০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর আত্মহত্যা:ঢাকায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

সোনালী খবর
সোনালী খবর
  • আপডেট: ০৯:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • /

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লক্ষ্মীপুর সদরে গণধর্ষণের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর প্রধান আসামি ফারুক (৩৪) কে রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র‍্যাব-১০, সিপিএসসি, লালবাগ, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড মোড় সংলগ্ন রসুইঘর বিরিয়ানি অ্যান্ড কাচ্চিঘর নামীয় দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু।

তিনি বলেন, মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভিকটিম একজন বিবাহিতা নারী। তার স্বামী মালয়েশিয়ায় প্রবাসে এবং তিনি তাদের ৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে একা থাকতেন। চলাফেরার সময় তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
২৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে ভিকটিমের মেয়ে নিকটবর্তী একটি নূরানী মাদ্রাসায় গেলে, একই দিন দুপুর ১টার দিকে অভিযুক্তরা ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। এরপর শিশুটি বাড়িতে ফিরলে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে তারা ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ভিকটিমের ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে সুপারি গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ঘরে প্রবেশ করে তারা দেখতে পান, ভিকটিম ছাদের ঘরের কাঠের তীরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এ ঘটনায় আত্মসম্মানের ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের ইমো অ্যাকাউন্ট থেকে তার স্বামীর কাছে পাঠানো অডিও বার্তা বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের নাম-ঠিকানা শনাক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(৩)/৩০/৯ক ধারায় মামলা (নং-৩৩, তারিখ ২৪/০৭/২০২৫) দায়ের করা হয়। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর র‍্যাব-১০, সিপিএসসি, লালবাগ, ঢাকার সহযোগিতায় ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে প্রধান আসামি ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক নিজেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে স্বীকার করেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়েও স্বীকারোক্তি দেন।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর আত্মহত্যা:ঢাকায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

আপডেট: ০৯:৩২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লক্ষ্মীপুর সদরে গণধর্ষণের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর প্রধান আসামি ফারুক (৩৪) কে রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র‍্যাব-১০, সিপিএসসি, লালবাগ, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড মোড় সংলগ্ন রসুইঘর বিরিয়ানি অ্যান্ড কাচ্চিঘর নামীয় দোকানের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু।

তিনি বলেন, মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভিকটিম একজন বিবাহিতা নারী। তার স্বামী মালয়েশিয়ায় প্রবাসে এবং তিনি তাদের ৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে একা থাকতেন। চলাফেরার সময় তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
২৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে ভিকটিমের মেয়ে নিকটবর্তী একটি নূরানী মাদ্রাসায় গেলে, একই দিন দুপুর ১টার দিকে অভিযুক্তরা ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। এরপর শিশুটি বাড়িতে ফিরলে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে তারা ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ভিকটিমের ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে সুপারি গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ঘরে প্রবেশ করে তারা দেখতে পান, ভিকটিম ছাদের ঘরের কাঠের তীরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এ ঘটনায় আত্মসম্মানের ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের ইমো অ্যাকাউন্ট থেকে তার স্বামীর কাছে পাঠানো অডিও বার্তা বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের নাম-ঠিকানা শনাক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(৩)/৩০/৯ক ধারায় মামলা (নং-৩৩, তারিখ ২৪/০৭/২০২৫) দায়ের করা হয়। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর র‍্যাব-১০, সিপিএসসি, লালবাগ, ঢাকার সহযোগিতায় ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে প্রধান আসামি ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক নিজেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে স্বীকার করেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়েও স্বীকারোক্তি দেন।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।