০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার দাবী -মোহাম্মদ খোরশেদ আলম

  • আপডেট: ০৭:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০১০

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন—“১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, মানুষের অধিকার রক্ষা কোনো সৌজন্য নয়—এটি মানুষের জন্মগত অধিকার। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা বা সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন, প্রতিটি মানুষ মর্যাদা ও অধিকারে সমান। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার ঘোষণাপত্র গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব প্রথমবারের মতো এই সত্যকে স্বীকৃতি দেয়।”

তিনি বলেন,“মানবাধিকার কেবল স্বাধীনতার আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ নয়। জীবনের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্ম পালনের অধিকার, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ, নিরাপদ বাসস্থান, সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার—এসব একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।”

চেয়ারম্যান বলেন,“দুঃখজনক হলেও সত্য—এই একুশ শতকেও বিশ্বের নানা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা থেমে নেই। কোথাও যুদ্ধের আগুনে মানুষ পুড়ছে, কোথাও শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে শ্রমে নিযুক্ত হচ্ছে, নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, আবার কোথাও ভিন্নমত প্রকাশ করায় মানুষ নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এসব আচরণ সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক।”

তিনি আরও বলেন—“সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমি আশাবাদী। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি নিজের জায়গা থেকে সামান্য মানবিকতা ও ন্যায়বোধ নিয়ে কাজ করি, তাহলে পরিবর্তন খুব দূরে নয়। আমাদের ছোট ছোট সদিচ্ছাই একদিন বড় পরিবর্তনের পথ তৈরি করবে—একটি এমন বাংলাদেশ যেখানে কোনো মানুষ অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না।”

সংগঠনের মহাসচিব মো. আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন—“মানবাধিকার রক্ষা শুধু রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক সংস্থার কাজ নয়; এটি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। আমরা যখন অন্যকে ছোট করি না, অবহেলা করি না, অন্যায় বিচার করি না—তখনই আসলে মানবাধিকার রক্ষা করছি। সমাজের দরিদ্র, অসহায় বা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবিকতার প্রকৃত পরিচয়।”

তিনি আরও আহ্বান জানান—“মানবাধিকার মানে শুধু নিজের অধিকার দাবি করা নয়; অন্যের অধিকারের প্রতিও সম্মান দেখানো। যে সমাজে মানুষ মানুষের অধিকার সম্মান করে, সেই সমাজই প্রকৃত উন্নতির পথে এগিয়ে যায়।”
সভায় বক্তারা সবাইকে মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোর শপথ নিতে আহ্বান জানান—“আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলব, এবং যেখানে সুযোগ পাব সেখানে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করব।”

স্বপ্ন একটি মানবিক সমাজ

সভায় উপস্থিত সবাই এমন একটি পৃথিবীর স্বপ্ন ব্যক্ত করেন—“যেখানে কোনো শিশু ক্ষুধার্ত থাকবে না, কোনো নারী নির্যাতনের শিকার হবে না, কোনো মানুষ মত প্রকাশের অধিকার হারাবে না। ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং সমতার আলোয় গড়ে উঠবে একটি মানবিক বাংলাদেশ।আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. ছালাহ উদ্দিন (টিটু), কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাশেদা আহমেদ, চীফ কোঅর্ডিনেটর শেখ মহিন উদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার খাজা সাইফ আহসান, আজীবন সদস্য হাসান মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, নোমান, আবুল কাসেম, সালমা, ফেরদাউস বাপ্পিসহ সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার দাবী -মোহাম্মদ খোরশেদ আলম

আপডেট: ০৭:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন—“১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, মানুষের অধিকার রক্ষা কোনো সৌজন্য নয়—এটি মানুষের জন্মগত অধিকার। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা বা সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন, প্রতিটি মানুষ মর্যাদা ও অধিকারে সমান। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার ঘোষণাপত্র গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব প্রথমবারের মতো এই সত্যকে স্বীকৃতি দেয়।”

তিনি বলেন,“মানবাধিকার কেবল স্বাধীনতার আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ নয়। জীবনের অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্ম পালনের অধিকার, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ, নিরাপদ বাসস্থান, সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার—এসব একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।”

চেয়ারম্যান বলেন,“দুঃখজনক হলেও সত্য—এই একুশ শতকেও বিশ্বের নানা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা থেমে নেই। কোথাও যুদ্ধের আগুনে মানুষ পুড়ছে, কোথাও শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে শ্রমে নিযুক্ত হচ্ছে, নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, আবার কোথাও ভিন্নমত প্রকাশ করায় মানুষ নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এসব আচরণ সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক।”

তিনি আরও বলেন—“সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমি আশাবাদী। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি নিজের জায়গা থেকে সামান্য মানবিকতা ও ন্যায়বোধ নিয়ে কাজ করি, তাহলে পরিবর্তন খুব দূরে নয়। আমাদের ছোট ছোট সদিচ্ছাই একদিন বড় পরিবর্তনের পথ তৈরি করবে—একটি এমন বাংলাদেশ যেখানে কোনো মানুষ অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না।”

সংগঠনের মহাসচিব মো. আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন—“মানবাধিকার রক্ষা শুধু রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক সংস্থার কাজ নয়; এটি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। আমরা যখন অন্যকে ছোট করি না, অবহেলা করি না, অন্যায় বিচার করি না—তখনই আসলে মানবাধিকার রক্ষা করছি। সমাজের দরিদ্র, অসহায় বা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবিকতার প্রকৃত পরিচয়।”

তিনি আরও আহ্বান জানান—“মানবাধিকার মানে শুধু নিজের অধিকার দাবি করা নয়; অন্যের অধিকারের প্রতিও সম্মান দেখানো। যে সমাজে মানুষ মানুষের অধিকার সম্মান করে, সেই সমাজই প্রকৃত উন্নতির পথে এগিয়ে যায়।”
সভায় বক্তারা সবাইকে মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোর শপথ নিতে আহ্বান জানান—“আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলব, এবং যেখানে সুযোগ পাব সেখানে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করব।”

স্বপ্ন একটি মানবিক সমাজ

সভায় উপস্থিত সবাই এমন একটি পৃথিবীর স্বপ্ন ব্যক্ত করেন—“যেখানে কোনো শিশু ক্ষুধার্ত থাকবে না, কোনো নারী নির্যাতনের শিকার হবে না, কোনো মানুষ মত প্রকাশের অধিকার হারাবে না। ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং সমতার আলোয় গড়ে উঠবে একটি মানবিক বাংলাদেশ।আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. ছালাহ উদ্দিন (টিটু), কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাশেদা আহমেদ, চীফ কোঅর্ডিনেটর শেখ মহিন উদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার খাজা সাইফ আহসান, আজীবন সদস্য হাসান মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, নোমান, আবুল কাসেম, সালমা, ফেরদাউস বাপ্পিসহ সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।