অচলায়তনের ভেতরে ফেলানীর স্মৃতি আবার আলোচনায় উঠে আসে ইয়ং জার্নালিস্ট কমিউনিটির তরুণ সদস্যদের কারণে। সংগঠনের সভাপতি প্রিয় অনুজ আহসান কামরুলের অনুরোধে, সীমান্ত হত্যার ভয়াবহতা ও বিচারহীনতার প্রশ্নটিকে আবার সামনে আনার প্রয়াসে কয়েকজন তরুণ সাংবাদিককে সাথে নিয়ে ২৪ মার্চ ২০২৫ কুড়িগ্রামের দক্ষিণ রামখানা গ্রামে গিয়ে ফেলানীর বাবা-মায়ের সঙ্গে ইফতার করি। ফেলানীর পরিবারকে কিছু আর্থিক সহায়তাও দান করেন তারা।

সাংবাদিকদের এই নীরব উদ্যোগ আসলে রাষ্ট্রের প্রতি এক গভীর প্রশ্ন—এত বছর ধরে একটি পরিবার কেন একাই এই লড়াই লড়বে? কেন একটি শিশুর হত্যার বিচার আদালতের ফাইলের নিচে স্তব্ধ হয়ে পড়ে থাকবে? অসহায় মা ভাঙা গলায় বললেন, “আমার মেয়ে তো কোনো অপরাধ করেনি… তবুও কেন গুলি করল?” আর বাবা নুরুল ইসলাম স্মৃতির ভারে মাথা নিচু করে শুধু বললেন—“ওরা আমার সামনে মেয়েকে ঝুলিয়ে রেখেছিল।” এই কথাগুলো শুধু তাদের ব্যক্তিগত শোক নয়—এটি পুরো সীমান্তবাসীর, পুরো বাংলাদেশের, পুরো মানবতার শোক।

সেই ইফতারের দিনটিতে আরেকটি দৃশ্যও দেখা গেল—ফেলানীর ছোট ভাই আরফান, যে বলেছিল, “আমি বিজিবিতে যোগ দিতে চাই। যেন আর কোনো বাংলাদেশি এমন মৃত্যু না দেখে।” সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে একজন তরুণের এই প্রতিজ্ঞা দেশের মানুষের হৃদয়ে গভীর আলোড়ন তোলে। পরে নিয়োগ পরীক্ষায় নিজ যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়ে আরফান যখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্য হিসেবে সুযোগ পেল, তখন মনে হলো ফেলানীর অসমাপ্ত এক স্বপ্ন যেন নতুনভাবে ধরা দিল। এটি যেমন একটি পরিবারের গভীর বেদনা থেকে উঠে আসা শক্তি, তেমনই বিজিবির মানবিক দায়িত্ববোধেরও প্রকাশ।

ফেলানী হত্যার পর থেকেই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ নীরবে, কিন্তু অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে—ব্যবসা দাঁড় করাতে সহায়তা দিয়েছে, শিশুটির দাফন থেকে এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দিয়েছে, নিয়মিত খোঁজ নিয়েছে, এবং পরিবারটিকে যেন সমাজ ও রাষ্ট্র দুটোই ভুলে না যায় সে বিষয়ে নিজের মানবিক দায়িত্ব পালন করেছে। সীমান্তের প্রতিটি শহীদের পরিবারের মতো ফেলানীর পরিবারকেও বিজিবি তার নৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় রেখেছে। ফেলানী শুধু একটি নাম নয়; সে সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিরোধের প্রতীক।

বিজিবি বাহিনীর এই আন্তরিকতা আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয়—সীমান্তের প্রতিটি শহীদের পাশে দাঁড়ানোই এই বাহিনীর নৈতিক প্রতিশ্রুতি।

কিন্তু বিজিবির মানবিকতা বিচারহীনতার ক্ষত ঢাকতে পারে না—উচিতও নয়। কারণ ন্যায়বিচারই ফেলানীর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা। ফেলানীর হত্যার বিচার না হওয়া মানে সীমান্তে যে কেউ, যে কোনো দিন, যে কোনো মুহূর্তে একই ভাগ্যের মুখোমুখি হতে পারে—এটি রাষ্ট্রের জন্যও লজ্জাজনক বার্তা। যদি ভারত তার গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও প্রতিবেশী সম্পর্কের প্রতি ন্যূনতম সম্মান দেখাতে চায়, তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃবিচার দ্রুত শুরু করতে হবে।

ফেলানী এভিনিউ রাজধানীর কূটনৈতিক অঞ্চলে—এটি নিছক কোনো সড়কের নাম নয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের দূতাবাসগুলো এই পথেই অবস্থান করে। তারা কি চোখ বন্ধ করে রাখবেন, যখন তাদের প্রতিবেশী দেশে একটি ১৫ বছরের মেয়ের হত্যার বিচার দশ বছর ধরে ঝুলে আছে? ফেলানী এভিনিউ প্রতিদিন তাদের স্মরণ করিয়ে দেবে—দক্ষিণ এশিয়ার এই সীমান্তে মানবাধিকার এখনও রক্তাক্ত, এবং সেই রক্তক্ষরণ থামাতে তাদের নৈতিক অবস্থান প্রমাণের সময় এসেছে।

আজ আমরা চাই—ভারত সরকার ফেলানীর পুনঃবিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করুক। ক্ষতিপূরণ কার্যকর করুক। সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা বন্ধ করুক। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও দৃঢ়ভাবে এই প্রশ্ন তুলুক। বর্বরতার বিরুদ্ধে এই লড়াই ফেলানীর পরিবারের একার নয়—এটি মানবতার লড়াই।
ফেলানী এভিনিউ নামকরণ একটি প্রতীকী শুরু—কিন্তু বিচার ছাড়া প্রতীক কোনো অর্থ বহন করে না। যেদিন ভারতের আদালত রায় দেবে, যেদিন সীমান্তে আর কোনো কিশোরীর লাশ কাঁটাতারে ঝুলবে না—সেদিনই এই সড়ক প্রকৃত অর্থে ন্যায়বিচারের মহাসড়ক হবে। ততদিন আমরা থামব না; কারণ একটি জাতির বিবেক কখনও মৃত হয় না।

লেখক : সাঈফ ইবনে রফিক, কবি ও সাংবাদিক