১০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে শুটার মাসুদ, মুন্সিগঞ্জে নৌ-ডাকাত আক্তার গ্রেফতার

  • আপডেট: ১০:০২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাস,ডাকাতি ও মাদকসহ নানা অপরাধে ছায়া ফেলে আসা দুই শীর্ষ অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১।

র‌্যাব জানায়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার মাসুদকে গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি, ২ বোতল হুইস্কি ও ৫৮ পিস ইয়াবা।

একই সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা পুলিশের ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত মো. আক্তার সরকারকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিশেষ নৌকা ও সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার(৮ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, শুটার মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও এলাকায় সশস্ত্র হামলা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৪ সালের ২৭ জুলাই সোনারগাঁওয়ের নোয়াদ্দা বাবুবাজার এলাকায় কাপড় ব্যবসায়ী রাকিবকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে সে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মাসুদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় মোট সাতটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে একটি হত্যা, তিনটি হত্যা চেষ্টাসহ মাদক ও ডাকাতির মামলা। এর আগেও র‌্যাব একই দলের আরেক সদস্য শুটার রিয়াজকে গ্রেফতার করেছিল।

অন্যদিকে, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন পুলিশ ক্যাম্পে ২৫ আগস্ট সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। র‌্যাবের অভিযানে আক্তার সরকারের নামে ২৭টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪টি হত্যা, ২টি ডাকাতি, ১টি অপহরণ, ১টি চাঁদাবাজি ও ৪টি বিস্ফোরক মামলা। তার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ডাকাত হাইস্পিড ট্রলার যোগে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তারা অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, চাঁদাবাজি ও নৌ ডাকাতিতে জড়িত ছিল। স্থানীয়রা তাদের ভয় দেখিয়ে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়।

র‌্যাব-১১ সদর কোম্পানির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লার তিতাস থানা এলাকা থেকে আক্তার সরকারকে আটক করে এবং পরবর্তীতে দাউদকান্দি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নৌকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জে শুটার মাসুদ, মুন্সিগঞ্জে নৌ-ডাকাত আক্তার গ্রেফতার

আপডেট: ১০:০২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাস,ডাকাতি ও মাদকসহ নানা অপরাধে ছায়া ফেলে আসা দুই শীর্ষ অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১।

র‌্যাব জানায়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার মাসুদকে গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, ৬ রাউন্ড গুলি, ২ বোতল হুইস্কি ও ৫৮ পিস ইয়াবা।

একই সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা পুলিশের ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত মো. আক্তার সরকারকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিশেষ নৌকা ও সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার(৮ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, শুটার মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও এলাকায় সশস্ত্র হামলা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৪ সালের ২৭ জুলাই সোনারগাঁওয়ের নোয়াদ্দা বাবুবাজার এলাকায় কাপড় ব্যবসায়ী রাকিবকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে সে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মাসুদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় মোট সাতটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে একটি হত্যা, তিনটি হত্যা চেষ্টাসহ মাদক ও ডাকাতির মামলা। এর আগেও র‌্যাব একই দলের আরেক সদস্য শুটার রিয়াজকে গ্রেফতার করেছিল।

অন্যদিকে, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানাধীন পুলিশ ক্যাম্পে ২৫ আগস্ট সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। র‌্যাবের অভিযানে আক্তার সরকারের নামে ২৭টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪টি হত্যা, ২টি ডাকাতি, ১টি অপহরণ, ১টি চাঁদাবাজি ও ৪টি বিস্ফোরক মামলা। তার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ডাকাত হাইস্পিড ট্রলার যোগে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তারা অবৈধ বালুমহাল পরিচালনা, চাঁদাবাজি ও নৌ ডাকাতিতে জড়িত ছিল। স্থানীয়রা তাদের ভয় দেখিয়ে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়।

র‌্যাব-১১ সদর কোম্পানির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে কুমিল্লার তিতাস থানা এলাকা থেকে আক্তার সরকারকে আটক করে এবং পরবর্তীতে দাউদকান্দি থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নৌকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করে।