বাগেরহাটের উমেদারের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা
- আপডেট: ০৩:২২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮০০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলায় অভিযোগ এনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট বাদী হয়ে গতকাল বুধবার (৫ নভেম্বর) বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি দায়ের করে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন— মান্নানের স্ত্রী জেসমিন নাহার, মো. আনিসুর রহমান (৬২) ও সালেহা বেগম।
জসীম উদ্দিন খান জানান, সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামে প্রতিষ্ঠান খুলে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে তারা ১৯ হাজার ৯৬৭ জন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটি ৫০০০ টাকা থেকে যেকোনো পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগে ৪-৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় না লাগিয়ে আব্দুল মান্নান তার নিজের মালিকানাধীন ‘সাবিল গ্রুপ’-এর ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেন।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. এ্যাজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা),
২. সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট),
৩. সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর),
৪. সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (বাগেরহাট),
৫. সাবিল এল প্লাজা,
৬. সাবিল মৎস্য প্রকল্প (বাগেরহাট)।
সাবেক উমেদার মান্নান তালুকদার ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরি করেন এবং ২০১০ সালে অবসরে যান। চাকরিজীবনেই জমি কেনাবেচার ব্যবসা শুরু করেন তিনি। পরে অবসর নিয়ে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট’ নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং “মানুষ মানুষের জন্য” স্লোগান ব্যবহার করে আমানত গ্রহণ কার্যক্রম চালান।
সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে। মামলার তদন্ত এখন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অধীনে চলছে। অভিযুক্তদের অর্থ লেনদেনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য, সহযোগীদের নাম এবং অর্থের গন্তব্য শনাক্তে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




















