পরকীয়ার জেরে লাশ কেটে ২৬ খণ্ড:নিহতের বন্ধুসহ গ্রেফতার ২,আলামত উদ্ধার
- আপডেট: ১১:০২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮০০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে হত্যার পর লাশ কেটে করা ২৬ টুকরা। এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা তারই বন্ধু জরেজুল ইসলাম ও তার প্রেমিকা শামীমা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার(১৪ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরেজুর রহমানকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা গ্রেফতার করে। অন্যদিকে শামীমা আক্তারকে গ্রেফতার করে র্যাবের সদস্যরা।
একইদিন রাতে জরেজুরকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামতসহ শামীমা আক্তারকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-৩ এর একটি সূত্র।
জানা যায়,পরকীয়াজনিত বিরোধের জেরে আশরাফুল হককে হত্যার পর তার লাশ ২৬ টুকরায় খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়। পরে টুকরাগুলো প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে রাজধানীর হাইকোট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ফেলা যাওয়া হয়।
এর আগে আশরাফুল হকের বোন আনজিরা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় জরেজুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে আনজিরা বেগম লিখেছেন,তার বড় ভাই আশরাফুল হক দিনাজপুরের হিলি বন্দর থেকে সারা দেশে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ,আলুসহ কাঁচামাল সরবরাহ করতেন। গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে আসামি জরেজকে নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর থেকে আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। স্বজনদের সন্দেহ, আসামি জরেজ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগিতায় গত ১১ নভেম্বর রাত থেকে ১৩ নভেম্বর রাতের মধ্যে যে কোনো সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আশরাফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ মোট ২৬টি খণ্ডে খণ্ডিত করে গুম করার উদ্দেশ্যে দুটি নীল রঙের ড্রামের ভেতর ভরে রেখে অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার(১৩ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে আশরাফুলের ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে আগামীকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন।




















