০৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

মাদকের চালান ধরিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধে হত্যাকাণ্ড,এক বছর পর খুললো জট

  • আপডেট: ০৯:৫২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮০০১

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানায় দায়ের হওয়া হাসান তারেক হত্যা মামলার রহস্যের জট একবছর পর খুলেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় জড়িত মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ওরফে আলোকে (৪১) সোমবার (১০ নভেম্বর) চকবাজার থানার দামপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ এসময় তার কাছ থেকে ১২ বোতল নিষিদ্ধ কফ সিরাপ জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার আলাউদ্দিন নোয়াখালীর সুধারাম থানা এলাকার তোফায়েল আহমেদের ছেলে। তবে তিনি নগরের চকবাজার এলাকায় থাকতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, চুরি ও মাদক আইনে মোট ১৮টি মামলা রয়েছে।

ডিবি জানায়,গত বছরের ১০ জানুয়ারি ভুক্তভোগী হাসান তারেক আসামিদের একটি মাদকের চালান পুলিশে ধরিয়ে দেন। ওই চালানের মালিক ছিলেন শওকত আকবর, আলাউদ্দিন এবং মোর্শেদ আলম। তিনজনই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে তারা হাসান তারেককে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

ঘটনার ১৫–২০ দিন আগে চট্টগ্রামের জামালখানের একটি গলিতে বসে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাজীর দেউড়ীতে অবস্থানরত আলাউদ্দিন,শওকত ও মোর্শেদের সঙ্গে যোগ দেয় আলাউদ্দিনের শ্যালক সাকিব ও সহযোগী ইকবাল হোসেন বাবু। এ সময় শওকত হত্যার খরচ হিসেবে আলাউদ্দিনের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গরীবউল্লাহ শাহ (রাঃ) মাজারের সামনে থেকে হাসান তারেককে অটোরিকশায় তোলা হয়। পরে বায়েজীদ লিংক রোডের নির্জন স্থানে পৌঁছালে আসামিরা তাকে পাহাড়ের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে হাত বেঁধে ফেলা হয় এবং পরবর্তীতে নাইলনের রশি গলায় পেঁচিয়ে দুই পাশ থেকে টান দিলে প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।

আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর ডিবি পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান,হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ আবারও অটোরিকশায় তুলে কালুশাহ মাজার হয়ে পাহাড়লী থানাধীন খেজুরতলী রাসমনি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। এরপর আসামিরা নগরের ওয়াসা মোড়ে কুটুম বাড়ি রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাতের খাবার খায়। খাবার শেষে খরচের ২০ হাজার টাকার ভাগবাটোয়ারা করে যার যার বাড়িতে চলে যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

মাদকের চালান ধরিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধে হত্যাকাণ্ড,এক বছর পর খুললো জট

আপডেট: ০৯:৫২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক,সোনালী খবর

চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানায় দায়ের হওয়া হাসান তারেক হত্যা মামলার রহস্যের জট একবছর পর খুলেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় জড়িত মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ওরফে আলোকে (৪১) সোমবার (১০ নভেম্বর) চকবাজার থানার দামপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়৷ এসময় তার কাছ থেকে ১২ বোতল নিষিদ্ধ কফ সিরাপ জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার আলাউদ্দিন নোয়াখালীর সুধারাম থানা এলাকার তোফায়েল আহমেদের ছেলে। তবে তিনি নগরের চকবাজার এলাকায় থাকতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, চুরি ও মাদক আইনে মোট ১৮টি মামলা রয়েছে।

ডিবি জানায়,গত বছরের ১০ জানুয়ারি ভুক্তভোগী হাসান তারেক আসামিদের একটি মাদকের চালান পুলিশে ধরিয়ে দেন। ওই চালানের মালিক ছিলেন শওকত আকবর, আলাউদ্দিন এবং মোর্শেদ আলম। তিনজনই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে তারা হাসান তারেককে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

ঘটনার ১৫–২০ দিন আগে চট্টগ্রামের জামালখানের একটি গলিতে বসে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বছরের ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাজীর দেউড়ীতে অবস্থানরত আলাউদ্দিন,শওকত ও মোর্শেদের সঙ্গে যোগ দেয় আলাউদ্দিনের শ্যালক সাকিব ও সহযোগী ইকবাল হোসেন বাবু। এ সময় শওকত হত্যার খরচ হিসেবে আলাউদ্দিনের হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গরীবউল্লাহ শাহ (রাঃ) মাজারের সামনে থেকে হাসান তারেককে অটোরিকশায় তোলা হয়। পরে বায়েজীদ লিংক রোডের নির্জন স্থানে পৌঁছালে আসামিরা তাকে পাহাড়ের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে হাত বেঁধে ফেলা হয় এবং পরবর্তীতে নাইলনের রশি গলায় পেঁচিয়ে দুই পাশ থেকে টান দিলে প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।

আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর ডিবি পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান,হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ আবারও অটোরিকশায় তুলে কালুশাহ মাজার হয়ে পাহাড়লী থানাধীন খেজুরতলী রাসমনি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। এরপর আসামিরা নগরের ওয়াসা মোড়ে কুটুম বাড়ি রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাতের খাবার খায়। খাবার শেষে খরচের ২০ হাজার টাকার ভাগবাটোয়ারা করে যার যার বাড়িতে চলে যায়।